প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ভরা এই পৃথিবীতে মহান স্রষ্টার সকল সৃষ্টি একটি নির্দিষ্ট নিয়ম অনুসরণ করে চলছে। কোনো সৃষ্টি ইচ্ছামতো স্রষ্টার বিধানের বাইরে যেতে পারে না। তবে একমাত্র মানুষই ব্যতিক্রম। মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামিন মানুষকে আশরাফুল মাখলুকাত হিসেবে সৃষ্টি করে ইচ্ছার স্বাধীনতা দিয়ে এই দুনিয়ায় পাঠিয়েছেন।তবে, মানুষের জন্যও নির্দিষ্ট একটি জীবনপথ নির্ধারণ করে দিয়েছেন। পৃথিবীর সূচনালগ্ন থেকে আল্লাহ বিভিন্ন নবী ও রাসুল পাঠিয়েছেন, যারা মানুষকে এই পথ দেখিয়েছেন। সর্বশেষ রাসুল মুহাম্মাদ (সা.) -এর মাধ্যমে আল্লাহ যে চূড়ান্ত জীবনবিধান দিয়েছেন, তা হলো আল-কুরআন।আল কুরআনের আলোকে মানুষের পরিচয় – আশরাফুল মাখলুকাত, গোলামুল্লাহ ও খলিফাতুল্লাহ। আজ আমি মানুষের কুরআনিক পরিচয় তুলে ধরার চেষ্টা করবো –
কুরআন নাজিল হওয়ার পর থেকে কেয়ামত পর্যন্ত এটি পৃথিবীর সকল মানুষের জন্য একমাত্র জীবন বিধান। এই বিধান অনুসরণ করলে মানুষ দুনিয়াতে শান্তিতে থাকবে এবং আখিরাতে চিরসুখের জান্নাত লাভ করবে।
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন যখন আমাদের আদি পিতা আদম (আ.) ও মা হাওয়াকে জান্নাত থেকে পৃথিবীতে নামিয়ে দেন, তখন তিনি বলেন:”আমি বললামঃ তোমরা সবাই এখান থেকে নেমে যাও; অনন্তর আমার পক্ষ থেকে তোমাদের নিকট যে উপদেশ আসবে, যারা আমার সেই উপদেশ অনুসরণ করবে, তারা ভয় পাবে না এবং তারা চিন্তিতও হবে না।” (সূরা আল-বাকারা: ৩৮)
আমাদের আদি পিতা আদম আঃ এর দুনিয়াতে আগমনের পর থেকে নবী মুহাম্মাদ সাঃ এর উপর দ্বীনকে পরিপূর্ণ করে দেওয়া পর্যন্ত। যত নবী এবং রাসুল এসেছেন। সকল নবী ও রাসুলদের কাজ ছিল সবাইকে আল্লাহর প্রকৃত গোলাম হওয়া দিকে আহবান করা।
আমাদের নবী মুহাম্মাদ সাঃ এর উপর আল্লাহ রাব্বুল আলামিন দ্বীনকে পরিপূর্ণ করে দিয়েছেন।
তিনি বলেন :আজ আমি তোমাদের জন্য তোমাদের দীনকে পূর্ণ করলাম এবং তোমাদের উপর আমার নিআমত সম্পূর্ণ করলাম এবং তোমাদের জন্য দীন হিসেবে পছন্দ করলাম ইসলামকে। (সুরা মায়েদাহ আয়াত ৩)
আল্লাহর মনোনীত ও পছন্দনীয় দ্বীনের উপর টিকে থাকতে হলে নবী মুহাম্মাদ সাঃ দুটো জিনিসকে আঁকড়ে ধরতে বলেছেন। কারণ এর পর এ দুনিয়াতে আর কোন নবী রেসালাতের দায়িত্ব নিয়ে আসবেনা। আবূ হুরাইরা কর্তৃক বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, আমি তোমাদের মাঝে দুটি জিনিস রেখে যাচ্ছি, যা অবলম্বন করলে তোমরা কখনই পথভ্রষ্ট হবে না। তা হল আল্লাহর কিতাব এবং আমার সুন্নাহ। ’হওয’ (কাওসারে) আমার নিকট অবতরণ না করা পর্যন্ত তা বিচ্ছিন্ন হবে না।
