ভারত-চীনের সম্পর্কের টানাপোড়েনের মধ্যে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড ঘোষণা দিয়েছিল, আইপিএলের স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তি নিয়ে বৈঠকে বসবে তারা। স্বভাবতই দুই দেশের যুদ্ধাবস্থার মধ্যে চাইনিজ প্রতিষ্ঠান ভিভোকে টাইটেল স্পন্সর রাখতে চায়নি ভারতীয়রা। তবে আর্থিক ক্ষতি ও সামগ্রিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিজেদের সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসতে বাধ্য হয়েছে ভারত।
সম্প্রতি এশিয়ার দুই প্রভাবশালী দেশ ভারত আর চীনের রাজনৈতিক বৈরিতায় হুমকির মুখে পড়ে আইপিএলের স্পন্সরশিপ। দীর্ঘদিন ধরেই আইপিএলের টাইটেল স্পন্সর ছিল চাইনিজ প্রতিষ্ঠান ভিভো। এবার দুই দেশের সীমান্ত যুদ্ধ এবং রাজনৈতিক উত্তেজনায় অনেকেই ধারণা করছিলেন, প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে চুক্তি বাতিল করবে আইপিএল কমিটি। তবে শেষপর্যন্ত চীনা এই প্রতিষ্ঠানকেই টাইটেল স্পন্সর রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আইপিএলের গভর্নিং কাউন্সিল।
রোববার গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠকে এমন সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। বৈঠক শেষে ভারতীয় গণমাধ্যমে এক কর্মকর্তা জানান, আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি ভিভোর সঙ্গে আমাদের চুক্তি চালিয়ে যেতে। এ বিষয়ে আমরা আমাদের আইনজীবিদের পরামর্শও নিয়েছি।
সীমান্তে উত্তেজনার জের ধরে গেল ১৯ জুন ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই টুইট করে, সীমান্তে আমাদের সাহসী সেনাসদস্যদের নিহতের ঘটনায় আমরা গভীর দুঃখ প্রকাশ করছি। এবং আমাদের বিভিন্ন স্পন্সর প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে চুক্তির বিষয়টি নিয়ে আমরা শিগগিরই বৈঠকে বসবো।
বিসিসিআইয়ের এমন বক্তব্যের পর সবাই ধরেই নেয়, ভিভোর সঙ্গে চুক্তি বাতিল করতে যাচ্ছে তারা। তবে গভর্নিং কাউন্সিলের বৈঠকে আবারো ভিভোকেই টাইটেল স্পন্সর রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তারা।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের এমন সিদ্ধান্তের পেছনের কারণটাও পরিষ্কার। করোনার প্রভাবে দীর্ঘদিন ক্রিকেটের বাইরে থাকায় বেশ বড়সড় আর্থিক ক্ষতির মুখে পড়েছে বিসিসিআই। এরমধ্যে আইপিএল আয়োজনে বেশ বেগ পোহাতে হচ্ছে তাদেরকে। নিজেদের দেশে করোনা পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় টুর্নামেন্টটি আয়োজন করতে হচ্ছে আরব আমিরাতে। তাছাড়া পুরো টুর্নামেন্ট আয়োজন হতে পারে দর্শকবিহীন গ্যালারিতে। এই মুহূর্তে স্পন্সর ছেড়ে দিলে নতুন করে স্পন্সর পাওয়া যাবে কিনা সেই শঙ্কায় ভুগছে ভারত।