ঢাকাসোমবার , ৮ নভেম্বর ২০২১
  1. International
  2. অন্যান্য
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. উৎসব
  6. খেলাধুলা
  7. চাকুরী
  8. জাতীয়
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম
  11. পরামর্শ
  12. প্রবাস
  13. ফরিদপুর
  14. বিনোদন
  15. বিয়ানীবাজার
আজকের সর্বশেষ সবখবর

জ্বর হলেই অ্যান্টিবায়োটিক খাবেন না

নিজস্ব প্রতিনিধি,দৈনিক ডাকবাংলা ডট কম
নভেম্বর ৮, ২০২১ ৯:২৫ অপরাহ্ণ
Link Copied!

যখন অ্যান্টিবায়োটিক দরকার

এটা সবার মনে রাখা উচিত যে কভিড-১৯, ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া ইত্যাদি হলো ভাইরাসজনিত জ্বর, যাতে অ্যান্টিবায়োটিকের কোনো ভূমিকা নেই। অর্থাৎ এসব অসুখে অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করে না; এসব জ্বর এমনিতেই সেরে যায়। শুধু লক্ষণ অনুযায়ী চিকিৎসা দিতে হয়।
তবে ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণজনিত কারণে জ্বর হলে সে ক্ষেত্রে সঠিক অ্যান্টিবায়োটিক দরকার হয়। টাইফয়েড, নিউমোনিয়া বা শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ, প্রস্রাবে প্রদাহ, ম্যালেরিয়া, যক্ষ্মা ইত্যাদি ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণজনিত রোগ। এসবের জন্য নির্দিষ্ট ওষুধ ব্যবহার করতে হয়। প্রতিটি অ্যান্টিবায়োটিকের নিজস্ব ধরন রয়েছে। তাই কোন জ্বরে কোন অ্যান্টিবায়োটিক প্রয়োগ করা হবে, তা নির্ণয় করতে কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা জরুরি। আর সে ক্ষেত্রে পরামর্শ দেবেন সংশ্লিষ্ট চিকিৎসক।

পরামর্শ
♦ জ্বর হলে প্রথম তিন দিন পর্যন্ত প্যারাসিটামলজাতীয় ওষুধ খেতে পারেন। পাশাপাশি প্রচুর পরিমাণ পানি পান, ভিটামিন ‘সি’ জাতীয় খাবার খাওয়া, প্রচুর বিশ্রাম নিতে হয়। এগুলোতে বেশির ভাগ জ্বর সেরে যায়। তবে জ্বরের সঙ্গে অতিরিক্ত মাথা ব্যথা, কাশি ও কফ বের হওয়ার পাশাপাশি কফের সঙ্গে রক্ত গেলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

♦ সাধারণত রক্ত, প্রস্রাব, কফ, পুঁজ ইত্যাদি স্যাম্পল থেকে কালচার সেন্সেটিভিটি পরীক্ষা করে জ্বরের কারণ নির্ণয় করা যায়। পরীক্ষায় ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশন শনাক্ত হলে চিকিৎসক সংশ্লিষ্ট গ্রুপের অ্যান্টিবায়োটিক দিতে পারেন। তাই অ্যান্টিবায়োটিক যদি খেতেই হয়, সেটা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে চিকিৎসকের পরামর্শে খাবেন, ফার্মেসি থেকে নিয়ে বা নিজের সিদ্ধান্তে খাবেন না।

♦ রোগ চিহ্নিত হওয়ার পর চিকিৎসক অ্যান্টিবায়োটিক দেন। কিন্তু জ্বর কমে গেছে বা ভালো হয়ে গেছে মনে করে অনেকে কয়েক দিন অ্যান্টিবায়োটিক খেয়ে বন্ধ করে দেয়। এটা কিন্তু মোটেই ঠিক নয়। অ্যান্টিবায়োটিকের ফুল কোর্স শেষ করা উচিত। নচেৎ পরবর্তী সময়ে প্রয়োজন হলেও ওই গ্রুপের অ্যান্টিবায়োটিক কাজ করে না, যাকে বলে অ্যান্টিবায়োটিক রেসিস্ট্যান্ট।
♦ প্রতিটি অ্যান্টিবায়োটিকের গায়ে লেখা থাকে, রেজিস্টার্ড চিকিৎসকের ব্যবস্থাপত্র ছাড়া ক্রয়-বিক্রয় নিষিদ্ধ। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া সেবন করা যাবে না। তাই ওষুধ বিক্রেতাদেরও এ ব্যাপারে সচেতন হওয়া দরকার।