ঢাকাThursday , 20 April 2023
  1. International
  2. অন্যান্য
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. উৎসব
  6. খেলাধুলা
  7. চাকুরী
  8. জাতীয়
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম
  11. পরামর্শ
  12. প্রবাস
  13. ফরিদপুর
  14. বিনোদন
  15. বিয়ানীবাজার
আজকের সর্বশেষ সবখবর

গ্রহীতার হাতে পৌঁছালো আল-মানাহিলের রমজানিয়া উপহার

ডাক বাংলা
April 20, 2023 4:57 pm
Link Copied!

সিলেট প্রতিনিধি : দেশের জনপ্রিয় সামাজিক সংগঠন আল-মানাহিল ওয়েলফেয়ার ট্রাস্টের রমজানিয়া উপহার, ১৩ এপ্রিল, ২১শে রামাজান (বৃহস্পতিবার) ট্রাস্টের সেক্রেটারি ফরিদ উদ্দিন এর উপস্থিতিতে বিতরণ করে গোয়াইনঘাটের হাদারপার বাজার মাদ্রাসা মিলনায়তনে।

ট্রাস্টের রামাজান ফুড ডিস্ট্রিবিউশন লিস্টে গোয়াইনঘাটের বিভিন্ন ইউনিয়নের প্রায় দুইশতজন গ্রহীতা রয়েছেন।

বিতরণের দু’দিন পর থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি মহল সমালোচনা সৃষ্টি করে। এতে সমালোচনার তোপে পড়ে বিপাকে পড়তে হয় স্থানীয় বন্টনকারীরা।
এদিকে আল-মানাহিলের কর্তৃপক্ষের কাছে বারবার অভিযোগ দিচ্ছে কথিত আরেকটি মহল। গোয়াইনঘাটের স্থানীয় প্রতিনিধির মাধ্যমে জানা যায় কথিত এই গোষ্ঠী শুধু অভিযোগ পাটাচ্ছে, কিন্তু প্রমাণাদি চাইলে তারা কোনো প্রমাণাদি দিতে পারেনি।

আলা-মানাহিলের স্থানীয় প্রতিনিধিরা স্বচ্ছতার জন্য অভিযোগ খন্ডনে তদন্তে নামে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে ১৯ এপ্রিল, ২৭ রমজান (বুধবার) একই ভেনুতে অর্থাৎ হাদারপার বাজার মাদ্রাসা মিলনায়তনে বিভিন্ন পত্রিকার সংবাদকর্মীদের উপস্থিতিতে এক ওজাহতি অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়৷ এতে আল-মানাহিলের দুই শত রমজানিয়া উপহার গ্রহীতারা উপস্থিত হন। যারা ২৪ হাজার টাকা করে পেয়েছেন।
প্রত্যেকে হাত তোলে উচ্চ আওয়াজে বলেন, আমরা ২৪ হাজার টাকা করে পেয়েছি। পরবর্তীতে আলাদাভাবে সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়, সাক্ষাৎকারে উঠে এসেছে যে, প্রত্যেকে আল-মানাহিলের রমজানিয়া উপহার ২৪ হাজার করে পেয়েছে। বণ্টনকারীর সাথে কোনো চার্জ বা চুক্তি করা হয়নি, প্রত্যেকে টিপ-সই দিয়ে টাকা গ্রহণ করেছেন।

এরপর ২০ এপ্রিল, ২৮ রমজান (বৃহস্পতিবার) আল-মানাহিলের চেয়ারম্যানসহ উর্ধতন কর্মকর্তারা সরেজমিন পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনে অভিযোগ পাওয়া স্থানগুলো নিখুঁতভাবে পর্যবেক্ষণ করা হয়, কিন্তু অভিযোগ অনুযায়ী আল-মানাহিলের কর্তৃপক্ষরা কোনো প্রমাণাদি পায়নি। যথাস্থানে পৌঁছেছে তাদের দেওয়া রমজানিয়া উপহারগুলো। আল-মানাহিল কর্তৃপক্ষ খুশি হয়ে স্থানীয় প্রতিনিধি ও বণ্টনকারীদেরকে কাজের এই দ্বারা অব্যাহত রাখতে আগ্রহী করে তোলেন।

এতো চড়াই-উতরাইর পরও আল-মানাহিলের স্থানীয় প্রতিনিধি জানান, কেউ যদি শুধু অভিযোগ বা বেফাঁস মন্তব্য করে, তার কাছে প্রমাণ চাওয়া হবে, প্রমাণ না দিতে পারলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

স্থানীয় প্রতিনিধিরা বলেন, সমালোচনা করতে হলে সঠিক তথ্য জানতে হবে। মুখে মুখে শুনা কথা কোনো দলিল নয়, শুনা কথায় ভুল হয় বেশী। সমালোচনারও একটা ভাষা আছে। কিন্তু আমরা খুব পরোক্ষভাবে লক্ষ্য করছি যে, যারা সমালোচনা করছে, তাদের ভেতরে আলাদা একটা ক্ষোভ আছে, আর সেই ক্ষোভ থেকেই তথ্যবিহীন কর্কশ ভাষায় সমালোচনা করে যাচ্ছেন। তারা উল্লেখ করছে যে, “আল-মানাহিলের যাকাতের ৬০ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে….”
এখানে তথ্যগত ভুল রয়েছে,
প্রতিজন ২৪ হাজার করে পেলে দুই শত গ্রহীতারা পেয়েছেন সর্বমোট ৪৮ লক্ষ টাকা।
সমালোচকরা এখানে “৬০ লক্ষ টাকা” এই তথ্য ভুল দিয়েছে।
মূলত এটা রমজানিয়া উপহার এবং ২শত গ্রহীতারা সর্বমোট ৪৮লক্ষ টাকা পেয়েছেন।
পূণরায় এরকম ভুল তথ্য দিয়ে এবং প্রমাণবিহীন অভিযোগ কেউ তুললে, আমরা যথাযথ ব্যাবস্থা নিতে বাধ্য হবো৷