ঢাকাশুক্রবার , ১ অক্টোবর ২০২১
  1. International
  2. অন্যান্য
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. উৎসব
  6. খেলাধুলা
  7. চাকুরী
  8. জাতীয়
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম
  11. পরামর্শ
  12. প্রবাস
  13. ফরিদপুর
  14. বিনোদন
  15. বিয়ানীবাজার
আজকের সর্বশেষ সবখবর

নির্বাচন নিয়ে এখনই অবস্থান স্পষ্ট করবে না বিএনপি

নিজস্ব প্রতিনিধি,দৈনিক ডাকবাংলা ডট কম
অক্টোবর ১, ২০২১ ৯:৩৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রশ্নে এখনই কোনো অবস্থান স্পষ্ট করবে না বিএনপি। দলটি এই প্রশ্নে কিছুটা কৌশলী অবস্থান নিয়েছে বলে জানা গেছে। বিএনপির নীতিনির্ধারকদের মতে, ‘নির্বাচনে যাব বা যাব না’ এমন কথা বলার সময় এখনো আসেনি, বরং সরকারের পতন ঘটিয়ে নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার আদায় করে বিএনপি নির্বাচনে যাবে—এটিই হচ্ছে দলের এখনকার অবস্থান।

বিএনপির এ কথার অর্থ দাঁড়ায়, দলটি বর্তমান সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনে যাবে না।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতাদের এক সভায় দলের স্থায়ী কমিটির প্রবীণ সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন নির্বাচন নিয়ে কোনো আলোচনা না করার জন্য উপস্থিত নেতাদের নির্দেশনা দেন। তিনি বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে কোনো আলাপ হবে না। আমাদের কারো বক্তব্যে যেন নির্বাচন নিয়ে কোনো কথা না আসে। আওয়ামী লীগের নির্বাচনের ফাঁদে পড়া যাবে না। আমাদের সংগঠনকে শক্তিশালী করে আগে নিরপেক্ষ সরকার আদায় করতে হবে।’

এমন নির্দেশনার কারণ খুঁজতে গিয়ে জানা যায়, নির্বাচনে যাওয়া না-যাওয়ার পক্ষে-বিপক্ষে মতামত যাতে না উঠে আসে সে জন্যই খন্দকার মোশাররফ ওই কথা বলেন। দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরও ওই নির্দেশনা সমর্থন করেন বলে জানা যায়। এর অর্থ হলো নির্বাচন নিয়ে দলীয় অবস্থান এখনই স্পষ্ট হোক বিএনপি তা চায় না। পাশাপাশি ওই প্রশ্নে দলে বিভেদ সৃষ্টির বিষয়েও বিএনপি সতর্ক থাকতে চাইছে।

জানতে চাইলে খন্দকার মোশাররফ হোসেন কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘বিএনপি অবশ্যই নির্বাচনে যাবে। তবে বর্তমান সরকারের অধীন নির্বাচনে যাবে না।’ তিনি বলেন, ‘আন্দোলন-সংগ্রামের মধ্য দিয়ে বর্তমান সরকারকে পদত্যাগে বাধ্য করে অথবা পতন ঘটিয়ে এবং নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের দাবি আদায় করে তার অধীনেই আমরা নির্বাচনে যাব।’
জানা যায়, গত ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া কেন্দ্রীয়সহ বিভিন্ন পর্যায়ের কমিটি ও পেশাজীবীর নেতাদের সঙ্গে ছয় দিনের মতবিনিময়সভায় প্রায় প্রতিদিনই ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান উপস্থিত নেতাকর্মীদের আশ্বস্ত করেন যে আগামী নির্বাচনে

বিএনপি ক্ষমতায় আসবে। বিএনপি নেতাদের সঙ্গে আলোচনা করে জানা যায়, দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে উৎসাহ-উদ্দীপনা সৃষ্টির লক্ষ্যে তারেক ওই নির্দেশনা দেন। দলটির অনেক নেতার মতে, তারেকের বক্তব্যের অর্থ হলো বিএনপি নির্বাচনে যাবে। আবার বর্তমান সরকারের অধীনে যাবে না, এটিও তাঁরা বলছেন। অর্থাৎ ‘নির্বাচনে যাওয়া না যাওয়া’ দুটি বিষয়ই থাকছে দলটির নেতাদের বক্তব্যে।

সূত্র আরো জানায়, নির্বাচনে অংশ নেওয়ার প্রশ্নে দলটির নীতিনির্ধারণী পর্যায়ে এখনো কোনো আলোচনা শুরু হয়নি। তবে বর্তমান সরকার ব্যবস্থা ও কাঠামো হুবহু বহাল থাকলে নির্বাচনে গিয়ে কোনো লাভ হবে না—এমন আলোচনা দলটির সর্বস্তরে আছে।

জানতে চাইলে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমরা নির্বাচনে যাব—না এ কথা কখনো বলিনি। তবে বর্তমান ফ্যাসিস্ট সরকারের অধীনে যাব না, এটি নিশ্চিত। নির্বাচনে অবশ্যই যাব। তবে সেটি নির্বাচনকালীন নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে। আর এই দাবি আদায়েই বিএনপি আন্দোলনের প্রস্তুতি নিচ্ছে।’

বর্তমান সরকারের অধীনে ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে অংশ নিয়ে ফলাফল ঘরে তুলতে পারেনি বিএনপি। এর আগে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির নির্বাচন বর্জনেও কোনো রাজনৈতিক লাভ হয়নি। তবে বিএনপি প্রায় এক বছর ধরে স্থানীয় সরকার এবং বেশির ভাগ উপনির্বাচন বর্জন করে বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে না যাওয়ার পথ তৈরি করেছে।

বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘স্থানীয় সরকার ও উপনির্বাচনে বিএনপি অংশ না নেওয়া সত্ত্বেও সেখানে ভোট হয়নি। এর অর্থ, পাগলেও বলবে না যে এ সরকারের অধীন সুষ্ঠু নির্বাচন হবে।’ তিনি বলেন, নির্বাচন প্রশ্নে সিদ্ধান্ত নেওয়ার সময় এখনো আসেনি। সরকারের সিদ্ধান্ত দেখে বিএনপি সিদ্ধান্ত নেবে। তবে পরিবেশ-পরিস্থিতি দেখে তৃণমূলের নেতাকর্মীরাই বর্তমান সরকারের অধীনে নির্বাচনে যেতে অনাগ্রহী।’