ভারতে শুক্রবার ৪০৪১টি নতুন কভিড সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে। ১১ মার্চের পর থেকে এটি এক দিনে সর্বোচ্চ সংক্রমণ। এটি দেশটির কিছু অংশে আরেকটি তরঙ্গ তৈরি করার আশঙ্কা জাগিয়েছে। ওইসব স্থানে প্রায় সব বিধিনিষেধ শিথিল করা হয়েছে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুসারে মহামারি শুরু হওয়ার পর থেকে ভারতে ৪ কোটি ৩০ লাখের বেশি কভিড সংক্রমণ রেকর্ড করা হয়েছে। এতে ৫ লাখ ২৪ হাজার ৬শ ৫১ জনের মৃতু হয়েছে। তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বলেছে, প্রকৃত মৃতুর সংখ্যা উল্লেখযোগ্যভাবে বেশি হবে।
ভারতে আগের করোনাভাইরাস তরঙ্গগুলোর অনতম কেন্দ্র মহারাষ্ট্রে সংক্রমণ বাড়ছে। এই সপ্তাহে পজিটিভের হার ৮% পার হয়েছে। রাজ্যের রাজধানী মুম্বাইতে আগের মাসের তুলনায় মে মাসে হাসপাতালে ভর্তির হার ২৩১% বৃদ্ধি পেয়েছে। মে মাসে হাসপাতালে ভর্তিও সংখা মাত্র ২১৫ জন থাকলেও সংক্রমণ বৃদ্ধিও গতি উদ্বেগের। গত গ্রীষ্মে ভারতের মূলত ডেল্টা কেন্দ্রিক তরঙ্গের সময় অপ্রতিরোধ্য গতিতে দৈনিক সংক্রমণ ৪ লাখ ছাড়িয়ে গিয়েছিল।
রাজ্য সরকারগুলোতে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পাঠানো ৩ জুনের চিঠি অনুসারে কেন্দ্র পাঁচটি রাজ্য মহারাষ্ট্র, কেরালা, তেলেঙ্গানা, কর্ণাটক এবং তামিলনাড়ুকে ক্রমবর্ধমান সংক্রমণ রোধ করতে বলেছে। মন্ত্রণালয় এই রাজ্যগুলোকে কভিডের বিস্তার নিয়ন্ত্রণে কঠোর নজরদারি বজায় রাখতে এবং আগাম প্রতিরোধমূলক পদক্ষেপ নিতে বলেছে।
বিশ্ব কভিডের সঙ্গে মানিয়ে নিতে অনেকটা অভস্ত হয়ে উঠলেও ওমিক্রনের মতো বেশি সংক্রমাক ধরনগুলো এখনও চীন, নিউজিল্যান্ড এবং তাইওয়ানের মতো জায়গায় নতুন তরঙ্গের সূত্রপাত করছে।