ঢাকামঙ্গলবার , ১০ মে ২০২২
  1. International
  2. অন্যান্য
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. উৎসব
  6. খেলাধুলা
  7. চাকুরী
  8. জাতীয়
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম
  11. পরামর্শ
  12. প্রবাস
  13. ফরিদপুর
  14. বিনোদন
  15. বিয়ানীবাজার
আজকের সর্বশেষ সবখবর

আমদানি বন্ধ,বাজারে বাড়ছে পেঁয়াজের দাম

Link Copied!

হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। এর ফলে বাজারে সরবরাহ কম থাকায় ফের বাড়তে শুরু করেছে পেঁয়াজের দাম। এতে বিপাকে পড়েছেন ভোক্তাসাধারণ। আমদানি বন্ধের খবরে কিছু পেঁয়াজ উৎপাদনকারী কৃষক খুশি হলেও বেশির ভাগ কৃষক এরই মধ্যে তাঁদের উৎপাদিত পেঁয়াজ বিক্রি করে দিয়েছেন।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, দেশের কৃষকের স্বার্থ বিবেচনা করে সরকার পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রেখেছে। এটি ভালো উদ্যোগ। তবে আরো আগে এ উদ্যোগ নেওয়া উচিত ছিল। কারণ এরই মধ্যে বেশির ভাগ পেঁয়াজ চাষিরা বিক্রি করে দিয়েছেন। এখন এই সুবিধা ভোগ করবেন ব্যবসায়ীরা। তবে বড় পরিসরে পেঁয়াজ উৎপাদনকারীদের মজুদে এখনো পেঁয়াজ রয়েছে। তাঁরা এতে লাভবান হবেন বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা।

আমদানি বন্ধের খবরে কয়েক দিন ধরে রাজধানীর খুচরা বাজারে কেজিতে পেঁয়াজের দাম পাঁচ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। আর চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে কেজিতে পেঁয়াজের দাম বেড়েছে তিন থেকে পাঁচ টাকা। পেঁয়াজের ভূস্বর্গ পাবনা জেলার কৃষকরা আমদানি বন্ধের খবরে খুশি।

পাবনার সবচেয়ে বড় পেঁয়াজ চাষি আবু বক্কর সিদ্দিকী জানান, এ বছর তিনি ৪৫ বিঘা জমিতে পেঁয়াজ চাষ করে দুই হাজার ৫০০ মণ পেঁয়াজ উৎপাদন করেছেন। সব পেঁয়াজ মজুদ রেখেছেন ন্যায্যমূল্য পাওয়ার আশায়। পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ হওয়ায় খুব খুশি তিনি।

পাবনা জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মিজানুর রহমান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘এখনো পাবনা জেলায় কৃষকের কাছে পেঁয়াজ মজুদ রয়েছে অন্তত চার লাখ ৮০ হাজার মেট্রিক টন। আমদানি বন্ধ হওয়ায় তাঁরা ন্যায্যমূল্য পাবেন বলে আমরা আশা করছি।’
হিলি বন্দরে বেড়েছে পেঁয়াজের দাম

হিলি স্থলবন্দর কার্যালয় সূত্র জানায়, বন্দর দিয়ে সর্বশেষ ৩০ এপ্রিল ৬৮ ট্রাকে এক হাজার ৯০২ মেট্রিক টন পেঁয়াজ আমদানি হয়েছিল। এরপর ঈদের ছুটি শেষে ৭ মে বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু হলেও পেঁয়াজ আমদানি বন্ধ রয়েছে। ঈদের আগে বন্দরে পেঁয়াজ ১৪ থেকে ১৫ টাকা কেজি বিক্রি হলেও বর্তমানে তা বেড়ে ২০ থেকে ২২ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।

হিলি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আড়তগুলোয় সারি সারি পেঁয়াজের বস্তা থাকলেও আগের চেয়ে অনেক কম। আর খুচরা বাজারে প্রকারভেদে পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২২ থেকে ২৩ টাকা কেজি। দেশীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকা কেজি।
পেঁয়াজের খুচরা বিক্রেতা শাকিল আহম্মেদ জানান, ঈদের আগে হিলির আমদানিকারকদের গুদাম থেকে পেঁয়াজ কিনেছেন ১৪ থেকে ১৫ টাকা কেজি দরে। এখন দাম চাচ্ছে ২০ থেকে ২২ টাকা কেজি।

রাজধানীর খুচরা বাজারে কেজিতে পাঁচ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে

আমদানি বন্ধের খবরে রাজধানীর খুচরা বাজারগুলোয় পেঁয়াজের দাম কেজিতে পাঁচ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। খুচরা বাজারে পর্যাপ্ত সরবরাহ থাকলেও বেশি দামে বিক্রি করছেন বিক্রেতারা। খাতুনগঞ্জে পাইকারিতে দাম বেড়েছে গত কয়েক দিনে চট্টগ্রামের খাতুনগঞ্জের পাইকারি বাজারে পেঁয়াজের দাম কেজিতে পাঁচ টাকা পর্যন্ত বেড়েছে। ভারতীয় পেঁয়াজ আড়তে বিক্রি হচ্ছে কেজি ৩২ থেকে ৩৫ টাকা। আর দেশি পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছে ২৯ টাকা কেজি। গত সপ্তাহে ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছিল কেজি ২৮ টাকা, আর দেশি পেঁয়াজ কেজি ২৩ থেকে ২৪ টাকা।

জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক এ এইচ এম সফিকুজ্জামান বলেন, ‘আইপি বন্ধের কারণে দাম বাড়ার কোনো সুযোগ নেই। সরকার কৃষকের ন্যায্যমূল্য নিশ্চিত করতে নতুন করে আইপি দিচ্ছে না। আর অতীতের অভিজ্ঞতায় এবার দেশে পেঁয়াজের বাড়তি ফলন হয়েছে। ফলে সংকটের কোনো সুযোগ নেই।’ (প্রতিবেদনটি তৈরিতে তথ্য দিয়েছেন নিজস্ব প্রতিদেক (চট্টগ্রাম), পাবনা ও বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি।)