ঢাকারবিবার , ২৩ এপ্রিল ২০২৩
  1. International
  2. অন্যান্য
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. উৎসব
  6. খেলাধুলা
  7. চাকুরী
  8. জাতীয়
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম
  11. পরামর্শ
  12. প্রবাস
  13. ফরিদপুর
  14. বিনোদন
  15. বিয়ানীবাজার
আজকের সর্বশেষ সবখবর

রোজা উনত্রিশ না ত্রিশ? মুফতি আবু সাঈদ

মুফতি আবু সাঈদ
এপ্রিল ২৩, ২০২৩ ১:২৭ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

আমাদের রোজা উনত্রিশ না ত্রিশ ?

أعوذ بالله من الشيطان الرجيم
بسم الله الرحمن الرحيم ،
‎يٰٓأَيُّهَا الَّذِينَ ءَامَنُوٓا أَطِيعُوا اللَّهَ وَأَطِيعُوا الرَّسُولَ وَأُولِى الْأَمْرِ مِنكُمْ ۖ فَإِن تَنٰزَعْتُمْ فِى شَىْءٍ فَرُدُّوهُ إِلَى اللَّهِ وَالرَّسُولِ إِن كُنتُمْ تُؤْمِنُونَ بِاللَّهِ وَالْيَوْمِ الْءَاخِرِ ۚ ذٰلِكَ خَيْرٌ وَأَحْسَنُ تَأْوِيلًا
হে ঈমানদারগণ! তোমরা আল্লাহর আনুগত্য কর, এবং রাসূলের আনুগত্য কর এবং তোমাদের মধ্যে যারা বিচারক তাদের। তারপর যদি তোমরা কোন বিষয়ে বিবাদে প্রবৃত্ত হয়ে পড়, তাহলে তা আল্লাহ ও তাঁর রসূলের প্রতি প্রত্যর্পণ কর-যদি তোমরা আল্লাহ ও কেয়ামত দিবসের উপর বিশ্বাসী হয়ে থাক। আর এটাই কল্যাণকর এবং পরিণতির দিক দিয়ে উত্তম।(সুরা নিসা ৪/৫৯)

‎بَاب وُجُوبِ صَوْمِ رَمَضَانَ لِرُؤْيَةِ الْهِلَالِ وَالْفِطْرِ لِرُؤْيَةِ الْهِلَالِ وَأَنَّهُ إِذَا غُمَّ فِي أَوَّلِهِ أَوْ آخِرِهِ أُكْمِلَتْ عِدَّةُ الشَّهْرِ ثَلَاثِينَ يَوْمًا

‎حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، قَالَ قَرَأْتُ عَلَى مَالِكٍ عَنْ نَافِعٍ، عَنِ ابْنِ عُمَرَ، – رضى الله عنهما – عَنِ النَّبِيِّ صلى الله عليه وسلم أَنَّهُ ذَكَرَ رَمَضَانَ فَقَالَ ‏ “‏ لاَ تَصُومُوا حَتَّى تَرَوُا الْهِلاَلَ وَلاَ تُفْطِرُوا حَتَّى تَرَوْهُ فَإِنْ أُغْمِيَ عَلَيْكُمْ فَاقْدِرُوا لَهُ ‏”‏ ‏.‏
*পরিচ্ছেদঃ চাঁদ দেখার পর সাওম ফরয, এবং চাঁদ দেখার পর ঈদ করা ফরয; মাসের প্রথম ও শেষ তারিখে যদি আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকে, তবে ত্রিশ দিনে মাস পূর্ণ হবে।

২৩৬৯। ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া (রহঃ) … ইবনু উমর (রাঃ) নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম থেকে বর্ণিত। তিনি রমযান সম্পর্কে আলোচনা করে বললেন, তোমরা চাঁদ না দেখে সাওম (রোযা/রোজা/সিয়াম/ছিয়াম) পালন করো না এবং চাঁদ না দেখা পর্যন্ত ইফতারও করো না। আর আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকলে ত্রিশ দিন পূর্ণ করা।

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আবদুল্লাহ ইবন উমর (রাঃ) সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন) ১৪/ সিয়াম (রোজা) (كتاب الصيام) 14/ The Book of Fasting

‎بَاب وُجُوبِ صَوْمِ رَمَضَانَ لِرُؤْيَةِ الْهِلَالِ وَالْفِطْرِ لِرُؤْيَةِ الْهِلَالِ وَأَنَّهُ إِذَا غُمَّ فِي أَوَّلِهِ أَوْ آخِرِهِ أُكْمِلَتْ عِدَّةُ الشَّهْرِ ثَلَاثِينَ يَوْمًا