সৃষ্টির সেরা জীব মানুষ
পৃথিবীতে যত সৃষ্টি আছে, তাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি হলো মানুষ। কারন মহান আল্লাহ তাআলা মানুষকে বিশেষ মর্যাদা, জ্ঞান, বিবেক এবং দায়িত্ব দিয়ে সৃষ্টি করেছেন, যা অন্য কোনো সৃষ্টির মধ্যে নেই। এবং তিনি মানুষকে সর্বোত্তম ও উন্নত প্রক্রিয়ায় সৃষ্টি করেছেন। পবিত্র কুরআনে তিনি বলেন:”আমরা মানুষকে মাটির সারাংশ থেকে সৃষ্টি করেছি। অতঃপর আমরা তাকে শুক্রবিন্দুরূপে এক সংরক্ষিত আধারে (জরায়ুতে) স্থাপন করেছি। এরপর শুক্রবিন্দুকে জমাট রক্তরূপে সৃষ্টি করেছি, অতঃপর জমাট রক্তকে গোশতপিণ্ডে পরিণত করেছি, এরপর গোশতপিণ্ড থেকে অস্থি সৃষ্টি করেছি, অতঃপর অস্থিকে গোশত দ্বারা আবৃত করেছি, অবশেষে তাকে নতুনরূপে গঠন করেছি।” (সূরা আল-মুমিনুন: ১২-১৪)
এছাড়াও, আল্লাহ তায়ালা মানুষকে সর্বোত্তম আকৃতিতে সৃষ্টি করেছেন। তিনি বলেন:”আমি মানুষকে সর্বোত্তম কাঠামোয় সৃষ্টি করেছি।”(সূরা আত-তীন: ৪)
তবে, মানুষ শুধু আকৃতিগতভাবে সুন্দর বলে সৃষ্টির সেরা জীব নয়। মানুষের শ্রেষ্ঠত্ব তার জ্ঞান, নৈতিকতা ও আল্লাহর বিধান অনুসরণের মধ্যে।
তাই, সত্যিকার অর্থে শ্রেষ্ঠ হতে হলে আমাদের আল্লাহর আদেশ অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করতে হবে। তাহলেই কেবল দুনিয়া ও আখিরাতে সফলতা আসবে।
আল্লাহ তা’য়ালা তার অনেক সৃষ্টির উপর মানুষকে শ্রেষ্ঠত্ব দান করেছেন। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন বলেন :এতো আমার অনুগ্রহ, আমি বনী আদমকে মর্যাদা দিয়েছি এবং তাদেরকে জলে-স্থলে সওয়ারী দান করেছি, তাদেরকে পাক-পবিত্র জিনিস থেকে রিযিক দিয়েছি এবং নিজের বহু সৃষ্টির ওপর তাদেরকে সুস্পষ্ট প্রাধান্য দিয়েছি।(১৭:৭০)
শুধু তাই নয়, ফেরেশতারা যখন আপত্তি করলেন তখন আল্লাহ মানুষকে সম্মানিত করতে জ্ঞানের গুনে গুণান্বিত করলেন। আল্লাহ বললেন :অতঃপর আল্লাহ আদমকে সমস্ত জিনিসের নাম শেখালেন তারপর সেগুলো পেশ করলেন ফেরেশতাদের সামনে এবং বললেন, “যদি তোমাদের ধারণা সঠিক হয় (অর্থাৎ কোন প্রতিনিধি নিযুক্ত করলে ব্যবস্থাপনা বিপর্যস্ত হবে) তাহলে একটু বলতো দেখি এই জিনিসগুলোর নাম?”(আল-বাক্বারাহ, আয়াত: ৩১)
