ঢাকারবিবার , ৯ আগস্ট ২০২০
  1. International
  2. অন্যান্য
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. উৎসব
  6. খেলাধুলা
  7. চাকুরী
  8. জাতীয়
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম
  11. পরামর্শ
  12. প্রবাস
  13. ফরিদপুর
  14. বিনোদন
  15. বিয়ানীবাজার
আজকের সর্বশেষ সবখবর

নাসিম ও সাহারা খাতুনের প্রয়াণে দুই পদ শূন্য, যত হিসাব-নিকাশ

নিজস্ব প্রতিনিধি,দৈনিক ডাকবাংলা ডট কম
আগস্ট ৯, ২০২০ ৬:০৭ পূর্বাহ্ণ
Link Copied!

করোনাভাইরাস দুর্যোগের মধ্যে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের দুই সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মোহাম্মদ নাসিম ও অ্যাডভোকেট সাহারা খাতুন মৃত্যুবরণ করেন। তাঁদের মৃত্যুতে শূন্য হওয়া সভাপতিমণ্ডলীর এই দুটি পদ পেতে আগ্রহী দলটির বেশ কয়েকজন কেন্দ্রীয় নেতা। আওয়ামী লীগের সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী এই ফোরামে প্রবেশের সুযোগ চান তাঁরা। ফলে এই দুর্যোগের মধ্যেও কেন্দ্রীয় নেতারা সংগঠনের সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দৃষ্টি আকর্ষণের পাশাপাশি নানা চেষ্টা-তদবির করছেন। এ নিয়ে চলছে নানা হিসাব-নিকাশ। আওয়ামী লীগের একাধিক নেতার সঙ্গে কথা বলে এ তথ্য জানা গেছে।

কবে নাগাদ আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ এই দুই শূন্যপদে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে, তা অবশ্য কেউ বলতে পারছেন না। বিষয়টি পুরোপুরি নির্ভর করছে সংগঠনের সভাপতি শেখ হাসিনার ওপর। অবশ্য আওয়ামী লীগের গঠনতন্ত্রের ২৪(২) ধারায় বলা হয়েছে, ‘বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ জাতীয় কাউন্সিল, জাতীয় কমিটি, কার্যনির্বাহী সংসদ বা অন্য কোনো কমিটি বা সংসদীয় বোর্ডের সদস্য পদ বা আওয়ামী লীগের কোনো কর্মকর্তার পদ শূন্য হইলে কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ উক্ত পদ শূন্য হওয়ার ৬০ দিনের মধ্যে কো-অপশন বা মনোনয়ন দ্বারা উক্ত শূন্যপদ অবশ্যই পূরণ করিবে।’
সভাপতিমণ্ডলীর দুই সদস্য পদ ছাড়াও ধর্ম এবং শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক পদ দুটি শূন্য রয়েছে। এ ছাড়া কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য পদের তিনটি পদও শূন্য রয়েছে। গত বছরের ডিসেম্বরে জাতীয় কাউন্সিলের পর পর্যায়ক্রমে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদে মনোনীত নেতাদের নাম ঘোষণা করা হয়। কিন্তু ধর্ম এবং শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদকসহ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্যদের দুটি শূন্যপদে কারো নাম ঘোষণা করা হয়নি। সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র বদরউদ্দিন আহমদ কামরান সম্প্রতি মারা গেলে কেন্দ্রীয় কমিটির আরো একটি সদস্য পদ শূন্য হয়েছে।

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘সভাপতিমণ্ডলীর শূন্যপদ পূরণের বিষয়ে সভাপতি শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনা হয়নি। মাত্র কয়েক দিন আগে তাঁরা দুজন মারা গেছেন। চিন্তা-ভাবনা করে এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ফারুক খান কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘সভাপতিমণ্ডলীর শূন্যপদ পূরণের এখতিয়ার সম্পূর্ণ দলের সভাপতির। সভাপতি শেখ হাসিনা যখন প্রয়োজন মনে করবেন তখনই কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সভাপতিমণ্ডলীর শূন্যপদে নিয়োগ দিতে পারবেন। তবে আমি মনে করি না সহসাই তিনি এ পদে নিয়োগ দেবেন।’
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, সভাপতিমণ্ডলীর দুই শূন্য পদের একটিতে রাজশাহী বিভাগের যেকোনো একজন দলীয় নেতার আসার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ মোহাম্মদ নাসিমের মৃত্যুর পর আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীতে বর্তমানে রাজশাহী বিভাগের কোনো প্রতিনিধি নেই। অন্যদিকে উত্তরাঞ্চলের রংপুর বিভাগের একজন প্রতিনিধি বর্তমানে সভাপতিমণ্ডলীতে রয়েছেন। রাজশাহীর মতো বরিশালেও আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীতে কোনো প্রতিনিধি নেই। তাই আরেকটিতে বরিশাল বিভাগের যেকোনো একজন নেতা নিয়োগ পেতে পারেন।

জানা গেছে, রাজশাহী বিভাগের প্রতিনিধি হিসেবে রাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল ইসলাম ঠান্ডুর নাম আলোচনায় রয়েছে। তিনি আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের সদস্য। জাতীয় নেতা এম মনসুর আলীর সন্তান প্রয়াত মোহাম্মদ নাসিমকে ১৯৬৭ সালে পাবনার এডওয়ার্ড কলেজের এক অনুষ্ঠানে ছাত্রলীগে যোগদান করান নুরুল ইসলাম ঠান্ডু। এর আগে ছাত্র ইউনিয়নের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন মোহাম্মদ নাসিম। পঁচাত্তর-পরবর্তী দুঃসময়ে সমগ্র উত্তরাঞ্চলে সংগঠন গড়ে তোলার কাজে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন নুরুল ইসলাম ঠান্ডু।

অন্যদিকে সভাপতিমণ্ডলীতে বরিশাল বিভাগের প্রতিনিধি হিসেবে বঙ্গবন্ধু পরিবারের সদস্য আবুল হাসানাত আব্দুল্লাহর নাম আলোচনায় রয়েছে। এর আগেও তিনি আলোচনায় ছিলেন।

সভাপতি শেখ হাসিনা ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের পদাধিকারবলে আওয়ামী লীগ সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য। তাঁদের নিয়ে মোট ১৯ সদস্যের সভাপতিমণ্ডলীতে বর্তমানে ১৭ জন রয়েছেন। অন্যরা হলেন সৈয়দা সাজেদা চৌধুরী, মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, কাজী জাফর উল্যাহ, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, পীযুষ কান্তি ভট্টাচার্য, নুরুল ইসলাম নাহিদ, আব্দুর রাজ্জাক, কর্নেল (অব.) ফারুক খান, রমেশ চন্দ্র সেন, অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান খান, অ্যাডভোকেট আবদুল মতিন খসরু, শাজাহান খান, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও আবদুর রহমান।