ঢাকাবৃহস্পতিবার , ১০ ডিসেম্বর ২০২০
  1. International
  2. অন্যান্য
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. উৎসব
  6. খেলাধুলা
  7. চাকুরী
  8. জাতীয়
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম
  11. পরামর্শ
  12. প্রবাস
  13. ফরিদপুর
  14. বিনোদন
  15. বিয়ানীবাজার
আজকের সর্বশেষ সবখবর

‘ভাস্কর্য ভাঙার দায় চাপিয়ে হেফাজতে ইসলামকে ঘায়েল করার চেষ্টা হচ্ছে’

অনলাইন ডেস্ক, দৈনিক ডাক বাংলা ডটকম
ডিসেম্বর ১০, ২০২০ ১১:৪৮ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

Biggaponকুষ্টিয়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ভাস্কর্য ভাঙার দায় হেফাজতে ইসলামের ওপর চাপিয়ে তাদের ঘায়েল করার চেষ্টা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে সংগঠনটি। ভাস্কর্য ভাঙার ঘটনার সিসিটিভি ভিডিও এবং তার ভিত্তিতে কুষ্টিয়ার দুই মাদ্রাসা ছাত্রকে গ্রেপ্তার নিয়েও প্রশ্ন তুলেছে ভাস্কর্যের বিরোধিতা করে আসা সংগঠনটি।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে হেফাজতে ইসলাম আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই অভিযোগ করা হয়। এ সময় সরকারের সঙ্গে আলাপ-আলোচনা করে ভাস্কর্য নিয়ে উদ্ভূত সমস্যার সমাধানের প্রত্যাশার কথা জানান হেফাজত নেতারা। তারা বলেন, আলেমরা এ বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে বৈঠক করার জন্য চেষ্টা করে যাচ্ছেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের নায়েবে আমির মাওলানা নুরুল ইসলাম।

তিনি বলেন, দেশ বরেণ্য আলেমদের শান্তিপূর্ণ ও যৌক্তিক উপদেশ এবং দাবিকে বিতর্কিত করার জন্য কুষ্টিয়ায় কে বা কারা বঙ্গবন্ধুর ভাস্কর্য ভাঙার মাধ্যমে একটি ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তার করেছে।

হেফাজত ইসলাম আইন নিজের হাতে তুলে নেওয়া বা গোপন তৎপরতা পথ অনুসরণ বা অনুমোদন করে না-দাবি করে নুরুল ইসলাম বলেন, এটা জানা থাকার পরও সরকার, ক্ষমতাসীন দল ও সমর্থকদের মধ্যকার ইসলামবিদ্বেষী একটি মহল কুষ্টিয়ার ঘটনার দায় ওলামায়ে কেরাম ও হেফাজতের নেতৃবৃন্দের উপর চাপিয়ে দিয়ে তাদের ঘায়েল করার অপচেষ্টা করছে।

কুষ্টিয়ার ঘটনা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে হেফাজতের মাওলানা নুরুল ইসলাম বলেন, কুষ্টিয়ার ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত আমরা চাই। তবে সিসিটিভি ফুটেজ দেখা যায় চিকন দুজন মানুষ উঠেছে, কিন্তু ধরে আনল মোটা মোটা দাঁড়িওয়ালা দুজন। সিসিটিভি ফুটেজের দুজনকে উঠতে দেখা গেল, নামতে তো দেখা গেল না।

সংগঠনের অবস্থান ব্যাখ্যা করতে গিয়ে তিনি বলেন, ধোলাইপাড়ে নির্মিতব্য ভাস্কর্য নিয়ে দেশের সর্বত্র ব্যাপক বিতর্ক তৈরি করেছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ইতোমধ্যে শীর্ষ ওলামায়ে কেরামের পক্ষ থেকে যে কোনো প্রাণীর ভাস্কর্য নির্মাণের বিষয়টি ইসলামসম্মত নয় বলে সর্বসম্মত ফতোয়া প্রদান করা হয়েছে, যা একটি পত্র দিয়ে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীকে অবহিত করা হয়েছে। হেফাজতে ইসলাম ভাস্কর্য নির্মাণ বিষয়ে সরকারকে ইসলামের আকিদা, ঈমান ও শিক্ষার বিরুদ্ধে গিয়ে পৌত্তলিকতা প্রসারের রাষ্ট্রীয় গোমরাহির পথ পরিহার করার আহ্বান জানাচ্ছে।

তিনি ভাস্কর্য বিষয়ে হেফাজতে ইসলামের আমির জুনায়েদ বাবুনগরী, যুগ্ম মহাসচিব মাওলানা মামুনুল হক এবং ইসলামী আন্দোলনের নায়েবে আমির সৈয়দ ফয়জুল করীমের নামে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে হওয়া মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান।

‘সেক্যুলার শব্দের আড়ালে’ আশ্রয় নেওয়া ইসলামবিদ্বেষীদের নিয়ন্ত্রণের আহ্বান জানিয়ে নূরুল ইসলাম বলেন, অন্যথায় দেশের ধর্মপ্রাণ মানুষ এই কুচক্রী মহলকে রুখে দিতে রাস্তায় নামতে বাধ্য হবে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে হেফাজতে ইসলামের নেতা ও বেফাকের মহাসচিব মাওলানা মাহফুজুল হক বলেন, সরকারের কাছে আহ্বান জানাচ্ছি এবং চেষ্টা করে যাচ্ছি। সরকারের সঙ্গে আলাপ–আলোচনার মধ্যে দিয়েই এই সমস্যার সমাধান যেন সুন্দরভাবে সমাপ্ত হয়।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকের আগ্রহ প্রকাশের প্রেক্ষাপটে সাংবাদিকেরা জানতে চান, কবে এই বৈঠক হবে। জবাবে মাহফুজুল হক বলেন, সময় এখনো ঠিক হয়নি, যোগাযোগ চলছে। তাঁরা আশাবাদী, দ্রুত সময়ের বৈঠকের ব্যবস্থা হবে।

সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে হেফাজতের উপদেষ্টা আবুল কালাম, আব্দুল হামিদ, আব্দুল আউয়াল, আহমদ আবদুল কাদের, অ্যাডভোকেট আব্দুর রাকিব, যুগ্ম মহাসচিব জুনায়েদ আল হাবীব, মামুনুল হক, সহকারী মহাসচিব মাওলানা জালাল উদ্দিন আহমেদ, সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদী, সহকারী সাংগঠনিক সম্পাদক আতাউল্লাহ আমিন উপস্থিত ছিলেন।