৯টি কাজ, বিশেষ করে মহানবী (সা.)-এর ওপর ফরজ ছিল। কাজগুলো হলো—
১. তাহাজ্জুদ নামাজ। আল্লাহ তাআলা মহানবী (সা.)-এর ওপর তাহাজ্জুদ নামাজ ফরজ করেছেন। কারো কারো মতে, প্রথমে ফরজ করা হয়েছিল, পরে রহিত করা হয়েছে।
২. চাশতের নামাজ পড়া।
৩. কোরবানি করা।
৪. বিতরের নামাজ পড়া।
৫. মিসওয়াক করা।
৬. দরিদ্রদের ঋণ পরিশোধ করা।
৭. শরয়ি কাজ ছাড়া অন্যান্য কাজে নিকটাত্মীয়ের সঙ্গে পরামর্শ করা।
৮. স্ত্রীদের সফরের জন্য মনোনীত করা।
৯. মন্দ কাজ প্রত্যক্ষ করলে তাকে মন্দ ভাবা।
আটটি কাজ মহানবী (সা.)-এর জন্য হারাম ছিল
১. জাকাতের অর্থ ভক্ষণ করা। তাঁর বংশধরের জন্যও জাকাত, ফিতরা ইত্যাদি হারাম ছিল।
২. নফল সদকা।
৩. চোখের খিয়ানত করা।
৪. যুদ্ধের পোশাক পরিধান করার পর তা খুলে ফেলা।
৫. ঠেস দিয়ে বসে আহার করা।
৬. দুর্গন্ধ ও অপছন্দনীয় খাদ্য ভক্ষণ করা।
৭. আহলে কিতাব স্বাধীন নারীকে বিবাহ করা।
১০. দাসীকে বিবাহ করা।
১৪টি কাজ মহানবী (সা.)-এর জন্য বৈধ ছিল
১. গনিমতের মাল ভক্ষণ করা, অন্যান্য নবীর শরিয়তে তা অবৈধ ছিল।
২. গনিমতের এক-পঞ্চমাংশ নিজে ব্যয় করা।
৩. সাওমে বেসাল তথা দিবা-রজনীতে না খেয়ে একাধারে রোজা রাখা।
৪. চারের অধিক বিবাহ করা।
৫. হেবা শব্দে বিবাহ করা।
৬. অভিভাবক ছাড়া বিবাহ করা।
৭. মহর ছাড়া বিবাহ করা।
৮. ইহরাম অবস্থায় বিবাহ করা।
৯. স্ত্রীদের সঙ্গে শপথ ভঙ্গ করা
১০. স্বাধীন নারীর জন্য মোহরানা নির্ধারণ করা।
১১. ইহরাম ছাড়া মক্কায় প্রবেশ করা।
১২. হারাম শরিফে যুদ্ধবিগ্রহ করা (অন্য নবীদের সময় নিষিদ্ধ ছিল। মক্কা বিজয়কালে কিছু সময়ের জন্য হালাল করা হয়েছে)।
১৩. তাঁর কেউ ওয়ারিশ হয়নি।
১৪. তাঁর ওফাতের পরও স্ত্রীদের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক বজায় থাকা। (তাফসিরে কুরতুবি)