যুক্তরাজ্য প্রবাসীর টাকা আত্মসাত ও প্রতারণার অভিযোগে নবীগঞ্জের অমরপুরের বাসিন্দা দুই তরুণীর বিরুদ্ধে মামলায় জামিন লাভ করেছেন ।
গত ১১ এপ্রিল মঙ্গলবার সিলেটের অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করে। দুই তরুণী হচ্ছেন- হবিগঞ্জের নবীগঞ্জ উপজেলার উমরপুরের বাসিন্দা শাহ রাজা মিয়ার কন্যা সাবেক নবিগঞ্জ থানার দিঘলবাঘ ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মৃত এরশাদ উল্লার ছোট পুত্র মিজানুর রহমান মিজানের স্ত্রী শাহ নাদিয়া বেগম ও শালী শাহ সাদিয়া বেগম।
জানা গেছে, সিলেট নগরীর রায়নগর সোনারপাড়াস্থ (রাসোস- ২০) লন্ডন প্রবাসী সাউল মিয়া উরফে সাবুল মিয়ার বাসায় ভাড়াটিয়া হিসেবে নাদিয়া ও সাদিয়া ২০২০ সালের মার্চে উঠেন। আত্মীয়তার সুবাদে তাদেরকে ২য় তলায় নিজস্ব ব্যবহৃত অংশ বিনা ভাড়ায় থাকতে দেয়া হয়। তবে শর্ত দেয়া হয়, ভাড়াটিয়াদের নিকট হতে ভাড়া আদায় করে প্রবাসীর ব্যাংক একাউন্টে জমা দিতে হবে। ভাড়া আদায়ের পাশাপাশি তাদের নিকট বাসার কাজের জন্যে লন্ডন থেকে টাকাও পাঠানো হয়। দুই বছর অবস্থানের পর তারা কাউকে না বলে বাসার মালামাল নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় নাদিয়া-সাদিয়াকে আসামীকে করে অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রবাসীর কেয়ারটেকার কবির হোসেন বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেন (মামলা নং- ৯০৩/২০২২)। কোতোয়ালী থানার এসআই মো. আজিজুল হক তদন্ত শেষে গত ১৩ ডিসেম্বর আদালতে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেন। এতে বলা হয়, শাহ নাদিয়া বেগম ও শাহ সাদিয়া বেগম প্রবাসীর কাছ থেকে নগদ ৫ লাখ ১৮ হাজার ৩৫০ টাকাসহ বাসা ভাড়ার টাকা আত্মসাত করত: বিভিন্ন মালামাল চুরি করে দন্ডবিধির ৩৮১/৪০৬/৪২০/৩৪ ধারার অপরাধ করেছে মর্মে প্রাথমিকভাবে প্রতীয়মান হয়েছে।
জানা গেছে, মামলার তদন্ত চলাকালে গত ২০ নভেম্বর শাহ নাদিয়া ওসমানী বিমানবন্দর দিয়ে পালিয়ে যাবার চেষ্টা করলে ইমিগ্রেশন পুলিশের বাধায় ফিরে আসেন।
বাদীপক্ষের আইনজীবী এডভোকেট মো. জালাল আহমদ মামলাসহ পুরো ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন,বর্তমানে আসামীগন জামিনে আছেন। জামিনে থাকা অবস্থায় দুই আসামি দেশ ছেড়ে যেতে পারবেন না।
এদিকে, ঘটনার ব্যাপারে জানতে চেয়ে শাহ নাদিয়া বেগমের মোবাইলে বার বার কল দেয়া হলে বন্ধ পাওয়া গেছে।