জুড়ী প্রতিনিধি : শিক্ষকের পরিবর্তে একটি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পিয়ন নিলেন শিক্ষার্থীদের ষান্মাসিক পরীক্ষা।
জানা যায়,বুধবার (১৭ মে) ছিল জুড়ী উপজেলার গোয়ালবাড়ী ইউনিয়নের কচুরগুল সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ষান্নাসিক পরীক্ষার ৩য় দিন।সকাল ১০ টা পর্যন্ত কোন শিক্ষক উপস্থিত না হওয়ার কারনে শিক্ষক ছাড়াই পরীক্ষা গ্রহন করেন বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী তারেকুল ইসলাম।সকাল ১১,৩০ মিনিট পর্যন্ত তার তদারকিতে পরীক্ষা চলে।পরে এক অভিভাবক সেখানে উপস্থিত হয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে লাইভ দিলে শিক্ষক উপস্থিত হোন।
বিদ্যালয়ের মোট ৪ জন শিক্ষকের মধ্যে ১ জন ও শিক্ষক উপস্থিত না হয়ে বিদ্যালয়ের চতুর্থ শ্রেনীর কর্মচারী দিয়ে পরীক্ষা গ্রহন করানোর খবরে স্থানীয় অভিভাবক মহলে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে।
দপ্তরী তারেকুল ইসলাম জানান, পরীক্ষার সময় পেরিয়ে গেলে কোন স্যার না আসায় প্রধান শিক্ষককে টেলিফোন করি এবং তিনির নির্দেশে আমি পরীক্ষা গ্রহন শুরু করি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মস্তুফা উদ্দিন সুনু নামের এক অভিভাবক জানান, আজকে শুধু পরীক্ষার দিন নয়, এমনিভাবেই চলে নিত্যদিন। তাদের বিরুদ্ধে আমরা অভিভাবকরা ব্যর্থ। বিদ্যালয়ে আসলে ও নিয়মিত ক্লাস না করিয়ে চলে শিক্ষকদের আড্ডা। আজকে পরীক্ষার দিন ও কোন শিক্ষক না থাকায় আমরা অভিভাবক সদস্য ফারুক আহমদকে বিষয়টি জানালে তিনি উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট অবগত করেন।
ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্বে থাকা সামছ উদ্দিন জানান, বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জেসমিন আক্তার মাতৃত্বকালীন ছুটিতে আছেন।আমি বিদ্যালয়ের কাজে বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতির বাড়ীতে যাই। খবর পেয়ে তিনি টেলিফোনে একজন শিক্ষিকাকে পাঠালে বৃষ্টির কারনে শিক্ষিকা বিদ্যালয়ে উপস্থিত হতে দেরি হয়ে যায়।
উপজেলা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা মো মহিউদ্দিন এ ঘটনা স্বীকার করে বলেন, শিক্ষকদের বিরুদ্ধে শোকজ নোটিশ পাঠানো হয়েছে।জবাব পাওয়ার পর পরবর্তীতে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।