Dhaka ০৩:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ৪ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বৃদ্ধকে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন, খাওয়ানো হলো গোবর!

ভোলা সদর উপজেলার ২নং ইলিশা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডে মুনছুর (৫০) নামের এক বৃদ্ধকে রশি দিয়ে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। তাতেই ক্ষান্ত না হয়ে তাকে গরুর গোবর (বিষ্টা) জোর করে খাওয়ানো হয়েছে। এ ঘটনায় মূল হোতা রশিদ মল্লিককে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে ইলিশা ফাঁড়ির ইনচার্জ রতন শীলের নেতৃত্বে এ এস আই মাইনুলসহ পুলিশের একটি টিম তাকে আটক করা হয়। আটকৃত রশিদ ইলিশা ৯নং ওয়ার্ডের মৃত আজাহার মল্লিকের ছেলে।

ভুক্তভোগী ইলিশা ৮নং ওয়ার্ডের রফিকুল ইসলামের ছেলে মুনছুর বলেন, আমার জমির চারা আমি উঠিয়েছি। এই জন্য ঈদের চার পাঁচ দিন আগে আমার ভগ্নিপতি রশিদ মল্লিক, সাহেব আলী মল্লিকের ছেলে আসাদ মল্লিক ঘর থেকে ধরে নিয়ে আমাকে মারধর করে। রশি দিয়ে বেঁধে আমাকে ৩/৪ জনে মিলে গরুর গোবর জোর করে খাওয়ানো হয়েছে। আমি ভয়ে মামলা করিনি। কারণ আমার কেউ নেই। এখন মামলা করলে আমাকে মেরে ফেলতে পারে, আমার ভয় হয়।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, মুনছুর এখনো বিয়ে করেননি। তার ছেলে সন্তান না থাকায় তার আপন ভগ্নিপতি তার ওপর জোড় করে সবসময়। এলকায় রশিদ মল্লিকের প্রভাব থাকায় প্রায় সময়ই মুনছুরকে মারধর করে তার ওয়ারিশকৃত জমি জবর দখল করে খায়। এভাবেই যদি নির্যাতন করা হয় তাহলে মুনছুর ভোলার গ্রামের বাড়ি ছেড়ে চলে যাবে এবং রশিদ মল্লিক তার জমি ভোগ দখল করবে তারই একটি পরিকল্পনা বলে অভিমত স্থানীয়দের।

এদিকে এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট হলে মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়, নিন্দার ঝড় উঠে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ রাতেই অভিযান করে মূল হোতা রশিদ মল্লিককে আটক করেন।

ইলিশা ফাঁড়ির ইনচার্জ শ্রী রতন শীল বলেন, ফেসবুকে বিষয়টি দেখেছি, এই বর্বরোচিত দৃশ্য দেখে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে একজনকে আটক করেছি, বাকিদের আটকের চেষ্টা চলছে।
তবে এই বিষয়ে ভুক্তভোগী মুনসুর বাদী হয়ে ভোলা সদর থানায় ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।

About Author Information

মোরারিয়া বিজনেস ফোরামের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

বৃদ্ধকে খুঁটিতে বেঁধে নির্যাতন, খাওয়ানো হলো গোবর!

Update Time : ০৫:৪৩:৫৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ অগাস্ট ২০২০

ভোলা সদর উপজেলার ২নং ইলিশা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডে মুনছুর (৫০) নামের এক বৃদ্ধকে রশি দিয়ে বেঁধে মধ্যযুগীয় কায়দায় নির্যাতনের ঘটনা ঘটেছে। তাতেই ক্ষান্ত না হয়ে তাকে গরুর গোবর (বিষ্টা) জোর করে খাওয়ানো হয়েছে। এ ঘটনায় মূল হোতা রশিদ মল্লিককে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার রাতে ইলিশা ফাঁড়ির ইনচার্জ রতন শীলের নেতৃত্বে এ এস আই মাইনুলসহ পুলিশের একটি টিম তাকে আটক করা হয়। আটকৃত রশিদ ইলিশা ৯নং ওয়ার্ডের মৃত আজাহার মল্লিকের ছেলে।

ভুক্তভোগী ইলিশা ৮নং ওয়ার্ডের রফিকুল ইসলামের ছেলে মুনছুর বলেন, আমার জমির চারা আমি উঠিয়েছি। এই জন্য ঈদের চার পাঁচ দিন আগে আমার ভগ্নিপতি রশিদ মল্লিক, সাহেব আলী মল্লিকের ছেলে আসাদ মল্লিক ঘর থেকে ধরে নিয়ে আমাকে মারধর করে। রশি দিয়ে বেঁধে আমাকে ৩/৪ জনে মিলে গরুর গোবর জোর করে খাওয়ানো হয়েছে। আমি ভয়ে মামলা করিনি। কারণ আমার কেউ নেই। এখন মামলা করলে আমাকে মেরে ফেলতে পারে, আমার ভয় হয়।
এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, মুনছুর এখনো বিয়ে করেননি। তার ছেলে সন্তান না থাকায় তার আপন ভগ্নিপতি তার ওপর জোড় করে সবসময়। এলকায় রশিদ মল্লিকের প্রভাব থাকায় প্রায় সময়ই মুনছুরকে মারধর করে তার ওয়ারিশকৃত জমি জবর দখল করে খায়। এভাবেই যদি নির্যাতন করা হয় তাহলে মুনছুর ভোলার গ্রামের বাড়ি ছেড়ে চলে যাবে এবং রশিদ মল্লিক তার জমি ভোগ দখল করবে তারই একটি পরিকল্পনা বলে অভিমত স্থানীয়দের।

এদিকে এই ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পোস্ট হলে মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়ে যায়, নিন্দার ঝড় উঠে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পুলিশ রাতেই অভিযান করে মূল হোতা রশিদ মল্লিককে আটক করেন।

ইলিশা ফাঁড়ির ইনচার্জ শ্রী রতন শীল বলেন, ফেসবুকে বিষয়টি দেখেছি, এই বর্বরোচিত দৃশ্য দেখে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অনুমতি সাপেক্ষে একজনকে আটক করেছি, বাকিদের আটকের চেষ্টা চলছে।
তবে এই বিষয়ে ভুক্তভোগী মুনসুর বাদী হয়ে ভোলা সদর থানায় ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছে।