ঢাকাশুক্রবার , ২ অক্টোবর ২০২০
  1. International
  2. অন্যান্য
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. উৎসব
  6. খেলাধুলা
  7. চাকুরী
  8. জাতীয়
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম
  11. পরামর্শ
  12. প্রবাস
  13. ফরিদপুর
  14. বিনোদন
  15. বিয়ানীবাজার
আজকের সর্বশেষ সবখবর

শাশুড়ির শতকোটি টাকা মেরে দিয়েছেন আ. লীগ নেতা!

নিজস্বপ্রতিনিধি, দৈনিক ডাক বাংলা ডটকম
অক্টোবর ২, ২০২০ ১১:৫৮ অপরাহ্ণ
Link Copied!

বগুড়ার নন্দীগ্রাম উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন রানার বিরুদ্ধে শত কোটি টাকা হাতিয়ে নেওয়ার অভিযোগ তুলেছেন শাশুড়ি। অভিযোগ অনুযায়ী, দলের পদ-পদবি ও অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে এই টাকা হাতিয়ে নেন তিনি।

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার রাতে বগুড়া সদর থানায় লিখিত অভিযোগ করেন শাশুড়ি দেলওয়ারা বেগম। আনোয়ার হোসেন রানা নন্দীগ্রাম উপজেলার কলেজপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি জেলা পরিষদের সদস্য পদেও রয়েছেন। মামলায় রানার স্ত্রী আকিলা শরিফা সুলতানাকেও আসামি করা হয়েছে।
দেলওয়ারা বেগম বগুড়া সদরের কাটনারপাড়া এলাকার ব্যবসায়ী শেখ শরিফ উদ্দিনের স্ত্রী। তাঁর ভাষ্য, শরিফ বিড়ি ফ্যাক্টরি নামে তাঁদের একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান রয়েছে। স্বামীর মৃত্যুর পর তিনি ব্যবস্থাপনা পরিচালক হিসেবে প্রতিষ্ঠানটি পরিচালনা করছিলেন। প্রতিষ্ঠানের পরিচালক ছিলেন পাঁচ মেয়ে—আকিলা শরিফা সুলতানা, মাহবুবা শরিফা সুলতানা, নাদিরা শরিফা সুলতানা, কানিজ ফাতিমা ও তৌহিদা শরিফা সুলতানা। অংশীদারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে তাঁরা শহরের শাকপালা ও চারমাথা এলাকায় শরিফ সিএনজি লিমিটেড নামের দুটি ফিলিং স্টেশন এবং নবাববাড়ি রোডে দেলওয়ারা-শেখ শরিফ উদ্দিন সুপারমার্কেট পরিচালনা করে আসছিলেন।

দেলওয়ারা বেগমের অভিযোগ, শারীরিক অসুস্থতা ও বার্ধক্যজনিত কারণে জামাই আনোয়ার হোসেন রানা ও মেয়ে আকিলা শরিফা সুলতানাকে ব্যবসা দেখাশোনার মৌখিক অনুমতি দেন তিনি। কিন্তু একপর্যায়ে তাঁকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে ফাঁকা স্ট্যাম্প, ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক চেক, এফডিআরসহ বিভিন্ন নথিপত্রে তাঁর সই নেন রানা। এরপর তাঁর নিজের নামীয় ব্যাংক হিসাব থেকে নগদ টাকাসহ এফডিআর ভাঙিয়ে প্রায় ৫০ কোটি টাকা তুলে নেন। এ ছাড়া ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান থেকে আরো ৫০ কোটি টাকা তুলে আত্মসাৎ করেন। এই কাজে সহায়তা করেছেন শরিফ বিড়ি ফ্যাক্টরির ব্যবস্থাপক ও হিসাবরক্ষক নজরুল ইসলাম (৩৮), ফিলিং স্টেশনের ব্যবস্থাপক হাফিজার রহমান (৫০) এবং সুপারমার্কেটের ব্যবস্থাপক তৌহিদুল ইসলাম (৫০)। দেলওয়ারা বেগম জানান, কিছুদিন আগে রানা পিস্তল উঁচিয়ে তাঁকে হত্যার হুমকি দিয়েছেন।

আনোয়ার হোসেন রানা বলেন, ‘সব অভিযোগ মিথ্যা। আমি পারিবারিক ষড়যন্ত্রের শিকার। বিষয়টি আমি আদালতের মাধ্যমে ফয়সালা করব।’
বগুড়া সদর থানার ওসি হুমায়ন কবির জানান, অভিযোগ পাওয়া গেছে। তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। এরপর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।