ইতালির রাজধানী রোমের একটি অভিজাত এরিয়াতে ৮ নভেম্বর সন্ধ্যার চিত্র। সেফটি মাস্ক ব্যবহার করলেও সামাজিক দূরত্ব এবং জনসমাগম সংক্রান্ত রাষ্ট্রীয় বিধিনিষেধ মানছে না আমজনতা। সেমি লকডাউন ‘ইয়েলো জোন’ আইনী শিথিলতার সুযোগের এরকম অপব্যবহার শুধু রোমেই নয়, ছোট বড় আরও বেশ কিছু শহরে নগরে আইন অমান্যের হিড়িক পড়ার পাশাপাশি সামগ্রিক করোনা পরিস্থিতির ক্রমাবনতি অব্যাহত থাকায় অঞ্চল/বিভাগ ভিত্তিক রেড/অরেঞ্জ/ইয়েলো জোনের পরিবর্তে পুরো দেশজুড়ে টোটাল লকডাউনের সম্ভাবনা ক্রমশ বাড়ছে।
সমগ্র দেশের হাসপাতাল সমূহে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বিপদজনক হারে বৃদ্ধি পাবার প্রেক্ষিতে এবং ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে মৃত্যুপথযাত্রী রোগীর চাপ উর্ধমূখী বিধায় ইতালির চিকিৎসকদের জাতীয় সংস্থা Federazione nazionale degli Ordini dei Medici (Fnomceo) প্রেসিডেন্ট ফিলিপ্পো আনেল্লি রবিবার সরকারের প্রতি জরুরি আহবান জানিয়েছেন সকল বিভাগের জন্য সমভাবে প্রযোজ্য টোটাল লকডাউন নিশ্চিত করতে। সতর্কবার্তায় তিনি বলেন,”সবকিছু বন্ধ করা না হলে পরিস্থিতি সহসাই নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে”।
অদৃশ্য ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র জীবাণুর থাবায় রবিবার ইতালিতে নতুন করে আক্রান্ত ৩২ হাজার ৬১৬। আগের দিন আরও ৭ হাজার ১৯৫ জন বেশি আক্রান্ত হলেও শনিবারের তুলনায় ৪০ হাজার কম টেস্ট করা হয় ছুটির দিন রবিবারে (১ লাখ ৯১ হাজার)। দেশজুড়ে রবিবার ভাইরাসের কাছে হেরে যান ৩৩১ জন। শনিবার ৯৪ জন বেশি প্রাণ হারিয়েছিলেন। চলতি মহামারিতে ইতালিতে প্রাণহানির সংখ্যা ইতোমধ্যে ৪১ হাজার অতিক্রম করেছে (৪১,৩৯৪)। রবিবার দিনশেষে দেশের বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ২৬ হাজার ৪০৪ জন কোভিড রোগী। অন্যদিকে ২ হাজার ৭৪৯ জন আছেন আইসিইউতে জীবন-মৃত্যুর সন্ধিক্ষণে।
সূত্র: 🇮🇹 মাঈনুল ইসলাম নাসিম,অনলাইন এক্টিভিস্ট।