ঢাকাসোমবার , ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২
  1. International
  2. অন্যান্য
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. উৎসব
  6. খেলাধুলা
  7. চাকুরী
  8. জাতীয়
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম
  11. পরামর্শ
  12. প্রবাস
  13. ফরিদপুর
  14. বিনোদন
  15. বিয়ানীবাজার
আজকের সর্বশেষ সবখবর

যেখানে অকৃত্রিম ভালবাসা পাওয়া যায় ! আবু নাঈম মু.শহীদুল্লাহ

লেখক,আবু নাঈম মু.শহীদুল্লাহ
সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২২ ৫:৪৮ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

পৃথিবীতে বেঁচে থাকা সকল মানুষ ই স্নেহ,সম্মান,শ্রদ্ধা প্রীতি,মায়া ও ভালবাসা প্রত্যাশী। সম্মান ও শ্রদ্ধা পাওয়ার জন্য নিজেকে প্রমাণ করতে হয়,অর্জন করতে হয় গ্রহণযোগ্যতা। ইদানিং অনেকে এটা জোর করেও আদায় করতে চায়। আমি সে দিক নিয়ে আলোচনা করছিনা।আমাদের সকলের মনেই স্বাদ জাগে সমাজের মানুষ আমাকে সম্মান করুক,শ্রদ্ধা করুক.ভালবাসুক।

এ স্বাদ পূরন করতে গিয়ে আমরা নানান পথ অবলম্বন করে থাকি।দ্রুত বড়লোক হওয়া বা ক্ষমতাধর হওয়ার নেশায় মশগুল হয়ে যাই। আমরা মনেকরি আমি যদি অনেক পয়সাওয়ালা হই,বা ক্ষমতাধর হই তাহলে মানুষ আমাকে ভালবাসবে।হ্যাঁ একথা শতভাগ সত্য যে,প্রভাবশালীদেরকে মানুষ ইচ্ছায় হোক আর অনিচ্ছায় হোক সম্মান করে। কেউ সম্মান করে কিছু পাওয়ার জন্য,কেউবা বিপদ থেকে রক্ষার জন্য আবার কেউ নিজের অবস্থান মজবুত করার জন্য। এ সম্মানটা একেবারেই কৃত্রিম।

এ কৃত্রিম সম্মান ও ভালবাসার জন্য আমরা অর্থ ও ক্ষমতার পিছনে দৌড়াতে গিয়ে নিরেট ভালবাসার মানুষ গুলোকে দুরে ঠেলে দেই।
গ্রাম কিংবা শহর যেখানেই আমি বেড়ে উঠেছি সেখানের প্রাইমারী স্কুলের সহপাঠীদের কথা মনে করে দেখুন. স্কুল মাঠে মারামারি,জামায় কলমের কালি লাগিয়ে জামা নষ্ট করে দেওয়া,টিচারের দেওয়া হোমওয়ার্কে পেইজে কাটা কাটি করে ওয়ার্কটা নষ্ট করে দেওয়া,প্রিয় বইটির পাতা ছিড়ে দেওয়া দুষ্টদের কথা মনে করে দেখুন। নিজেদের মাঝে সম্পর্ক যত খারাপই থাকতো সবাই ছিলাম একটা দেহের মত।এটা প্রমাণ হতো আমাদের কেউ যখন কোথাও আক্রান্ত হতাম তখন স্বদলবলে বন্ধুদের বিপদে একজোট হয়ে এগিয়ে যেতাম। সেই বন্ধুদের অনেকেই হয়তো স্কুল শেষ করে কলেজ বা ইউনিভার্সিটিতে আসতে পারেনি।

একটু মনে করে দেখুন ছোট বেলার সেই বড় ভাই,চাচ্চু,দাদুদের কথা যারা ব্যাঙ্গনামে ডেকে আপনাকে রাগিয়ে দিতেন আবার আপনি চলতে গিয়ে পড়ে যাওয়ার সাথে সাথে দুর থেকে দৌড়ে এসে আপনাকে হাত ধরে টেনে তুলে আদর করে বাসায় পৌঁছে দিয়েছিলেন।

সেই চাচীমা জেঠীমাদের কথা মনে করে দেখুন যে কোন অপরাধের জন্য বাবা মা র বকুনি বা পিটুনীর সময়ে যারা আপনাকে শাড়ির আচঁলে লুকিয়ে রাখতো উল্টো বাবা মাকে বকাঝকা করতো।বড়বোন ভাইদের কথা মনে আছে?মক্তবে না যাওয়ার কারনে মা সকালের নাস্তা বন্ধের ঘোষণা দিয়েছিল। মায়ের চোখের আড়ালে গোপনে নাস্তা করিয়েছিল।

বাবার কথা বলা যাবে না কারণ যিনি শুধু আপনার আমার জন্য দিয়েই গিয়েছেন।যার কোন চাওয়া ছিলনা আজও নেই। শুধু বলতেন আমার সন্তান যেন মানুষের মত মানুষ হয়।মা আল্লাহর এক আশ্চর্য জনক সৃষ্টির নাম।জীবনের শেষ দিন পর্যন্তও দোয়া করে সন্তানের ভালোর জন্য।

জীবনের সফলতার জন্য নিজের গ্রহণযোগ্যতা তৈরির জন্য একটু সুনাম সুখ্যাতি অর্জনের জন্য দৌড়াতে গিয়ে আমরা তাদের খোঁজ খবর নিতে সময় পাইনা।আমরা আমাদের সামাজিক স্ট্যাটাস মেইনটেইন করতে গিয়ে স্কুলের দুষ্টু বন্ধু,ছোট বেলায় মহল্লার বড়ভাই,চাচ্চু,চাচী,জেঠী মায়েদের অকৃত্রিম আদর ভালবাসা স্নেহ মায়া থেকে বঞ্চিত হয়ে যাচ্ছি।

অকৃত্রিম ভালবাসার মানুষ গুলোকে আল্লাহ উত্তম জাজা দান করুন। আমিন