জুড়ী প্রতিনিধি: মৌলভীবাজারের জুড়ী উপজেলা সদরের কামিনীগন্জবাজার ও ভবানীগন্জবাজারের চলমান যানজট নিরসন ও যত্র তত্র খোলাবাজারে পণ্য সামগ্রী বিক্রয় বন্ধের লিখিত আবেদন করেছেন উপজেলার সর্বোচ্চ বিদ্যাপীঠ তৈয়বুননেছা খানম সরকারি কলেজ ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি এ আর সাজেদ।
গতকাল সোমবার(১২ জুন) উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত একখানা আবেদনে তিনি দাবি করেন উল্রেখিত দুটি বাজার জেলার মধ্যে ঐতিহ্যবাহি হাটবাজার।প্রতিদিন এই বাজারগুলোতে উপজেলার ছয়টি ইউনিয়ন থেকে হাজার হাজার মানুষ তাদের দৈনন্দিন কাজে আসে। উক্ত বাজারের মধ্যদিয়ে তৈয়বুননেছা খানম সরকারি কলেজ,জুড়ী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয়,মক্তদীর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়,দঃজাঙ্গিরাই ও হরিরামপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহ বিভিন্ন কিন্ডারগার্টেন স্কুল, মাদ্রাসার কয়েকহাজার ছাত্র ছাত্রীরা প্রতিনিয়ত যাতায়াত করে থাকে।অথচ সকাল থেকে রাত পর্যন্ত কামিনীগন্জবাজারের জুড়ী ডাকঘর সড়ক হইতে ভবানীগন্জবাজারের আব্দুল আজিজ মেডিকেল সেন্টার পর্যন্ত শহরের প্রধান সড়কের দুপাশে অসংখ্য সিএনজি, অটোরিকশা, পিকআপ ভ্যান,ট্রাক,যাত্রীবাহী বাস অবৈধভাবে পার্কিং Brad সড়কে যানজট সৃষ্টির ফলে ছাত্র ছাত্রীদের চলাচলে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।পাশাপাশি ঐসব স্হানে ফুটপাত দখল করে ভ্রাম্যমাণ ব্যবসায়ীরা দীর্ঘদিন থেকে অবৈধভাবে দোকান খুলে ব্যবসা করার কারণে সাধারণ মানুষের চলাচলে সীমাহীন কষ্ট হচ্ছে।বার বার এসব ফুটপাত উচ্ছেদ হলে ও দ্রুততম সময়ের মধ্যে ফের দখল হয়ে যায়।ফুটপাতে অবৈধ দোকান বসার ফলে মানুষ পায়ে হেটে চলাচল একেবারে বন্ধ হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিচ্ছে।সড়কে যত্রতত্র গাড়ী পার্কিং করে এবং ফুটপাত দখল করে অবৈধভাবে দোকানপাট খুলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির ফলে মানুষ আজ দিশেহারা।এ ছাড়া যানজটের ফলে মানুষের জরুরি কাজ যেমন রোগী নিয়ে দ্রুত সময়ে হাসপাতালে যাওয়া কিংবা নির্ধারিত সময়ে ট্রেন ও বাস ষ্টেশনে পৌছা অনেক কষ্টকর।সব ধরণের গাড়ীর নির্ধারিত ষ্ট্যান্ডের ব্যবস্হা ও নির্ধারিত বাজারে ফুটপাতের ব্যবসায়ীদের কে সুযোগ সৃষ্টি করে ফুটপাত দখলমুক্তের মাধ্যমে জুড়ী বাজারের যানজট স্হায়ীভাবে নিরসন করার প্রয়োজনীয় ব্যবস্হা গ্রহণের জোর দাবী জানানো হয়।