ঢাকাবৃহস্পতিবার , ১৮ মে ২০২৩
  1. International
  2. অন্যান্য
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. উৎসব
  6. খেলাধুলা
  7. চাকুরী
  8. জাতীয়
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম
  11. পরামর্শ
  12. প্রবাস
  13. ফরিদপুর
  14. বিনোদন
  15. বিয়ানীবাজার
আজকের সর্বশেষ সবখবর

সিসিক নির্বাচন বর্জন করলেন কয়েস লোদী

ডাক বাংলা
মে ১৮, ২০২৩ ২:০০ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচন সুষ্ট হওয়া সম্ভব নয়, এই সরকারের পাতানো যে কোনো নির্বাচনে অংশগ্রহণ দল, দলের নেতৃত্ব, দেশ ও জাতি এবং সর্বোপরি গণতান্ত্রিক আন্দোলনে শহীদদের রক্তের সাথে বিশ্বাসঘাতকতার বলে মন্তব্য করে আসন্ন সিলেট সিটি কর্পোরেশন (সিসিক) নির্বাচন বর্জন করার ঘোষনা দিয়েছেন সিলেট সিটির ৪নং ওয়ার্ডের টানা ৪ বারের নির্বাচিত কাউন্সিলর, সাবেক প্যানেল মেয়র (১) ও মহানগর বিএনপির সদস্য সাবেক যুগ্ন আহবায়ক রেজাউল হাসান কয়েস লোদী।

বৃহস্পতিবার বিকেলে নগরীর একটি অভিজাত রেস্টুুরেন্টের হল রুমে আয়োজিত এক জনাকীর্ণ সংবাদ সম্মেলন করে নির্বাচন বর্জনের ঘোষণা দেন তিনি।

সংবাদ সম্মলনে কাউন্সিলর রেজাউল হাসান কয়েস লোদী বলেন, আমি সিলেট সিটি কর্পোরেশনের ৪ নং ওয়ার্ডের টানা চার বারের নির্বাচিত কাউন্সিলর ছাড়াও সিলেট সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর দের প্রত্যক্ষ ভোটে নির্বাচিত প্যানেল মেয়র (১) ছিলাম। আসন্ন সিলেট সিটি কর্পোরেশনসহ কোনো নির্বাচনে বিএনপি দলীয় ভাবে অংশ নিচ্ছে না। তাই দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমানের নির্দেশে দলীয় সিদ্ধান্তের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আমিও এই প্রহসনের নির্বাচন বর্জন করলাম।

কয়েস লোদী বলেন, ২০০২ সালে সিলেট সিটি কর্পোরেশন ঘোষিত হওয়ার পর শুরু থেকেই অদ্যাবধি আমি নগর ভবনে ৪ নং ওয়ার্ডের জনগনের প্রতিনিধিত্ব করে আসছি। দীর্ঘ এই ২০ বছরে ওয়ার্ড বাসী টানা ৪ বার আমাকে বিপুল ভোটে কাউন্সিলর নির্বাচিত করেছেন। সিসিকের প্রথম নির্বাচনে মাত্র ৩০ বছর বয়সে মানুষ আমার প্রতি যে আস্তা ও বিশ্বাস রেখেছিলেন তা আজো অব্যাহত রেখেছেন। ওয়ার্ডবাসী আমাকে যে ভালোবাসা ও সম্মান দিয়েছেন এই ঋণ আমি কোন দিনই শোধ করতে পারব না। যত দিন বেঁচে থাকব তা আমার জন্য বাকি জীবনের অনুপ্রেরণা হয়ে থাকবে।

তিনি বলেন- দেশে আজ গণতন্ত্র, ভোটাধিকার, বাক স্বাধীনতা ও সুশাসন বলতে কিছুই নেই। দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে মানুষ আজ দিশেহারা। অনাহারে অর্ধাহারে দিন কাটাচ্ছে মানুষ। বাংলাশের ইতিহাসে সবচেয়ে সফল সাবেক প্রধানমন্ত্রী, বিএনপির চেয়ারপার্সন, আপোষহীন নেত্রী, দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া এখনো মুক্ত নন। বিদেশে গিয়ে উন্নত চিকিৎসা নিতে পারছেন না। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান দেশনায়ক তারেক রহমান সরকারের ষড়যন্ত্রের শিকার হয়ে দেশে ফিরতে পারছেন না। মানুষ নিজের ইচ্ছে মতো ভোট দিতে পারছে না, নির্বাচনে লেভেল প্লেইং ফিল্ড নেই, নির্বাচন কমিশন সরকারের আজ্ঞাবহ। দেশে গণতন্ত্র নেই, বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এম ইলিয়াস আলী, ছাত্রদল নেতা ইফতেখার আহমদ দিনার, জুনায়েদ আহমদ, আনসার আলী সহ বিএনপির অসংখ্য নেতাকর্মীদের গুম করে রাখা হয়েছে। বিএনপির নেতাকর্মীদের নামে শত শত মামলা চলমান। অসংখ্য নেতাকর্মী আজ কারাগারে বন্দি। আমাকেও একাধিক মিথ্যে মামলার আসামী হয়ে হাজিরা দিতে হচ্ছে।

