নিজস্ব প্রতিবেদক।।
বিয়ানীবাজার উপজেলায় ছাত্রদল নেতা জাহাঙ্গীরকে খুঁজছে পুলিশ। গত বুধবার সকালে উপজেলার বাগন এলাকা থেকে ফারজানা আক্তার প্রিয়া নামে এক তরুণীর লাশ উদ্ধার করা হয়। ধারনা করা হয় ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে তাকে হত্যা করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে প্রিয়ার কথিত প্রেমিক জাহাঙ্গীর পলাতক অবস্থায় রয়েছেন।
জানা যায়, ফারজানা আক্তার প্রিয়া বিয়ানীবাজার উপজেলার বাগন গ্রামের সেলিম উদ্দিনের মেয়ে। সে বিয়ানীবাজার সরকারি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণীর বিজ্ঞান বিভাগীয় ছাত্রী ছিল।
পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, বুধবার সকালে ঘুম থেকে উঠে প্রিয়ার মা তাকে রুমে দেখতে না পেলে বাড়ির সবাইকে খবর দেন। পরে তারা প্রিয়াকে বাড়ির সর্বত্র খুজতে গিয়ে একপর্যায়ে বাড়ির পিছনে ঝোপের পাশে বিবস্ত্র অবস্থায় তাকে দেখতে পেয়ে চিৎকার করেন। চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ছুটে আসেন। পরবর্তীতে পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে সিলেট এম.এ.জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মর্গে পাঠায়।
প্রিয়ার চাচা দাবি করেন তাদের পার্শ্ববর্তী ফেনগ্রামের জাহাঙ্গীর আলম নামীয় এক ছাত্রদল সন্ত্রাসী দীর্ঘদিন যাবত প্রিয়াকের উত্ত্যক্ত করে জোরপূর্বক তার সাথে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে তোলে। সম্প্রতি প্রিয়াকে অন্যত্র বিয়ে দিতে চাইলে সে বিয়েতে সম্মতি হওয়ায় জাহাঙ্গীর প্রিয়ার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। ঘটনার দিন রাতে জাহাঙ্গীর প্রিয়ার সাথে দেখা করার কথা বলে বাড়ীর পিছনে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করার পর শ্বাসরুদ্ধ করে হত্যা করে। পরিবারের পক্ষ থেকে জাহাঙ্গীরের উপর বিয়ানীবাজার থানায় ধর্ষণ ও হত্যা মামলা দায়ের করেছেন বলে জানান।
তরুণীর গলায় ওড়না পেচানো ছিল। ধারণা করা হচ্ছে তাকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে। তরুনীর চাচা বাদী হয়ে বিয়ানীবাজার থানায় জাহাঙ্গীর আলম নামের এক যুবককে বাদী করে একটি ধর্ষণ ও হত্যা মামলা দায়ের করেছেন। এদিকে ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত যুবক পলাতক আছে, তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে। কি কারণে এই হত্যা ঘটনা ঘটেছে তদন্তের পর সে বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া যাবে বলেও জানান ওসি।