মাওলানা আবুল আলা মওদুদি (রহ:) বলেন: মানুষকে আল্লাহ এমন ক্ষমতা দিয়েছেন যা ফেরেশতাদের নেই—নির্ণয় করার স্বাধীনতা ও জ্ঞান।কিন্তু এই স্বাধীনতাকে সঠিকভাবে ব্যবহার করাই মানুষের শ্রেষ্ঠত্বের শর্ত।
যদি মানুষ ভুল পথে চলে, তবে তারা পশুর চেয়েও অধম হয়ে যায় (সূরা আল-আরাফ, ৭:১৭৯)।
সৃষ্টির সেরা জীব মানুষের মধ্যে স্রস্টার নির্দেশ মানার দিক বিবেচনায় মানুষ কয়েক শ্রেণীর হয়ে থাকে। যেমন : কাফের, তাগুত,মুশরিক,মুনাফেক, ঈমানদার। ঈমানদার হচ্ছে আল্লাহর গোলামীর স্বীকৃতি দানকারী ব্যক্তি।
দুনিয়া ও আখেরাতে সেরা হতে হলে সর্বপ্রথম আল্লাহর গোলামীর স্বীকৃতি দিতে হবে।
গোলামুল্লাহ (আল্লাহর দাস): মানুষকে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন সৃষ্টিই করেছে তার গোলামীর জন্য। তিনি আমাদের রব আমরা তার গোলাম এ স্বীকৃতি নিয়ে তিনি আমাদেরকে দুনিয়াতে পাঠিয়েছেন। রুহের জগতে তিনি আমাদের জিজ্ঞেস করেছিলেন -আর স্মরণ কর, যখন তোমার রব বনী-আদমের পৃষ্ঠদেশ হতে তাদের বংশধরকে বের করলেন এবং তাদেরকে তাদের নিজদের উপর সাক্ষী করলেন যে, ‘আমি কি তোমাদের রব নই’? তারা বলল, ‘হ্যাঁ, আমরা সাক্ষ্য দিলাম।’ যাতে কিয়ামতের দিন তোমরা বলতে না পার যে, নিশ্চয় আমরা এ বিষয়ে অনবহিত ছিলাম।( সুরা আরাফ ১৭২)
এর পর আমাদেরকে দুনিয়ায় পাঠানোর পর বারবার সর্তক কারীদের মাধ্যমে সতর্ক করেছেন। আল্লাহ বলেন :আমি জ্বিন ও মানবকে সৃষ্টি করেছি একমাত্র এ কারণে যে, তারা আমারই ‘ইবাদাত করবে।(সুরা যারিয়াত ৫৬)
তোমরা আল্লাহর ইবাদত কর ও কোন কিছুকে তাঁর অংশীদার করো না এবং পিতা-মাতা, আত্মীয়-স্বজন, পিতৃহীন, অভাবগ্রস্ত, আত্মীয় ও অনাত্মীয় প্রতিবেশী, সঙ্গী-সাথী, পথচারী এবং তোমাদের অধিকারভুক্ত দাস-দাসীদের প্রতি সদ্ব্যবহার কর। (সূরা নিসা-০৪:৩৬)
সুরা আল বাইয়েনাহতে আল্লাহ বলেন :তাদেরকে তো এছাড়া আর কোন হুকুম দেয়া হয়নি যে, তারা নিজেদের দ্বীনকে একমাত্র আল্লাহর জন্য নির্ধারিত করে একনিষ্ঠভাবে তাঁর ইবাদাত করবে, নামায কায়েম করবে ও যাকাত দেবে, এটিই যথার্থ সত্য ও সঠিক দ্বীন।
এভাবে বহু আয়াতের মাধ্যমে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন তাঁর আর আমাদের মধ্যে কি সম্পর্ক তা স্পষ্ট করে বলেছেন। তিনি আমাদের রব আর আমরা তার গোলাম।
গোলাম কেবলমাত্র তার মালিকের দাসত্ব করবে অন্য কারো নয়,তাঁর হুকুম পালন করবে, এছাড়া অন্য কারো হুকুম অনুসরণ করবে না। এবং শুধুমাত্র তাঁরই সামনে সম্মান সম্ভ্রম প্রকাশের জন্য মাথা নত করবে, অন্য কারো সামনে নয়।
