যাত্রী বাংলাদেশি বংশোদ্ভুত। তবে বর্তমানে ইতালীয় পাসপোর্টধারী। তিনি ইউরোপের অন্য একটি উন্নত দেশে বসবাস করেন বলে জানালেন। সেদেশে যাত্রার উদ্দেশ্যে বিমানবন্দরে এসে হেলথ ডেস্কে কোভিড পরীক্ষার সনদের প্রিন্ট কপি দাখিল করলেন। ঐ সনদের কিউআর কোডটি স্ক্যান করে স্বাস্থ্যকর্মীদের চক্ষু চড়কগাছ! যাত্রী যে কোভিড পজিটিভ! নিশ্চিত হবার জন্য তারা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের ওয়েবসাইটে যাত্রীর তথ্য ইনপুট দিয়ে কোভিড সনদ প্রিন্ট করলেন৷ সেখানেও যাত্রী কোভিড পজিটিভ! শুধু যাত্রীর বহন করে আনা প্রিন্ট কপিতে যাত্রীকে কোভিড নেগেটিভ দেখাচ্ছে।
যাত্রী স্বীকার করলেন যে কোন একটি কম্পিউটারের দোকান থেকে তিনি তার দাখিলকৃত সনদটি প্রিন্ট করিয়েছেন। জেনেশুনে কোভিড বিস্তারের ঝুকি তৈরি করায় যাত্রীকে বিশ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে এবং তাকে হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
একটি উন্নত দেশের নাগরিকত্ব গ্রহণ করার পরেও এ যাত্রীর মধ্যে দায়িত্ববোধ তৈরি হয়নি। অনেক সীমাবদ্ধতার বাংলাদেশের সিস্টেমকে খুব সহজে ফাকি দিতে পারবেন বলে তিনি হয়ত ভীষণ আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। ফাকি তিনি দিতে পারেননি।
তবে বিমানবন্দরের ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী, নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্য, পরিচ্ছন্নতা কর্মী, ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের কর্মচারী এবং ম্যাজিস্ট্রেট – সবাইকে তিনি কিছুটা হলেও কোভিড সংক্রমণ ঝুকিতে ফেলতে পেরেছেন। এটাই বা কম কিসে!