‎حَدَّثَنَا عَبْدُ الرَّحْمَنِ بْنُ سَلاَّمٍ الْجُمَحِيُّ، حَدَّثَنَا الرَّبِيعُ، – يَعْنِي ابْنَ مُسْلِمٍ – عَنْ مُحَمَّدٍ، – وَهُوَ ابْنُ زِيَادٍ – عَنْ أَبِي هُرَيْرَةَ، – رضى الله عنه – أَنَّ النَّبِيَّ صلى الله عليه وسلم قَالَ ‏ “‏ صُومُوا لِرُؤْيَتِهِ وَأَفْطِرُوا لِرُؤْيَتِهِ فَإِنْ غُمِّيَ عَلَيْكُمْ فَأَكْمِلُوا الْعَدَدَ ‏”‏ ‏.
পরিচ্ছেদঃ চাঁদ দেখার পর সাওম ফরয, এবং চাঁদ দেখার পর ঈদ করা ফরয; মাসের প্রথম ও শেষ তারিখে যদি আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকে, তবে ত্রিশ দিনে মাস পূর্ণ হবে।

২৩৮৬। আবদুর রহমান ইবনু সাল্লাম জুমাহী (রহঃ) … আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত। নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন, চাঁদ দেখে সিয়াম পালন শুরু করবে এবং চাঁদ দেখে ইফতার (ঈদ) করবে। যদি মেঘে আকাশ ঢেকে যায় তবে সংখ্যা পূর্ণ করবে।

হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আবূ হুরায়রা (রাঃ) সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন) ১৪/ সিয়াম (রোজা) (كتاب الصيام) 14/ The Book of Fasting

‎مْ إِذَا رَأَوْا الْهِلَالَ بِبَلَدٍ لَا يَثْبُتُ حُكْمُهُ لِمَا بَعُدَ عَنْهُمْ

‎حَدَّثَنَا يَحْيَى بْنُ يَحْيَى، وَيَحْيَى بْنُ أَيُّوبَ، وَقُتَيْبَةُ، وَابْنُ، حُجْرٍ قَالَ يَحْيَى بْنُ يَحْيَى أَخْبَرَنَا وَقَالَ الآخَرُونَ، حَدَّثَنَا إِسْمَاعِيلُ، – وَهُوَ ابْنُ جَعْفَرٍ – عَنْ مُحَمَّدٍ، – وَهُوَ ابْنُ أَبِي حَرْمَلَةَ – عَنْ كُرَيْبٍ، أَنَّ أُمَّ الْفَضْلِ بِنْتَ الْحَارِثِ، بَعَثَتْهُ إِلَى مُعَاوِيَةَ بِالشَّامِ قَالَ فَقَدِمْتُ الشَّامَ فَقَضَيْتُ حَاجَتَهَا وَاسْتُهِلَّ عَلَىَّ رَمَضَانُ وَأَنَا بِالشَّامِ فَرَأَيْتُ الْهِلاَلَ لَيْلَةَ الْجُمُعَةِ ثُمَّ قَدِمْتُ الْمَدِينَةَ فِي آخِرِ الشَّهْرِ فَسَأَلَنِي عَبْدُ اللَّهِ بْنُ عَبَّاسٍ – رضى الله عنهما – ثُمَّ ذَكَرَ الْهِلاَلَ فَقَالَ مَتَى رَأَيْتُمُ الْهِلاَلَ فَقُلْتُ رَأَيْنَاهُ لَيْلَةَ الْجُمُعَةِ ‏.‏ فَقَالَ أَنْتَ رَأَيْتَهُ فَقُلْتُ نَعَمْ وَرَآهُ النَّاسُ وَصَامُوا وَصَامَ مُعَاوِيَةُ ‏.‏ فَقَالَ لَكِنَّا رَأَيْنَاهُ لَيْلَةَ السَّبْتِ فَلاَ نَزَالُ نَصُومُ حَتَّى نُكْمِلَ ثَلاَثِينَ أَوْ نَرَاهُ ‏.‏ فَقُلْتُ أَوَلاَ تَكْتَفِي بِرُؤْيَةِ مُعَاوِيَةَ وَصِيَامِهِ فَقَالَ لاَ هَكَذَا أَمَرَنَا رَسُولُ اللَّهِ صلى الله عليه وسلم ‏.‏ وَشَكَّ يَحْيَى بْنُ يَحْيَى فِي نَكْتَفِي أَوْ تَكْتَفِي ‏.‏

*পরিচ্ছেদঃ প্রত্যেক দেশের অধিবাসীদের জন্য তাদের চাঁদ দেখা তাদের ক্ষেত্রে গ্রহনযোগ্য, অন্য দেশী মানুষের জন্য নয়। সুতরাং কোন দেশের লোক যদি চাঁদ দেখে, তবে এ হুকুম তাদের থেকে দূরবর্তী দেশীয় লোকদের জন্য প্রযোজ্য হবে না।

