Dhaka ০৮:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৭ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নতুন যুগে নতুনভাবে কাজ করবেন জার্মান যৌনকর্মীরা!

করোনার কারণে প্রায় সব কিছুই বন্ধ রয়েছে। এই মারণভাইরাসের কারণে বন্ধ রয়েছে সারা বিশ্বের যৌনপল্লিগুলোও। তবে পৃথিবীর প্রথম যৌনপল্লি হিসেবেই নতুন যুগের পথচলা শুরু করল বার্লিনের ব্রথেলগুলো। গত সপ্তাহে নতুনভাবে কাজ করার অনুমতি দিলেও অবাধ যৌনতায় নিষেধাজ্ঞা জারি রেখেছে জার্মান সরকার।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, জার্মানির যৌনপল্লিগুলো (ব্রথেল) খুলে দিয়েছে সরকার। তবে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শুধু ম্যাসেজের মতো কাজগুলো করতে পারবেন। যৌন কাজ (যৌন মিলন) তারা করতে পারবেন না।
জার্মান সরকারের এই ঘোষণা নিয়েও হতাশায় ভুগছেন বার্লিনের যৌনকর্মীরা। তাদের দাবি, খদ্দেররা বেশির ভাগ সময়েই মিলন চায়। সে ক্ষেত্রে আদৌ এভাবে রোজগার শুরু হবে কি না, তাঁরা জানেন না। ৪৯ বছর বয়সী জানা (ছদ্মনাম) নামের এক যৌনকর্মী বলেন, আমি যৌন (যৌন মিলন) সেবা দিতেই পছন্দ করি। আমার খদ্দেররাও তাই করতে পছন্দ করে।

জার্মানিতে ব্রথেলগুলোতে যৌন মিলন বন্ধ রয়েছে মার্চ মাস থেকে। জুলাইয়ের শুরুতে যৌনকর্মীরা পথে নেমে প্রতিবাদ শুরু করেন। মিছিল যায় পার্লামেন্ট পর্যন্ত। তাঁদের দাবি ছিল, এই নিষেধাজ্ঞা তাঁদের খাওয়া-পরা বন্ধ করে দিয়েছে। মার্কস নামের এক যৌনকর্মী বলছেন, ২০ বছর ধরে এই পেশায় রয়েছি, কখনো এই পরিস্থিতি আসেনি। আমি করোনাকে আর ভয় পাই না, ভয় খিদেকে।

জার্মানিতে যৌনকর্ম এইটি আইনি পেশা। চল্লিশ হাজারেও বেশি যৌনকর্মী লিগ্যাল ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে ঘোরেন। তাঁদের পথে বসিয়েছে করোনা। এক ব্রথেল মালিক সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, কয়েকশো কোটি টাকার ক্ষতি হয়ে গেছে। শুধু তাই নয়, এখন নতুন করে করোনা বিধি মেনে ব্যবসা চালু করার জন্যেও বিনিয়োগ লাগবে। কেউ ব্রথেলে এলেই তাঁকে করোনা সুরক্ষা বিধি মানার চুক্তিপত্রে সই করতে হচ্ছে।

About Author Information

গোলাপগঞ্জে রাস্তা নিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

নতুন যুগে নতুনভাবে কাজ করবেন জার্মান যৌনকর্মীরা!

Update Time : ০৭:৫১:৩৭ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৭ অগাস্ট ২০২০

করোনার কারণে প্রায় সব কিছুই বন্ধ রয়েছে। এই মারণভাইরাসের কারণে বন্ধ রয়েছে সারা বিশ্বের যৌনপল্লিগুলোও। তবে পৃথিবীর প্রথম যৌনপল্লি হিসেবেই নতুন যুগের পথচলা শুরু করল বার্লিনের ব্রথেলগুলো। গত সপ্তাহে নতুনভাবে কাজ করার অনুমতি দিলেও অবাধ যৌনতায় নিষেধাজ্ঞা জারি রেখেছে জার্মান সরকার।

আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের খবরে বলা হয়, জার্মানির যৌনপল্লিগুলো (ব্রথেল) খুলে দিয়েছে সরকার। তবে সেপ্টেম্বর পর্যন্ত শুধু ম্যাসেজের মতো কাজগুলো করতে পারবেন। যৌন কাজ (যৌন মিলন) তারা করতে পারবেন না।
জার্মান সরকারের এই ঘোষণা নিয়েও হতাশায় ভুগছেন বার্লিনের যৌনকর্মীরা। তাদের দাবি, খদ্দেররা বেশির ভাগ সময়েই মিলন চায়। সে ক্ষেত্রে আদৌ এভাবে রোজগার শুরু হবে কি না, তাঁরা জানেন না। ৪৯ বছর বয়সী জানা (ছদ্মনাম) নামের এক যৌনকর্মী বলেন, আমি যৌন (যৌন মিলন) সেবা দিতেই পছন্দ করি। আমার খদ্দেররাও তাই করতে পছন্দ করে।

জার্মানিতে ব্রথেলগুলোতে যৌন মিলন বন্ধ রয়েছে মার্চ মাস থেকে। জুলাইয়ের শুরুতে যৌনকর্মীরা পথে নেমে প্রতিবাদ শুরু করেন। মিছিল যায় পার্লামেন্ট পর্যন্ত। তাঁদের দাবি ছিল, এই নিষেধাজ্ঞা তাঁদের খাওয়া-পরা বন্ধ করে দিয়েছে। মার্কস নামের এক যৌনকর্মী বলছেন, ২০ বছর ধরে এই পেশায় রয়েছি, কখনো এই পরিস্থিতি আসেনি। আমি করোনাকে আর ভয় পাই না, ভয় খিদেকে।

জার্মানিতে যৌনকর্ম এইটি আইনি পেশা। চল্লিশ হাজারেও বেশি যৌনকর্মী লিগ্যাল ট্রেড লাইসেন্স নিয়ে ঘোরেন। তাঁদের পথে বসিয়েছে করোনা। এক ব্রথেল মালিক সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, কয়েকশো কোটি টাকার ক্ষতি হয়ে গেছে। শুধু তাই নয়, এখন নতুন করে করোনা বিধি মেনে ব্যবসা চালু করার জন্যেও বিনিয়োগ লাগবে। কেউ ব্রথেলে এলেই তাঁকে করোনা সুরক্ষা বিধি মানার চুক্তিপত্রে সই করতে হচ্ছে।