চাঁদা না পেয়ে সিলেটের বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়িতে রায়হান নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় সাময়িক বরখাস্ত উপপরিদর্শক (এসআই) আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। নাম প্রকাশ না করার শর্তে পুলিশের একাধিক সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, পুলিশি হেফাজতে রায়হানের উপর নির্যাতনের ঘটনার প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ার পরই গ্রেপ্তার এড়াতে উপপরিদর্শক(এসআই)আকবর হোসেন ভূঁইয়া ফাঁড়ি থেকে পালিয়ে যান। রায়হানের মৃত্যুর ঘটনার প্রধান সন্দহভাজন অভিযুক্ত পলাতক এসআই আকবর হোসেন ভূঁইয়াকে গতকাল সোমবার জিন্দাবাজার ওয়েস্টওয়ার্ল্ড মার্কেটে একটি ইউটিউব চ্যানেল গ্রিন বাংলার অফিসে রাত ৯ টা থেকে ১১টা পর্যন্ত দেখা যায়।
এ নিয়ে সিলেটজুড়ে বিরুপ প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। যেখানে গ্রীন বাংলা চ্যানেলের অভিনেতা মুরাদ তার দায় নিতে নারাজ সেখানে কিভাবে সন্দেহভাজন একজন অভিযুক্ত আসামীকে নিজের অফিসে ২ ঘন্টা বসিয়ে রাখেন। সামাজিক যোগাযোগে মাধ্যমে তার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে গ্রীন বাংলা চ্যানেলের সাথে সম্পৃক্তদের তদন্তের আওতায় আনার দাবি জানাচ্ছে সর্বমহল। তারা বলছে একজন সন্দেহভাজন আসামিকে কিভাবে তাদের অফিসে জায়গা দেয়। এদিকে বেলাল মুরাদ আহমদ গ্রীণ ভিডিও বার্তায় অপরাধীদের আইনগত শাস্তির দাবি জানান। প্রশ্ন উঠছে একদিকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মুরাদের গ্রীন বাংলা অপরাধীদের শাস্তি কামনা করছে অন্যদিকে ঠিকই তারা এসআই আকবরকে আশ্রয় দিয়ে সাহায্য করছে। তাই অনেকেই তীরটা যাচ্ছে গ্রীন বাংলা এবং এসআই আকবরের বন্ধু অভিনেতা মুরাদ এর দিকে।
দৈনিক ডাক বাংলা ডটকম এর অনুসন্ধানী রিপোর্টে জানা যায় যে, অভিনেতা মুরাদ এক সময় জামাত শিবিরের সক্রিয় কর্মি ছিলেন। তার উপর থানায় অনেক মামলা রয়েছে।
কিন্তু তিনি এসব মামলা হামলা থেকে রক্ষা পেতে অভিনয় এর পাঠ বেছে নেন। এবং অভিনয় দিয়ে তিনি সফলও হয়েছেন।
প্রসঙ্গত,গত রোববার ভোরে রায়হান উদ্দিন (৩৩) নামে সিলেট নগরের আখালিয়ার এক যুবক নিহত হন। পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ছিনতাইয়ের দায়ে নগরের কাষ্টঘর এলাকায় গণপিটুনিতে নিহত হন রায়হান। এদিকে রায়হানের পরিবারের অভিযোগ পুলিশের নির্যাতনে খুন হয়েছেন রায়হান।রায়হানের পরিবারের সূত্রে জানা যায়, নগরের মিরের ময়দান এলাকায় শাহজালাল ডায়াগনস্টিক সেন্টারে এক চিকিৎসকের সহকারি হিসেবে কাজ করতেন রায়হান। তিনি নগরের নগরের আখালিয়া এলাকার নেহারিপাড়ার মৃত রফিকুল ইসলামের ছেলে বাসিন্দা।