২৩৯৯। ইয়াহইয়া ইবনু ইয়াহইয়া, ইয়াহইয়া ইবনু আয়্যুব, কুতায়বা ও ইবনু হুজর (রহঃ) … কুরায়ব (রহঃ) থেকে বর্ণিত যে, উম্মুল ফযল বিনত হারিস তাকে সিরিয়ায় মু’আবিয়া (রাঃ) এর নিকট পাঠালেন। (কুরায়ব বলেন) আমি সিরিয়ায় পৌছলাম এবং তার প্রয়োজনীয় কাজটি সমাধা করে নিলাম। আমি সিরিয়া থাকা অবস্থায়ই রমযানের চাঁদ দেখা গেল। জুমু’আর দিন সন্ধ্যায় আমি চাঁদ দেখলাম। এরপর রমযানের শেষভাগে আমি মদিনায় ফিরলাম। আবদুল্লাহ ইবনু আব্বাস (রাঃ) আমার নিকট জিজ্ঞাসা করলেন এবং চাঁদ সম্পর্কে আলোচনা করলেন। এরপর জিজ্ঞাসা করলেন, তোমরা কোন দিন চাঁদ দেখেছ? আমি বললাম, আমরা তো জুমু’আর দিন সন্ধায় চাঁদ দেখেছি।

তিনি আবার জিজ্ঞাসা করলেন, তুমি নিজে দেখেছ কি? আমি বললাম, হ্যাঁ, আমি দেখেছি এবং লোকেরাও দেখেছে। তারা সিয়াম পালন করেছে এবং মুআবিয়া (রাঃ)-ও সাওম (রোযা/রোজা/সিয়াম/ছিয়াম) পালন করেছেন। তিনি বললেন, আমরা কিন্তু শনিবার সন্ধ্যায় চাঁদ দেখেছি। আমরা সিয়াম পালন করতে থাকব, শেষ পর্যন্ত ত্রিশ দিন পূর্ণ করব অথবা চাঁদ দেখব। আমি বললাম, মু-আবিয়া (রাঃ) এর চাঁদ দেখা এবং তাঁর সাওম পালন করা আপনার জন্য যথেষ্ট নয় কি? তিনি বললেন, না, যথেষ্ট নয়। কেননা রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে এরূপ করার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।

*হাদিসের মানঃ* সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ কুরায়ব (রহ.) সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন) ১৪/ সিয়াম (রোজা) (كتاب الصيام) 14/ The Book of Fasting

‎حدثنا أبو بكر بن أبي شيبة، حدثنا محمد بن فضيل، عن حصين، عن عمرو بن، مرة عن أبي البختري، قال خرجنا للعمرة فلما نزلنا ببطن نخلة – قال – تراءينا الهلال فقال بعض القوم هو ابن ثلاث ‏.‏ وقال بعض القوم هو ابن ليلتين قال فلقينا ابن عباس فقلنا إنا رأينا الهلال فقال بعض القوم هو ابن ثلاث وقال بعض القوم هو ابن ليلتين ‏.‏ فقال أى ليلة رأيتموه قال فقلنا ليلة كذا وكذا ‏.‏ فقال إن رسول الله صلى الله عليه وسلم قال ‏ “‏ إن الله مده للرؤية فهو لليلة رأيتموه ‏”‏ ‏.‏

*পরিচ্ছেদঃ চাঁদ বড়-ছোট হওয়ার বিষয়টি ধার্তব্য নয়; দেখার সুবিধার্থে আল্লাহ্‌ তাকে বর্ধিত আকারে উদিত করেন, যদি চাঁদ মেঘে ঢেকে যায় তবে ত্রিশ দিন পূর্ণ করা হবে।

২৪০০। আবূ বকর ইবনু আবূ শায়বা (রহঃ) … আবুল বুখতারী (রহঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা উমরা করার উদ্দেশ্যে রওনা হলাম এবং ’বাতনে নাখলা’ নামক স্থানে উপস্থিত হলাম তখন আমরা (রমযানের) চাঁদ দেখতে পেলাম। এ সময় কেউ কেউ বলতে লাগলেন, এ তো তিন তারিখের চাঁদ। আবার কেউ কেউ বললেন, এ তো দুই তারিখের চাঁদ। তারপর আমরা ইবনু আব্বাস (রাঃ) এর সাথে সাক্ষাত করলাম এবং বললাম, আমরা তো চাঁদ দেখেছি। কিন্তু আমাদের কেউ কেউ বলছেন, এ তৃতীয় রাত্রির চাঁদ। আবার কেউ কেউ বললেন, এ দ্বিতীয় রাত্রির চাঁদ। তখন তিনি জিজ্ঞাসা করলেন, তোমরা কোন রাত্রে চাঁদ দেখেছ? আমরা বললাম, অমুক অমুক রাত্রে। তিনি বললেন, রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, দেখার সুবিধার্থে আল্লাহ একে বর্ধিত করে দিয়েছেন। মূলত এ ঐ রাত্রিরই চাঁদ যে রাত্রে তোমরা দেখেছো।

*হাদিসের মানঃ সহিহ (Sahih) বর্ণনাকারীঃ আবুল বাখতারী তাঈ (রহঃ) সহীহ মুসলিম (ইসলামিক ফাউন্ডেশন) ১৪/ সিয়াম (রোজা) (كتاب الصيام)

সূত্র:মুফতি আবু সাঈদ এর ফেইসবুক আইডি থেকে।