প্রাচীন যুগ থেকে বর্তমান অবধি পর্যন্ত উপন্যাস ,ইতিহাস,সাহিত্যে ও দর্শন নানাবিধ বিষয়ে লাখ লাখ লেখক ও সাহিত্যিক লেখনীর মাধ্যমে নিজেদের চিন্তা ও মত প্রকাশ করেছেন । বিদগ্ধ ব্যক্তিদের জ্ঞানগর্ব লেখনীর মাধ্যমে একই চিন্তার মানুষেরা উপকৃত হয়েছেন এবং হচ্ছেন । বিদগ্ধ মহান ব্যক্তিদের লেখা ও বক্তব্যের মাধ্যমে আমরা দেখতে পাই মত ও চিন্তা প্রকাশ করতে গিয়ে ওনাদের কেউ আস্তিক আবার কেউ নাস্তিক এর ভূমিকা অবলম্বন করেছেন । নাস্তিক লেখকদের নিয়ে এ প্রবন্ধে আমার কোন বক্তব্য নেই ।আমি আস্তিক লেখক ও সাহিত্যিক সম্মানিত বন্ধুদের নিয়ে কিছু বলতে চাই । আমরা যারা পরকালে বিশ্বাসী আমাদের লিখনীতে সর্বোবস্থায় সর্তকতা অবলম্বন করতে পারলে মৃত্যুর পরেও এলেখাগুলো আমাদের উপকারে আসবে । এটা শুধু আমার মত নয় স্বয়ং বিশ্ব মানবতার মহান শিক্ষক সাইয়্যেদিনা মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন ।যখন কোন মানুষ মারা যায়, তখন তার কর্ম বন্ধ হয়ে যায়। কিন্তু তিনটি জিনিস চালু থাকবে -সাদকা জারিয়াহ, এমন বিদ্যা যার দ্বারা মানুষ উপকৃত হয় এবং সৎ সন্তান যে তার জন্য দোআ করে।
লেখক সাহিত্যিকগন তিনাদের লেখনী ও গবেষণার মাধ্যমে মানুষের উপকার করতে পারেন ।আমরা যদি একটু পিছনের দিকে ফিরে দেখি তাহলে দেখতে পাই পৃথিবীকে এপর্যন্ত আস্তিক লেখক ও গবেষকগন যা দিয়েছেন তা সকলের কল্যাণে কাজে লেগেছে এবং এখনো তিনাদের গবেষণা মানুষের কল্যাণে ব্যবহার হচ্ছে । যদিও তথ্য সন্ত্রাসের কারনে এসকল উপকারী লেখক ও গবেষকদের নাম মানুষ ভুলতে বসেছে । যেমন-
রসায়নের জনক-(জাবির ইবনে হাইয়ান)।
বিশ্বের শ্রেষ্ঠ ভূগোলবিদ-(আল-বেরুনি)
আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক-(ইবনে সিনা)
হৃদযন্ত্রে রক্ত চলাচল আবিষ্কারক-(ইবনুল নাফিস)
বীজগর্ণিতের জনক-(আল-খাওয়ারিজমি)
পদার্থ বিজ্ঞানে শূন্যের অবস্থান নির্ণয়কারী – (আল-ফারাবি) আলোক বিজ্ঞানের জনক – (ইবনে আল-হাইছাম) এনালিটিক্যাল জ্যামিতির জনক-(ওমর খৈয়াম) সাংকেতিক বার্তার পাঠোদ্ধারকারী-(আল-কিন্দি) গুটিবসন্ত আবিষ্কারক-(আল-রাজি)
টলেমির মতবাদ ভ্রান্ত প্রমাণকারী-(আল-বাত্তানি)
ত্রিকোণমিতির জনক-(আবুল ওয়াফা)
স্টাটিক্সের প্রতিষ্ঠাতা-(ছাবেত ইবনে কোরা)
পৃথিবীর আকার ও আয়তন নির্ধারণকারী-(বানু মুসা) মিল্কিওয়ের গঠন শনাক্তকারী – (নাসিরুদ্দিন তুসি) এলজাব্রায় প্রথম উচ্চতর পাওয়ার ব্যবহারকারী-(আবু কামিল)ল’ অব মোশনের পথ প্রদর্শক-(ইবনে বাজ্জাহ) এরিস্টোটলের দর্শন উদ্ধারকারী-(ইবনে রুশদ) ঘড়ির পেন্ডুলাম আবিষ্কারক-(ইবনে ইউনূস) পৃথিবীর ব্যাস নির্ণয়কারী-(আল-ফরগানি) পৃথিবীর প্রথম নির্ভুল মানচিত্র অঙ্কনকারী – (আল-ইদ্রিসী)বিশ্বের প্রথম স্বয়ংক্রিয় যন্ত্রের আবিষ্কারক-(আল-জাজারি) সূর্যের সর্বোচ্চ উচ্চতার গতি প্রমাণকারী -(আল-জারকালি)মানবজাতির সংক্ষিপ্ত ইতিহাস প্রণেতা-(আবুল ফিদা) বৈজ্ঞানিক বিপ্লবের অগ্রদূত-(ইবনে আল-শাতির) ভূগোলে বিশ্বকোষ প্রণেতা-(আল-বাকরি)প্ল্যানেটারি কম্পিউটার আবিষ্কারক-(আল-কাশি)বীজগণিতের প্রতীক উদ্ভাবক-(আল-কালাসাদি)। এসকল মহান ব্যক্তিদের নাম মানুষ না জানলেও তাদের কর্মে মানুষ উপকৃত হচ্ছে ।
তেমনি বহু সাহিত্যিক সাংবাদিকদের নামও আমরা জানিনা যাদের সুন্দর লেখনী ও সঠিক তথ্য নির্ভর সংবাদ প্রচারের মাধ্যমে মানুষ উপকৃত হয়েছে এখনো হচ্ছে ।
লেখক:আবু নাঈম মু শহীদুল্লাহ
চলবে…