অনেকে গোলাম আর চাকরকে এক মনে করেন। কিন্তু গোলাম আর চাকর এক নয়! কারন চাকর চাইলে চাকরি ছেড়ে অন্য জায়গায় চাকরি নিতে পারেন। আর গোলাম এটা পারেননা কারণ সে স্বাধীন নয়। তবে গোলাম যদি তার মনিবকে খুশী করতে পারেন তাহলে মনিব তার গোলামকে পুরস্কৃত করেন ।
মানুষের মধ্যে যে ঈমান এনেছে সে এক আল্লাহর দাসত্ব করার স্বীকৃতি দিয়েছেন। ঈমান আনার সাথে সাথে সে গোলামুল্লাহ। গোলামুল্লাহ কাজই হলো তার মনিবকে খুশী করা। সে যখন মনিবের ইবাদাত করবে তা আন্তরিকতার সাথে করবে। যখন অন্য মানুষের সাথে লেন দেন করবে তখন আল্লাহ সন্তুষ্টির বিষয় খেয়াল রাখবে। নিজ চরিত্রের হেফাজত করবে। সর্বোপরি আল্লাহর দেওয়া সীমারেখার বাহিরে কখনো যাবে না। এ মানের গোলামুল্লাহদেরকে আল্লাহ দুনিয়া ও আখেরাতে পুরস্কৃত করবেন। অনেক গোলামুল্লাহ দুনিয়াতে নানান পরিক্ষার মধ্যে দিনাতিপাত করেন। কিন্তু আল্লাহ এ সকল গোলামদেরকে মানুষের চোখে সম্মানীত করে রাখেন।
গোলামুল্লাহ বা আল্লাহ দাসরা শুধু নিজেদের নিয়েই ব্যাস্ত থাকার সুযোগ নেই। কারন আল্লাহ তা’য়ালা তাদেরকে পাঠিয়েছে খলিফা হিসাবে।
খলিফাতুল্লাহ (আল্লাহর প্রতিনিধি)
আল্লাহ মানুষকে পৃথিবীতে তাঁর প্রতিনিধি বা খলিফা হিসেবে পাঠিয়েছেন। খলিফাহ আরবি শব্দ, যার অর্থ প্রতিনিধি। ঈমানদারগন খলিফাতুল্লাহ ও খলিফাতুর রাসুলুল্লাহ। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন মানুষকে দুনিয়াতে পাঠানোর সিদ্ধান্তটা ফেরেস্তাদেরকে যেভাবে বলেছিলেন :আবার সেই সময়ের কথা একটু স্মরণ কর যখন তোমাদের রব ফেরেশতাদের বলেছিলেন, “আমি পৃথিবীতে একজন খলীফা- প্রতিনিধি নিযুক্ত করতে চাই।” তারা বললো, “আপনি কি পৃথিবীতে এমন কাউকে নিযুক্ত করতে চান যে সেখানকার ব্যবস্থাপনাকে বিপর্যস্থ করবে এবং রক্তপাত করবে? আপনার প্রশংসা ও স্তুতিসহকারে তাসবীহ পাঠ এবং আপনার পবিত্রতা বর্ণনা তো আমরা করেই যাচ্ছি।” আল্লাহ বললেন, “আমি জানি যা তোমরা জানো না।(আল-বাক্বারাহ, আয়াত: ৩০)
তিনিই তোমাদের করেছেন দুনিয়ার প্রতিনিধি এবং যা কিছু তোমাদের দিয়েছেন তাতে তোমাদের পরীক্ষার উদ্দেশ্যে তোমাদের কাউকে অন্যের ওপর অধিক মর্যাদা দান করেছেন। নিঃসন্দেহে তোমার রব শাস্তি দেবার ব্যাপারে অতি তৎপর এবং তিনি অত্যন্ত ক্ষমাশীল ও করুণাময়। (সূরা আল-আন’আম:১৬৫)
