বুধবার (১৭ মে) মাগরিবের নামাজের পর তিনি দরগাহ মাদরাসায় তাঁর নিজ বিশ্রামকক্ষে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে মুফতি মুহিব্বুল হকের বয়স হয়েছিল ৭৮ বছর।
মৃত্যুর বিষয়টি দৈনিক ডাক বাংলা-কে নিশ্চিত করেছেন আঞ্জুমানে হেফাজতে ইসলাম সিলেট মহানগর শাখার সহ সম্পাদক মাওলানা নিয়ামত উল্লাহ খাছদবীরি।
তিনি বুধবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে সিলেটভিউ-কে বলেন- ‘বুধবার দিনে কোম্পানীগঞ্জে কয়েকটি মাহফিলে হুজুর অংশগ্রহণ করেন। আছরের নামাজ এসে আদায় করেন দরগাহ মাদরাসায়। আছরের পরে হুজুর তাঁর বিশ্রামকক্ষে ছিলেন। মাগরিবের ওয়াক্তে হুজুরের শারীরিক অবস্থা হঠাৎ খারাপ হয়। মাগরিবের নামাজ শেষে সঙ্গে সঙ্গে হুজুরকে সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। চিকিৎসকরা বলেছেন- হুজুর স্ট্রোক করেছেন। বর্তমানে হুজুরের লাশ দরগাহ মাদরাসায় রাখা হয়েছে। গাছবাড়ি হুজুরের জানাযা আগামীকাল ২:৩০ মিনিটে শাহী ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত হবে।
এদিকে, শায়খুল হাদিস মাওলানা মুফতি মুহিব্বুল হক (গাছবাড়ি)-এর ইন্তেকালের খবরে সিলেটের আলেমসমাজসগ ধর্মপ্রাণ মানুষের মাঝে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তাঁকে একনজর দেখার জন্য দরগাহ মাদরাসায় নামতে শুরু করেছে জনতার ঢল। মুহিব্বুল হক (গাছবাড়ি) সিলেটের সর্বস্তরের মানুষের কাছে অত্যন্ত শ্রদ্ধার পাত্র ছিলেন।