Dhaka ০৪:২৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ৪ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

পর্তুগালে বাংলাদেশিদের সাদামাটা ঈদ

করোনাভাইরাসের কারণে পর্তুগাল সরকারের চলমান আইনে রাজধানী লিসবনে ১০ জনের বেশি একসঙ্গে জনসমাগমের উপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় ঈদুল-ফিতরের মতই এবার ঈদুল আজহাও প্রবাসীরা উদযাপন করেছেন অনেকটা সাদামাটা।

পর্তুগালে জরুরি অবস্থা তুলে নিলেও সরকার কর্তৃক দুর্যোগপূর্ণ রাষ্ট্র ঘোষণা করায় লিসবনে ১০ জন এবং বাকি শহরগুলোতে ২০ জনের বেশি একসঙ্গে জনসমাগমের উপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় অনেক জায়গায় ঈদের জামাত করার অনুমতির পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। তবে কিছু কিছু জায়গায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় ঈদুল আযহার নামাজের আয়োজন করা হয়।

পর্তুগালের সর্ব বৃহৎ ঈদের জামাত বাংলাদেশি অধ্যুষিত লিসবনের মাতৃমনিজ পার্কের মাঠে অনুষ্ঠিত না হওয়ায় বেশিরভাগ বাংলাদেশি অনেকটাই সাদামাটাভাবে বাসায়, বাসার গার্ডেনে এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ১০ জন করে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। সেই সঙ্গে করোনা মহামারি সঙ্কট ও পর্তুগালের পরবর্তী অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে বেশিরভাগ প্রবাসী অর্থনৈতিক ও কর্মহীন হয়ে পড়ায় অন্যান্য বছরের মতো এবারের ঈদুল আযহায় ব্যস্ততাও দেখা যায়নি বাংলাদেশি অধ্যুষিত দোকানগুলোতে।

পর্তুগাল সরকারে তথ্যমতে জুন মাসে পর্তুগালে বেকারত্বের সংখ্যা ৩৬ দশমিক ৪ শতাংশ এবং বেসরকারি হিসাব মতে প্রায় ৪০ শতাংশ। এর ফলে বেকারত্বের দুর্দশার ও এই অনিশ্চিত অর্থনৈতিক ধাক্কা সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন এখানকর অনেক প্রবাসী।

এদিকে পর্তুগালের বন্দর নগরী ও বাণিজ্যিক শহর পোর্তোর বাঙালি অধ্যুষিত রুয়া দে লউরেইরোর হযরত হামজা (র.) মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টা ও সাড়ে ৮টায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সরকারের অনুমতি নিয়ে ঈদুল আজহার দুইটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ কমিনিটি পোর্তোর নেতৃবৃন্দসহ ঈদের জামাতে পোর্তোয় বসবাসরত বিভিন্ন শ্রেণি পেশার প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশ নেন।

পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে পর্তুগাল প্রবাসী বাংলাদেশি ও দেশে অবস্থিত প্রবাসীদের পরিবারের সদস্যসহ সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পর্তুগালের বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রুহুল আলম সিদ্দিকী।

About Author Information

মোরারিয়া বিজনেস ফোরামের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

পর্তুগালে বাংলাদেশিদের সাদামাটা ঈদ

Update Time : ১১:৫৫:০০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১ অগাস্ট ২০২০

করোনাভাইরাসের কারণে পর্তুগাল সরকারের চলমান আইনে রাজধানী লিসবনে ১০ জনের বেশি একসঙ্গে জনসমাগমের উপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় ঈদুল-ফিতরের মতই এবার ঈদুল আজহাও প্রবাসীরা উদযাপন করেছেন অনেকটা সাদামাটা।

পর্তুগালে জরুরি অবস্থা তুলে নিলেও সরকার কর্তৃক দুর্যোগপূর্ণ রাষ্ট্র ঘোষণা করায় লিসবনে ১০ জন এবং বাকি শহরগুলোতে ২০ জনের বেশি একসঙ্গে জনসমাগমের উপর নিষেধাজ্ঞা থাকায় অনেক জায়গায় ঈদের জামাত করার অনুমতির পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। তবে কিছু কিছু জায়গায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিয়ে পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় ঈদুল আযহার নামাজের আয়োজন করা হয়।

পর্তুগালের সর্ব বৃহৎ ঈদের জামাত বাংলাদেশি অধ্যুষিত লিসবনের মাতৃমনিজ পার্কের মাঠে অনুষ্ঠিত না হওয়ায় বেশিরভাগ বাংলাদেশি অনেকটাই সাদামাটাভাবে বাসায়, বাসার গার্ডেনে এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে ১০ জন করে ঈদের নামাজ আদায় করেছেন। সেই সঙ্গে করোনা মহামারি সঙ্কট ও পর্তুগালের পরবর্তী অর্থনৈতিক বিপর্যয়ে বেশিরভাগ প্রবাসী অর্থনৈতিক ও কর্মহীন হয়ে পড়ায় অন্যান্য বছরের মতো এবারের ঈদুল আযহায় ব্যস্ততাও দেখা যায়নি বাংলাদেশি অধ্যুষিত দোকানগুলোতে।

পর্তুগাল সরকারে তথ্যমতে জুন মাসে পর্তুগালে বেকারত্বের সংখ্যা ৩৬ দশমিক ৪ শতাংশ এবং বেসরকারি হিসাব মতে প্রায় ৪০ শতাংশ। এর ফলে বেকারত্বের দুর্দশার ও এই অনিশ্চিত অর্থনৈতিক ধাক্কা সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন এখানকর অনেক প্রবাসী।

এদিকে পর্তুগালের বন্দর নগরী ও বাণিজ্যিক শহর পোর্তোর বাঙালি অধ্যুষিত রুয়া দে লউরেইরোর হযরত হামজা (র.) মসজিদে সকাল সাড়ে ৭টা ও সাড়ে ৮টায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে সরকারের অনুমতি নিয়ে ঈদুল আজহার দুইটি জামাত অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ কমিনিটি পোর্তোর নেতৃবৃন্দসহ ঈদের জামাতে পোর্তোয় বসবাসরত বিভিন্ন শ্রেণি পেশার প্রবাসী বাংলাদেশিরা অংশ নেন।

পবিত্র ঈদুল আযহা উপলক্ষে পর্তুগাল প্রবাসী বাংলাদেশি ও দেশে অবস্থিত প্রবাসীদের পরিবারের সদস্যসহ সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন পর্তুগালের বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত রুহুল আলম সিদ্দিকী।