কাঁচা টাকা কামানোর অসাধু নেশায় মাতাল এখন সিলেটের হোটেল গ্র্যান্ড প্যালেস কর্তৃপক্ষ। মদ ও মাদকের জঘন্য ছোবল থেকে যুব সমাজকে রক্ষা করতে হাজার চেষ্টা করেও সরকার ও গোটা সমাজকে যখন হিমশিম খেতে হচ্ছে। শরীয়তের কঠোর অবস্থান যেখানে মদখোরের বিরুদ্ধে। সেখানে নিছক কিছু অর্থের লোভে মদের বার খুলে বসেছে গ্রান্ড প্যালেস।
“যেভাবেই পার দু’হাতে কামাও” পুঁজিবাদের এই নিকৃষ্ট নীতির তালিম নিয়ে মদখোর গ্রান্ড প্যালেসঅলারা এবার আধ্যাত্মিক রাজধানীতেই চালু করেছে দেশ, ধর্ম ও সমাজ বিরোধী এ অবৈধ কর্মকান্ড। করেছে যুব সমাজকে নষ্টের ভয়ঙ্কর, বিপথজনক ও বিপদজনক এ আয়োজন।
এ দেশে, বিশেষত শাহজালালের মাটিতে এমন অবৈধ দুঃসাহস মানা যায় না। দেশ ও ধর্ম বিরোধী পাপ বরদাশত করা যায় না। শাহজালাল রহ. এর মাজার নিকটবর্তী জল্লার পাড়ের এ হোটেল কর্তৃপক্ষ তাদের ওয়েবসাইটে মদের বার খোলার অপেন ঘোষণার পর ধর্মপ্রাণ জনতার মধ্যে বিরুপ প্রতিক্রিয়া ও ক্ষোভ দানা বাঁধছে। তরঙ্গায়িত হচ্ছে এ ক্ষোভ জনসাধারণের মাঝে। যা ক্রমেই বিস্ফোরণের দিকে মোড় নিবে।
এলাকাবাসীর নিয়মতান্ত্রিক সব প্রতিবাদ ইতিমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। ইসলাহুল উম্মাহ ফাউন্ডেশনের সভাপতি অধ্যাপক মাওলানা খায়রুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক হাফিজ মাওলানা আব্দুল গফ্ফার, সহসাধারণ সম্পাদক মুফতী মাওলানা আখতারের নেতৃত্বে এলাকাবাসীর পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, মাননীয় মেয়র, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর, ওয়ার্ড কমিশনারসহ সকল দায়িত্বশীল মহলে যথারীতি স্মারকলিপি দিয়ে প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।
আমরা গ্র্যান্ড প্যালেসকে এখনও
এ ভুল পথ থেকে ফিরে আসার আহবান জানাচ্ছি। তারা ফিরে না আসলে সরকারের দায়িত্বশীল মহলকে সময় থাকতে তা বন্ধ করার আবেদন জানাচ্ছি। নতুবা দেশপ্রেমিক ও ধর্মপ্রাণ জনতার আন্দোলনেই তা বন্ধ করতে বাধ্য করা হবে।
আগামী ১৩ নভেম্বর শুক্রবার বাদ জুমা জল্লার পাড় মসজিদ প্রাঙ্গনে মানববন্ধন কর্মসুচী ঘোষিত হয়েছে। সর্বস্তরের জনতাকে তাতে শামিল হবার আহবান জানানো হয়েছে।