৭ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন (এপিবিএন) সিলেট এর অধিনায়ক খো: ফরিদুল ইসলাম এর তৎপরতায় ৮১ টি মোবাইল উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি ৭ এপিবিএনের অধিনায়ক হিসেবে (অতিরিক্ত ডিআইজি) খন্দকার ফরিদুল ইসলাম যোগদানের পর থেকে অবৈধ মাদক, অস্ত্র উদ্ধার অভিযানের পাশাপাশি চুরি হওয়া এবং হারানো মোবাইল উদ্ধারে বিশেষ গুরুত্ব আরোপ করেন। তার নির্দেশনা মোতাবেক ৭এপিবিএন এর সাইবার ও অপারেশন টিম চোরাই ও হারিয়ে যাওয়া মোবাইল উদ্ধারে মাঠে নামে। সাইবার ও অপারেশন টিম তাদের নিজস্ব প্রযুক্তি ব্যবহার করে এখন পর্যন্ত ৮১ টি মোবাইল উদ্ধার করে প্রকৃত মালিকের নিকট হস্তান্তর করেছে। তার এ ব্যতিক্রমী উদ্যোগ সিলেটের সর্বমহলে বেশ প্রসংশা কুড়িয়েছে।
৭ আমর্ড পুলিশ ব্যাটালিয়ন সিলেট সরকারের নির্দেশনা মোতাবেক মাদক উদ্ধারে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে দীর্ঘ দিন থেকে সফলতার সহিত কাজ করে আসছে। তাদের সফলতায় নতুন করে যুক্ত হল মোবাইল উদ্ধার। সিলেট বিভাগের ৪ টি জেলার পাশাপাশি ব্যাটালিয়ন এর রিয়ার সদর আশুলিয়া ঢাকা এবং অস্থায়ী সদর খাগড়াছড়ির বিভিন্ন এলাকায় নিয়মিত ভাবে মাদক উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করে দেশি বিদেশি মদ, গাজা, ইয়াবাসহ বিভিন্ন প্রকার মাদকের পাশাপাশি ভারত থেকে অবৈধ ভাবে চোরাই পথে আসা মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। এছাড়া পুলিশের এই ব্যাটালিয়ন ওসমানী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নিরাপত্তা প্রদানের পাশাপাশি কাস্টমসসহ বিমানবন্দরে কমর্রত বি়ভিন্ন সংস্থার সাথে মিলে অবৈধ ভাবে আসা স্বণের বার, মাদক, সিগারেট এবং বর্হিগমন যাত্রীর কাছ থেকে বিভিন্ন প্রকার জর্দা ও আগর উদ্ধার করে আসছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে (অতিরিক্ত ডিআইজি) খন্দকার ফরিদুল ইসলাম জানান, দেশকে মাদক ও জঙ্গিমুক্ত করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে বাংলাদেশ পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে, তারই ধারাবাহিকতায় আইজিপি মহোদয় এবং এপিবিএন এর অতিরিক্ত আইজি মহোদয়ের নির্দেশনায় আমরা মাদক উদ্ধার ও জঙ্গি তৎপরতা রুখে দিতে কাজ করে যাচ্ছি। নতুন করে হারানো মোবাইল উদ্ধার অভিযান শুরু করেছি এবং অফিসার ফোর্সের অক্লান্ত পরিশ্রমের কারনে সফলতা পাচ্ছি। এ ধারা অব্যাহত থাকবে বলে তিনি আশ্বস্ত করেন। তিনি এ ব্যাপারে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
উল্লেখ্য,খন্দকার ফরিদুল ইসলাম ২০ তম বিসিএস এর মাধ্যমে বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন। চাকুরী জীবনে তিনি বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপারসহ অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সততা ও সফলতার সহিত পালন করেন।