করোনার মধ্যে এইচএসসি পরিক্ষা নয়,এমন দাবি করছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে দেশের অধিকাংশ শিক্ষার্থীরা।তারা কোন প্রকার অনিশ্চয়তা নিয়ে পরিক্ষা হলে অংশগ্রহণ করতে চাচ্ছেন না।শিক্ষার চেয়ে জীবনের মূল্য বেশি।বেচে থাকলে একসময় শিক্ষা গ্রহন করা যাবে।
দেশে করোনা ভাইরাস নিয়ে স্বাস্থ্য অধিদফতর এর নিয়মিত ব্রিফিং বন্ধ থাকলেও কমছে না দেশে করোনায় আক্রান্তের হার ও মৃত্যু।এমতাবস্থায় এইচএসসি পরিক্ষা শুরু হলে ছাত্রছাত্রীরা কতটুকু নিরাপদ থাকবে কেউ কি বলতে পারবে?ইতিমধ্যে আমেরিকার একটি স্কুল খুলে দেয়ায় স্কুলের অধিকাংশ শিক্ষার্থী করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।তাই দেশের প্রায় শতভাগ শিক্ষার্থী এইচএসসি পরিক্ষা এই করোনাকালীন সময়ে না নিতে সরকারের প্রতি বিভিন্ন মাধ্যমে আহব্বান জানাচ্ছে।
করোনার জন্য সরকার কেন্দ্র বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নিয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পরিক্ষা নিলেও কি শিক্ষার্থীরা সেফ থাকবে এটা কি কেউ বলতে পারবে? কেন্দ্রে যাতায়াতের সময়ে রাস্তাঘাটে,পাবলিক পরিবহনে চলার ক্ষেত্রে কে নিশ্চয়তা দেবে যে কোন শিক্ষার্থীর করোনা হবে না।তাই শিক্ষার্থীরা চায় দেশে করোনা ভেকসিন আসার পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তারা পরিক্ষা দিবে।
এদিকে করোনাভাইরাসের কারণে বন্ধ থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলছে কি না তা ২৫ আগস্টের পর জানানো হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহবুব হোসেন। তিনি বলেন, উচ্চ মাধ্যমিক (এইচএসসি) এবং জেএসসি-জেডিসি পরীক্ষার বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে তিনি বলেন, এটা গোপন কোনো সিদ্ধান্ত নয়। আমরা প্রকাশ্যে এটি ঘোষণা করব।
তিনি আরও বলেন, শিক্ষামন্ত্রী সুস্পষ্টভাবে বলেছেন, আমরা যখনই পরীক্ষা নেব, দুই সপ্তাহের আগে নোটিশ দিয়ে সবাইকে জানানো হবে।