নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে এক কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণ এবং মারপিট করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় অভিযুক্ত সিরাজুল ইসলামসহ এক নারী নেত্রীর বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ ইতোমধ্যে মামলার প্রধান আসামি সিরাজুলকে গ্রেপ্তার করেছে। তাকে মঙ্গলবার আদালতে পাঠানো হয়েছে। কিশোরীকে ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশসহ একাধিক সূত্র জানায়, কেন্দুয়াবাজারের মোবাইলফোন বিক্রেতা এবং উপজেলার মাস্কা ইউনিয়নের দুলাইন গ্রামের বকুল মিয়ার ছেলে সিরাজুল ইসলাম (৩০) মোবাইলফোনে যোগাযোগের সূত্র ধরে খুলনা সদর উপজেলার ওই কিশোরীর (২২) সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এক পর্যায়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন স্থানে ডেকে এনে সিরাজুল মেয়েটিকে একাধিকবার জোরপূর্বক ধর্ষণও করে। সর্বশেষ সোমবার মেয়েটিকে একইভাবে প্রলোভন দেখিয়ে ডেকে এনে নারীনেত্রী ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকার কেন্দুয়া উপজেলা সদরের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। একপর্যায়ে সেখানে মেয়েটিকে ব্যাপক শারীরিক নির্যাতন করা হয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে নির্যাতনের শিকার মেয়েটিকে ওইদিন বিকেলে গুরুতর আহতাবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।
এদিকে এ ঘটনায় মঙ্গলবার থানায় একটি মামলা করা হয়। নির্যাতনের শিকার মেয়েটি বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে এ মামলাটি করেন। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ এবং মারপিট ও হুমকি দেওয়াসহ এ কাজে সহায়তা করার অপরাধে দায়ের করা ওই মামলায় অভিযুক্ত সিরাজুল ইসলাম ছাড়াও নারীনেত্রী ও সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক শিক্ষিকাকে আসামি করা হয়েছে।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে কেন্দুয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ফজলে এলাহী জানান, এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। ইতোমধ্যে মামলার প্রধান আসামি সিরাজুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে। তাছাড়া ডাক্তারী পরীক্ষার জন্য নির্যাতিত মেয়েটিকেও নেত্রকোনা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানো হয়। তবে মামলার অপর নারী আসামিকেও গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে ওই পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
সূত্র: কালের কন্ঠ