হে মুসলিমগণ! আল্লাহ তোমাদের যাবতীয় আমানত তার হকদারদের হাতে ফেরত দেবার নির্দেশ দিচ্ছেন। আর লোকদের মধ্যে ফায়সালা করার সময় “আদল” ও ন্যায়নীতি সহকারে ফায়সালা করো। আল্লাহ্ তোমাদের বড়ই উৎকৃষ্ট উপদেশ দান করেন। আর অবশ্যই আল্লাহ সবকিছু শোনেন ও দেখেন।(আন-নিসা, আয়াত: ৫৮)
উপরোক্ত আয়াত গুলো থেকে বুঝা যায়, মানুষের ওপর দায়িত্ব হলো আল্লাহর বিধান অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করা এবং ন্যায় ও সত্য প্রতিষ্ঠা করা। এ কাজে গাফিলতি করার সুযোগ নেই। কারন এ ব্যাপারে জিজ্ঞেসিত হতে হবে।
রাসূল (সা.) বলেছেন: “তোমাদের প্রত্যেকেই একজন রাখাল, এবং তার দায়িত্বের ব্যাপারে তাকে জবাবদিহি করতে হবে।” (বুখারি ও মুসলিম)
আরেক হাদিসে এসেছে, “সেরা নেতা সে, যে তার জনগণের জন্য দায়িত্বশীল ও বিশ্বস্ত হয়।”(তিরমিজি) এ থেকে বোঝা যায়, খলিফার দায়িত্ব হচ্ছে জনগণের সেবা করা, জুলুম দূর করা এবং সৎ পথে পরিচালিত করা।
মাওলানা আবুল আলা মওদূদী (রহ.) বলেন— খিলাফত মানে এককভাবে কারো রাজত্ব করা নয়; বরং এটি আল্লাহর দেওয়া বিধান বাস্তবায়ন করার জন্য দায়িত্বশীলতা। ইসলামিক খিলাফত মানে হলো, আল্লাহর সার্বভৌমত্ব মেনে জনগণের কল্যাণে পরিচালিত শাসনব্যবস্থা।
খলিফার কাজ হলো সমাজে সুবিচার, ইসলামের শিক্ষা বাস্তবায়ন ও মানুষের অধিকার নিশ্চিত করা।
এ কাজে সর্বশক্তি নিয়োগ করা আল্লাহর নির্দেশ, আল্লাহ রাব্বুল আলামিন স্বয়ং তাঁর রাসুলকে এ কাজ করার নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি বলেন : তিনিই সেই মহান সত্তা যিনি তাঁর রসূলকে হিদায়াত এবং ‘দ্বীনে হক’ দিয়ে পাঠিয়েছেন যাতে তিনি এ দ্বীনকে অন্য সকল দ্বীনের ওপর বিজয়ী করেন, চাই তা মুশরিকদের কাছে যতই অসহনীয় হোক না কেন।(আস-সফ, আয়াত: ৯)
ইমাম গাজ্জালি (রহ.) বলেন: “যদি খলিফা ন্যায়পরায়ণ হয়, তবে সমাজ শান্তি ও কল্যাণ লাভ করবে। কিন্তু যদি সে অন্যায় করে, তাহলে সারা সমাজ ধ্বংসের দিকে ধাবিত হবে।” প্রায় ধ্বংস প্রাপ্ত সমাজ ব্যাবস্থা থেকে একটি স্বর্নালী সমাজ প্রতিষ্ঠা করে পৃথিবীর ইতিহাসে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন নবী মুহাম্মাদ (সাঃ)।
আজকের অশান্ত পৃথিবীতে শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে হলে আল্লাহ বিধান ও সাইয়্যেদেনা নবী মুহাম্মাদ সাঃ এর রেখে যাওয়া প্রদ্ধতি অনুসরণ অত্যাবশ্যক।
লেখক : আবু নাঈম মু শহীদুল্লাহ্
সভাপতি সিআরসিআইপিটি ( CRCIPT)