স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে বছরব্যাপী কর্মসূচি পালনের লক্ষে ২৫টি কমিটি গঠন করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল-বিএনপি। প্রতিটি কমিটিতে দলের শীর্ষ পর্যায় থেকে শুরু করে বিভিন্ন পর্যায়ের একাধিক নেতাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তবে দলের ভাইস চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমদকে (বীর বিক্রম) বাদ দিয়েই এ কমিটি করা হয়েছে।
মঙ্গলবার (২২ ডিসেম্বর) গুলশানে দলের চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এসব কমিটি ঘোষণা করেন।
দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে গত ১৪ ডিসেম্বর হাফিজ উদ্দিন আহমদকে কারণ দর্শানোর নোটিশ (শোকজ) দিয়েছিল বিএনপি। বেঁধে দেওয়া পাঁচ দিন সময়ের মধ্যেই তিনি কারণ দর্শাও নোটিশের জবাব দিয়েছেন। একইদিনে দলের আরেক ভাইস চেয়ারম্যান শওকত মাহমুদকেও একই অভিযোগে কারণ দর্শাও নোটিশ দেওয়া হয়েছিল। তিনিও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে দলের নয়াপল্টনের কার্যালয়ে জবাব জমা দিয়েছেন। তবে এখন পর্যন্ত দল তাদের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি।
স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন উপলক্ষে বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে ২৫টি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বিষয়ভিত্তিক কমিটিগুলো হলো-
১. বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশারফ হোসেনকে আহ্বায়ক করে স্মরণিকা কমিটি গঠন করা হয়েছে।
২. স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমেদকে আহ্বায়ক করে আইনের শাসন ও মানবাধিকার কমিটি করা হয়েছে।
৩. স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায়কে আহ্বায়ক করে প্রচার কমিটি গঠন করা হয়েছে।
৪. স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খানকে আহ্বায়ক করে সেমিনার ও সিম্পোজিয়াম কমিটি গঠন করা হয়েছে।
৫. স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সোলিমা রহমানকে আহ্বায়ক করে স্বরচিত কবিতা এবং চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা কমিটি গঠন করা হয়েছে।
৬. স্থায়ী কমিটির সদস্য ইকবাল হাসান মাহমুদ টুকুকে আহ্বায়ক করে মিডিয়া কমিটি গঠন করা হয়েছে।
৭. ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমানকে আহ্বায়ক করে প্রকাশনা কমিটি গঠন করা হয়েছে।
৮. ভাইস চেয়ারম্যান ব্যারিস্টার মেজর (অব.) শাহজাহান ওমরকে আহ্বায়ক করে মুক্তিযুদ্ধের সম্মাননা কমিটি গঠন করা হয়েছে।
৯. ভাইস চেয়ারম্যান বরকত উল্লাহ বুলুকে আহ্বায়ক করে র্যালি কমিটি গঠন করা হয়েছে।
১০. চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমানকে আহ্বায়ক করে সাজসজ্জা, মুক্তিযুদ্ধের বইমেলা ও চিত্র প্রদর্শনী কমিটি গঠন করা হয়েছে।
১১. চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গাজী মাজহারুল আনোয়ারকে আহ্বায়ক করে সাংস্কৃতিক কমিটি গঠন করা হয়েছে।
১২. জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি ড. মুস্তাহিদুর রহমানকে আহ্বায়ক করে রচনা প্রতিযোগিতা কমিটি গঠন করা হয়েছে।
১৩. চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা লে. কর্নেল (অব.) এম এ লতিফ খানকে আহ্বায়ক করে ক্রীড়া কমিটি গঠন করা হয়েছে।
১৪. চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা বিজন কান্তি সরকারকে আহ্বায়ক করে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটির সচিবালয় কমিটি গঠন করা হয়েছে।
১৫. চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ডা. ফরহাদ হালিম ডোনারকে আহ্বায়ক করে চিকিৎসা ও সেবা কমিটি গঠন করা হয়েছে।
বিভাগীয় কমিটি-
১৬. বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমিরউদ্দীন সরকারকে আহ্বায়ক করে রংপুর বিভাগের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
১৭. স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসকে আহ্বায়ক করে ঢাকা বিভাগের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
১৮. স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানকে আহ্বায়ক করে ময়মনসিংহ বিভাগের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
১৯. স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরীকে আহ্বায়ক করে চট্টগ্রাম বিভাগের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
২০. স্থায়ী কমিটির সদস্য বেগম সেলিমা রহমানকে আহ্বায়ক করে বরিশাল বিভাগের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
২১. ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায়কে আহ্বায়ক করে খুলনা বিভাগের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
২২. ভাইস চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) রুহুল আমিন চৌধুরীকে আহ্বায়ক করে ফরিদপুর বিভাগের কমিটি করা হয়েছে।
২৩. চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনুকে আহ্বায়ক করে রাজশাহী বিভাগের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
২৪. চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরীকে আহ্বায়ক করে কুমিল্লা বিভাগের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
২৫. সিলেট সিটি মেয়র আরিফুল হককে আহ্বায়ক করে সিলেট বিভাগের কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটি ঘোষণার সময় দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছাড়াও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন কমিটির সদস্যসচিব ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম উপস্থিত ছিলেন।
