ঢাকামঙ্গলবার , ৪ আগস্ট ২০২০
  1. International
  2. অন্যান্য
  3. অর্থনীতি
  4. আন্তর্জাতিক
  5. উৎসব
  6. খেলাধুলা
  7. চাকুরী
  8. জাতীয়
  9. দেশজুড়ে
  10. ধর্ম
  11. পরামর্শ
  12. প্রবাস
  13. ফরিদপুর
  14. বিনোদন
  15. বিয়ানীবাজার
আজকের সর্বশেষ সবখবর

চির নিদ্রায় শায়িত হলেন সাবেক এমপি এটিএম আলমগীর

Link Copied!

চির নিদ্রায় শায়িত হলেন একাত্তরে রণাঙ্গনের বিজয়ী বীরমুক্তিযোদ্ধা, সাবেক জাতীয় সংসদ সদস্য মরহুম অ্যাডভোকেট এটিএম আলমগীর। শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় সিক্ত হলেন তিনি।

মঙ্গলবার সকালে কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার ঝলম নিজ গ্রামে অশ্রুশিক্ত শ্রদ্ধা আর ভালোবাসায় তাঁকে চির বিদায় জানালেন হাজারো মানুষ। একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মরহুম এটিএম আলমগীরকে রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হয়েছে।
দলীয় ও পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন ধরে তিনি ডায়াবেটিস, কিডনি, হার্টের সমস্যাসহ নানা জটিল রোগে ভুগছিলেন। শারীরিক সমস্যা বেড়ে যাওয়ায় এবং অবস্থার অবনতি হওয়ায় গত জুলাই মাসের শেষের দিকে তাঁকে রাজধানীর গ্রীন লাইফ হসপিটালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যেই ব্রেনস্ট্রোক করেন তিনি। ফলে তাঁকে দ্রুত আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। কয়েকদিন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ে অবশেষে সোমবার রাত সাড়ে ৮টায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় চলে যান না ফেরার দেশে।

বীর মুক্তিযোদ্ধা মরহুম এটিএম আলমগীরকে মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এমপি, বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক সাবেক সংসদ সদস্য কর্নেল (অব.) এম. আনোয়ারুল আজিম, জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. গোলাম মোস্তফা, বিএনপি কেন্দ্রীয় কমিটির শিল্প বিষয়ক সম্পাদক মো. আবুল কালাম।

বাংলাদেশ শিল্প ব্যাংক ও কমার্স ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান এটিএম আলমগীর মৃত্যুকালে স্ত্রী, অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী ছেলে এবং দুই মেয়েসহ অসংখ্য শুভাকাঙ্ক্ষী, গুনগ্রাহী রেখে গেছেন।
এটিএম আলমগীর ১৯৯১’র জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তৎকালীন কুমিল্লা-১০ (লাকসাম-মনোহরগঞ্জ) সংসদীয় আসন থেকে বিএনপি মনোনীত সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ৯৬’র জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি আওয়ামীলীগ প্রার্থী বর্তমান স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের কাছে হেরে যান।

২০০১ সালের জাতীয় নির্বাচনে বিএনপির মনোনয়ন বঞ্চিত হয়ে তিনি স্বতন্ত্র প্রার্থী হন। পরবর্তীতে দলীয় সিদ্ধান্তে তিনি তাঁর প্রার্থীতা প্রত্যাহার করেন। এরপর থেকে তিনি আইন পেশায় মনোনিবেশ করেন। ২০১৮ সালের নির্বাচনে তিনি মহাজোটের প্রার্থী হতে জাতীয় পার্টিতে যোগ দেন। অসুস্থ হওয়ার আগ পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের নিয়মিত আইনজীবী ছিলেন। একজন বীরমুক্তিযোদ্ধা হিসেবে এটিএম আলমগীরকে আজ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় পারিবারিক কবরস্থানে সমাহিত করা হয়েছে।

মনোহরগঞ্জ উপজেলার ঝলমের নিজ বাড়িতে অনুষ্ঠিত জানাজায় স্থানীয় সরকারমন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম এমপি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে মরহুম এটিএম আলমগীরের কর্মময় জীবনের ওপর আলোকপাত করে বক্তব্য রাখেন। এ সময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, মনোহরগঞ্জ উপজেলা চেয়ারম্যান জাকির হোসেন, ভাইস চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম, মনোহরগঞ্জ উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবদুল আজিজ।

মরহুম এটিএম আলমগীরের জানাযায় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন লাকসাম উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারন সম্পাদক মো. আবদুর রহমান বাদল, লাকসাম পৌরসভা বিএনপির যুগ্ম-আহবায়ক মনির আহমেদ, বিশিষ্ট আইনজীবী দেওয়ান মো. সামছুল হক, বিএনপি নেতা প্রভাষক মো. জাহাঙ্গীর আলম, লাকসাম পৌরসভা যুবদলের সাবেক সভাপতি জিল্লুর রহমান ফারুক, মাহবুবুর রহমান মানিক এবং মনোহরগঞ্জ উপজেলা যুবদলের সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি গিয়াস উদ্দিন সৈকত প্রমুখ।

এছাড়াও লাকসাম ও মনোহরগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগ, বিএনপি ও জাতীয় পার্টিসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ মরহুমের জানাজায় অংশগ্রহণ করেন।