খুব গোপনেই গত জানুয়ারিতে করোনার টিকা নিয়েছিলেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং সাবেক ফার্স্টলেডি মেলানিয়া ট্রাম্প। গতকাল সোমবার ট্রাম্পের এক উপদেষ্টা এ তথ্য জানিয়েছেন। তবে ট্রাম্প কোন কোম্পানির আর কত ডোজ টিকা নিয়েছেন তা তাৎক্ষণিকভাবে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। গত রবিবার ফ্লোরিডার অরল্যান্ডোতে রিপাবলিকান পার্টির এক সম্মেলনে সমর্থকদের টিকা নেওয়ার উৎসাহ দেন ট্রাম্প। এর পরই এ তথ্য বেরিয়ে আসে।
গত বছরের মধ্য ডিসেম্বরে হোয়াইট হাউসের এক কর্মকর্তার বরাতে বলা হয়, হোয়াইট হাউসের সবার জন্য করোনার টিকার সুপারিশ না করা পর্যন্ত নিজে তা না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ট্রাম্প। ওই সময় সেই কর্মকর্তা জানান, ট্রাম্প ও তার স্ত্রী মেলানিয়া করোনা থেকে সুস্থ হওয়ায় শরীরে থাকা অ্যান্টিবডির সুবিধা নিচ্ছেন। তবে এখন তাদের গোপনে টিকা নেওয়ার কথা সামনে এলো।
প্রেসিডেন্ট থাকার সময় ডোনাল্ড ট্রাম্প করোনাভাইরাসকে গুরুত্ব দেননি। যুক্তরাষ্ট্রে করোনার ভয়াবহতা ট্রাম্প প্রশাসনের অব্যবস্থাপনারই ফল হিসেবে দেখা হচ্ছে। একসময় মাস্ক ব্যবহারেও অনীহা ছিল ট্রাম্পের। এমনকি করোনাকে সাধারণ ফ্লু হিসেবে দেখতেন তিনি। মাস্ক পরা এবং সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখার মতো বিষয়কে তিরি রীতিমতো তাচ্ছিল্য করেছেন। এমনকি লকডাউন দিতেও রাজি ছিলেন না তিনি।
ফ্লোরিডার ওই সম্মেলনে ট্রাম্প বলেন, টিকা নেওয়ার মধ্যে কোনো সমস্যা নেই। প্রত্যেকেরই উচিত এই টিকা নেওয়া। টিকা নেওয়ার প্রতি তার এই উৎসাহ জোগানো এটিই প্রমাণ করে যে, তিনি করোনার ভয়াবহতা এতদিনে হলেও আঁচ করতে পেরেছেন। অথচ ডিসেম্বরের মাঝামাঝি পর্যন্ত ট্রাম্প প্রশাসন করোনার কোনো টিকা ব্যবহারের অনুমোদন দেয়নি।