দীর্ঘদিন প্রবাসে থাকার পর মা ও মাঠির টানে অনেকই দেশে ছুটিতে আসেন।তার মধ্যে সারা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়ে বিশ্বমহামরি করোনা ভাইরাস(কভিট- ১৯)।
করোনা মহামারির পুর্বে দেশে ছুটিতে আসা অনেকে ভেবেছিলেন মাস দু এক মা বাবা ফ্যামিলির সাথে থেকে আনন্দ উপভোগ করে আবার পাড়ি দিবেন রুটি রুজির টানে প্রবাসে।
কিন্তু করোনা মহামারি চারিদিকে বিস্তরভাবে ছড়িয়ে পড়ায় সব দেশেই আন্তর্জাতিক ফ্লাইটগুলো বন্ধ হয়ে যায়।
তবে জুন মাসের শেষের দিকে থেকে কিছুটা নিয়ন্ত্রিত হলে কয়েকটি দেশের দূতাবাসের উদ্দোগে কুটনৈতিক তৎপরতায় বিশেষ ফ্লাইট পরিচালনা করে। আটকে পড়া কিছু সংখ্যক প্রবাসীদের স্ব-স্ব দেশে ফিরত আনতে সামর্থ্য হয়।
আবার গত মাস কয়েক থেকে বিভিন্ন দেশে সাপ্তাহে নিয়মিত ২/৪ টি ফ্লাইট চালু হয়। প্রবাসীরা রিটান টিকেট করে দেশে ছুটিতে গেলেও নির্দিষ্ট বিমান এজেন্সীর পর্যাপ্ত ফ্লাইট না থাকায় বিপাকে পড়েন অনেক প্রবাসীরা।
তাই তারা নিরুপায় হয়ে বাংলাদেশে এবং প্রবাসে থাকা বাংলাদেশী ট্রাভেল এজেন্সী গুলোর সাথে যোগাযোগ করলে।এজেন্সি গুলোও প্রবাসীদের দুঃসময় আর অসহায়ত্বকে কাজে লাগিয়ে সিষ্টেমের দোহাই দিয়ে বিভিন্ন সার্ভিস চার্জ এর নামে প্রবাসীদের লুটতে থাকেন একের পর এক!
ভোক্তভোগী কয়েক জনের সাথে কথা বলে জানা যায় যে,করোনার জন্যে ফ্লাইট বাতিল হলে পরর্বতিতে ট্রাভেল এজেন্সির মাধ্যমে ফ্লাইটের তারিখ পরিবর্তন করলেই তাদেরকে দিতে হয় অতিরোক্ত ২০ ইউরো থেকে ৫০ ইউরো। আবার এক সিটি থেকে অন্য সিটি চেইঞ্জ করলেই দিতে হয় ১২০ ইউরো থেকে ২০০ ইউরো। যা অন্তত এই মহামারি সময়ে নেয়াটা সম্পূর্নরুপে জুলুম বা অন্যায়!
একই কাজ নির্দিষ্ট বিমানের অফিস অথবা তাদের অনলাইন হেল্প ডেস্ক থেকে নিলে সম্পূর্ন ফ্রী। এবং তারা বলেই দেন যে টিকেট করা পরে তাদের অতিরোক্ত আর কোনো ধরনের চার্জ নেই।
এমন দুঃসময়ে প্রবাসীদের পাশে বাংঙ্গালীদের এজেন্সিগুলো কে না পেয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ সোশাল মিডায়ায় এজেন্সিগুলো নিয়ে প্রবাসীরা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। তারা বলেন সারা বছরই এ সকল এজেন্সি গুলো আমাদের নিয়েই ব্যবসা বাণিজ্য করে ফ্যামিলি নিয়ে লাগজারী লাইফ জীবন যাপন করছেন। এই দুঃসময়ে তারা বাংঙ্গালীদের পাশে দাড়ানো টা ছিলো তাদের নৈতিক দায়িত্ব্য!