ঢাকাসোমবার , ৩০ আগস্ট ২০২১
  1. International
  2. অন্যান্য
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. উৎসব
  6. খেলাধুলা
  7. চাকুরী
  8. জাতীয়
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম
  11. পরামর্শ
  12. প্রবাস
  13. ফরিদপুর
  14. বিনোদন
  15. বিয়ানীবাজার
আজকের সর্বশেষ সবখবর

পর্তুগালে মুসলমানদের আগমন ও বর্তমান মুসলিম কমিউনিটি

লেখক,আবু নাঈম মু শহীদুল্লাহ
আগস্ট ৩০, ২০২১ ৮:২৩ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

ইউরোপের দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থিত দেশ পর্তুগাল। আটলান্টিক মহাসাগরের কুলগেষে উঁচুনিচু পাহাড় নানা রকমের গাছগাছালি নানান প্রজাতির পশুপাখী দেখলে মনে হয় মহান স্রষ্টার এক অসাধারণ সৃষ্টি। যারাই এখানে চাকুরী কিংবা ঘুরতে আসেন অতি অল্প সময়ে দেশটির প্রেমে পড়ে যায়। নান্দনিক সৌন্দর্যের কারনে পৃথিবীর প্রায় সকল দেশ থেকে ভ্রমন পিপাসুরা ছুটে আসেন পর্তুগালে। রাজধানী লিসবন, বাণিজ্যিক রাজধানী নামে খ্যাত সাজানো পুরাতন শহর পর্তো, আলগ্রাভ, আলবুফেরা, মাধেইরা, ফারো, সিসিম্ব্রা,কুইম্ব্রা, সিন্ত্রা, কাসকাইস, কোষ্টা কাপারিকা এ্যাবোরা, আবেইরোসহ আরো অনেক নাম নাজানা শহর বীচে ভ্রমন করে বেড়ান ভ্রমন পিপাসুরা।

আমার বর্তমান বসবাস এই প্রাকৃতি সৌন্দর্যের দেশ পর্তুগালে! গত ৫ বছর পর্তুগালের বিভিন্ন এলাকায় আমার ভ্রমন করার সৌভাগ্য হয়েছে। ভ্রমনকালে আমি খোজ পেয়েছি অনেক আরবী অক্ষরে লেখা সাইন যাহা মিউজিয়াম গুলোতে সংরক্ষণ করা আছে। রোড ও শহর গুলোর অনেক আরবী নাম এখনো লেখা হয়! আর সে কারনেই আজকের এ লিখা!

প্রথমে বলে রাখি ইউরোপের দেশ গুলোর মধ্যে পর্তুগালই একমাত্র দেশ যেখানে ইসলামী অনুশাসন মেনে চলতে কোন বাধা নেই। বরং মুসলিম শুনলে পর্তুগিজরা সম্মানের চোখে দেখে।

ইতিহাস থেকে যতটুকু পাওয়া যায় ৮ম থেকে ত্রয়োদশ শতাব্দীতে মুসলমানরা এ এলাকা শাসন করতো তখন এর নাম ছিল আল-আন্দালুস।
হাজার বছর পেরিয়ে গেলেও এখনো পর্যন্ত মুসলমানদের স্থাপন গুলো সুরক্ষিত। স্পেনের কাছাকাছি পর্তো নর্থের মারতোলা এলাকায় প্রতি মে মাসে উৎসবের আয়োজন করা হয়ে থাকে।যেখানে উচ্চ আওয়াজে শোনা যায় আল্লাহু আকবার আল্লাহু আঁকবার আজানের ধব্বনী। বর্তমান মুসলমানদের সংখ্যা শতকরা পয়েন্ট জিরো ছয় পার্সেন্ট. ০৬% ।

বাংলাদেশ, মুজাম্বিক,পাকিস্তান, ইরাক, ইরান, মরক্কো কাবুবেরদ সহ অনেক দেশের মুসলমানরা এখন পর্তুগালে স্থায়ীভাবে নাগরিকত্ব নিয়ে বসবাস করছেন। ১ কোঠি মানুষের দেশে মুসলমানদের সংখ্যা কম হলেও প্রয়োজনে বিভিন্ন এলাকায় রয়েছে মুসলিম কমিউনিটি। গড়ে তুলেছেন মসজিদ ও মাদ্রাসা। রাজধানী লিসবনে সেন্ট্রাল মাসজিদের বাহিরে যে সকল মসজিদ গুলো খুব পরিচিত তাহলো যথা ক্রমে

১.মসজিদ আয়েশা সিদ্দিকা ওডিভেলাস, লিসবন।
২.মসজিদ বায়তুল মোকাররম ইসলামিক সেন্টার, লিসবন।
৩.মার্তিম মনিজ জামে মসজিদ, লিসবন।
৪.আলবুফেইরা মসজিদ,আলবুফেইরা।
৫.মসজিদ-ই-বিলাল ট্রাভ পর্তো।
৬.ইভোরার উপাসনার ইসলামিক স্থান।
৭.ব্রাগা মুসলিম অ্যাসোসিয়েশন সেন্ট্রো ব্রাগা পর্তুগাল।
৮.কয়েমব্রা মসজিদ।
৯.ফারো মসজিদ, ফারো।
১০.ফর্তিমাও মসজিদ আলগ্রাভ।
১১. মাফরা মসজিদ।
১২.আল নুর মসজিদ।
১৩.আল তাওহীদ মসজিদ।
১৪.কাসকাইস ইসলামিক সেন্টার।
১৫.বারেইরো বাংলাদেশী এসোসিয়েশন মসজিদ।

লেখক: আবু নাঈম মু শহীদুল্লাহ