কয়েস লোদী বলেন-সিলেট সিটি কর্পোরশেন নির্বাচনকে সামনে রেখে গত কয়েক দিনে সিলেট সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আবুল কাশেম, সিলেট মহানগর বিএনপির সাবেক প্রচার সম্পাদক শামীম মজুমদার এমনকি ৪ নং ওয়ার্ডে কর্মরত সিসিকের পানি শাখার কর্মচারী সাইফুর রহমান ইমন সহ নগরীর ৪২ টি ওয়ার্ডের বহুসংখ্যক নেতাকর্মীদের গ্রেফতার করা হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে আওয়ামীলীগ ও আওয়ামী লীগে আজ্ঞাবহ এই নির্বাচন কমিশনের অধিনে কোন ভাবেই সুষ্ট নির্বাচন সম্ভব নয়।

তিনি আরো বলেন, চলমান গণতান্ত্রিক আন্দোলনে অসংখ্য নেতাকর্মীকে নির্বিচারে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। এমন অবস্থায় নির্বাচনে অংশ নেয়া মানে দলের শহীদ নেতাকর্মীদের রক্তের সাথে বেঈমানী করা, দল ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান এমনকি জিয়া পরিবারের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করা। সর্বোপোরী দেশের মুক্তিকামী কোটি কোটি জনগনের সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করা। তাই এমন সংকটময় পরিস্থিতিতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ‘দেশনায়ক’ তারেক রহমানের নির্দেশক্রমে আমি রেজাউল হাসান কয়েস লোদী আসন্ন সিলেট সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন বর্জন করার ঘোষনা দিলাম। বিএনপির দলীয় সিদ্ধান্ত মোতাবেক এই সরকার ও সরকারের আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশনের অধিনে আমি কোন নির্বাচনে প্রতিদ্বন্ধিতা করব না।’

তিনি বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান বলেছেন- ‌’ব্যাক্তির চেয়ে দল বড়, দলের চেয়ে দেশ বড়’। তাই ব্যাক্তিগত স্বার্থকে জলাঞ্জলি দিয়ে দল ও দেশের স্বার্থে নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। আমি যেহেতু বিএনপির কর্মী, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শ বুকে লালন করি, সেহেতু আমার ব্যাক্তিগত চাওয়া পাওয়ার চেয়ে আমার দল ও আমার দেশ বড়। আমার কাছে দলের সিদ্ধান্তই চুড়ান্ত।

তিনি সাংবাদিকদের মাধ্যমে নিজ দলের সকল নেতাকর্মী সহ সিলেটবাসীর কাছে তার ভাষায় প্রহসনের নির্বাচন বর্জনের আহ্বান জানিয়ে বলেন ‘দেশনেত্রী’ বেগম খালেদা জিয়াকে বন্দি রেখে, দেশনায়ক তারেক রহমানকে দেশের বাহিরে রেখে, সর্বোপরি এদেশের মানুষকে চরম নির্যাতনের মধ্যে রেখে দেশে কোন নির্বাচন হতে পারে না।

সরকারের প্রতি আহবান জানিয়ে কয়েস লোদী বলেন- আপনাদের শুভ বুদ্ধির উদয় হউক। অবিলম্বে পদত্যাগ করে একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধিনে অবাধ, সুস্ঠ এবং গ্রহনযোগ্য নির্বাচন দিয়ে জনগনের প্রতিনিধির কাছে ক্ষমতা হস্তাস্তর করুন। সময় আর বেশী বাকি নেই, জনগনের বিজয় হবে এবং সবার সাথে রাজপথে দেখা হবে ইনশাআল্লাহ।