ধর্ষণের বিচার না পেয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জে আরেক স্কুলছাত্রী আত্মহত্যা করেছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। নির্যাতনের শিকার পৌর এলাকার পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রী আসিফা খাতুন (১৩) গত শুক্রবার সকালে বিষপান করে। পরে ওই দিন বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ আধুনিক সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়। এর আগে গত ১ সেপ্টেম্বর চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুরে গ্রাম্য সালিসে ধর্ষণের বিচার না পেয়ে স্কুলছাত্রী সামিয়া খাতুন সাম্মি নামের এক স্কুলছাত্রী আত্মহত্যা করে।
আসিফার পরিবারের ভাষ্য, কয়েক দিন আগে ঘরে ঢুকে আসিফাকে ধর্ষণ করে তারই চাচাতো ভাই আব্দুল বাসির। এ সময় মেয়ের চিৎকারে ঘরের দরজা আটকে দেন আসিফার মা রুবিয়া খাতুন। তখন বাসিরের বাবা তহিদুল বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ছেলেকে ছাড়িয়ে নেন। এ নিয়ে গত বুধবার চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মতিউর রহমান মটন মিয়া সালিসি বৈঠক করেন। বাসিরের অনুপস্থিতিতে ওই সালিসে অভিযুক্তের পরিবারকে ৭২ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। পরে কাউন্সিলর ভুক্তভোগী পরিবারের হাতে ৬৫ হাজার টাকা তুলে দেন।
নিহত আসিফার বড় বোন রুমি বেগম বলেন, ‘৭২ হাজার টাকায় ধর্ষণের সমাধান মানতে না পেরে সালিসেই আসিফা সাফ জানিয়ে দেয়, এ বিচার মানি না। এ সময় আসিফা সবার উপস্থিতিতে বলে, আমাকে বাসির ধর্ষণ করেছে। আমি তাকেই বিয়ে করব, টাকা নিব না।’
আসিফার ভাবি রিনা বেগম ও মা রুবিয়া বলেন, ‘নির্যাতনের শিকার হওয়ার পর থেকেই আসিফা বলত, আমি বাসিরকে বিয়ে করতে না পেলে আত্মহত্যা করব। আর এটিই করে ফেলেছে।’
এ বিষয়ে বক্তব্য জানতে কাউন্সিলর মতিউর রহমান মটন মিয়ার ফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও সাড়া মেলেনি। অভিযুক্ত বাসিরের বাবা তহিদুল ইসলামও ফোন রিসিভ করেননি।