ফিলিস্তিন সঙ্কট সমাধানের আগে উপসাগরীয় দুটি দেশের মতো ইসরায়েলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক করবে না বলে জানিয়েছে কাতার।
গতকাল সোমবার (১৪ সেপ্টেম্বর) যুক্তরাষ্ট্রের ব্লুমবার্গকে দেওয়া এক সাক্ষাতকারে কাতার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র লুলুওয়া আল খাতের একথা বলেন।
আল খাতের আরো জানান, ‘ফিলিস্তিনের অধিবাসীরা কঠিন পরিস্থিতি অতিবাহিত করছে। তাঁরা রাষ্ট্রহীন এক জাতি। তাঁদের ওপর ইসরায়েল দখলদারিত্ব অব্যাহত আছে।’ তিনি আরো বলেন, ‘স্বাভাবিক সম্পর্ক এ সংঘাতের মূল বলে মনে করি না আমরা। আর এ সংঘাতের কোনো সমাধান হবে বলে মনে হয় না।’
কাতারের ওপর উপসাগরীয় অবরোধ নিয়ে আল খাতের বলেন, ‘কাতারের ওপর কিছু উপসাগরীয় দেশের আরোপিত অবরোধ অতি শিগগির তুলে নেওয়ার সম্ভাবনা আছে। কাতারে সঙ্গে গত কয়েক মাসে কিছুর দেশের অনেক পত্র যোগাযোগ সম্পন্ন হয়। সামনের দিনগুলোতে কিছু প্রকাশ পাবে।’
কয়েক সপ্তাহের মধ্যে কিছু ঘটার সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে আল খাতের বলেন, ‘সামনের সপ্তাহগুলোতে নতুন কিছু প্রকাশ পাবে।’ তবে এবিষয়ে বিস্তারিত কিছু উল্লেখ করেননি।
আল খাতের বলেন, ‘ইতিপূর্বে যেকোনো সমাধানের প্রাথমিক ধাপ হিসেবে অরোধ আরোপকারী দেশগুলো ১৩টি দাবী আলোচনায় উত্থাপন করে। তবে আমরা রাখতে শর্তহীন আলোচনা ও গঠনমূলক পর্যালোচনা অব্যাহত রাখার প্রতি বিশেষ গুরুত্বারোপ করছি।’ এছাড়া একই সময় সব পক্ষের অংশগ্রহণের প্রয়োজন নেই বলে মনে করেন তিনি।
২০১৭ সালের ৫ জুন কাতারের ওপর সৌদি আরব, আরব আমিরাত, বাহরাইন ও মিশর অরোধ আরোপ করে। এবং কাতারের সঙ্গে পুরোপুরি সম্পর্ক ছিন্ন করে। অতঃপর কথিত সন্ত্রাসবাদে সহযোগিতার অভিযোগে কাতারের ওপর শাস্তিমূলক কিছু পদক্ষেপ গ্রহণ করে। অবশ্য দোহা অবরোধ আরোপকারী দেশগুলোর অভিযোগ অস্বীকার করে।
সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি