বিদেশগামী যাত্রীদের বাংলাদেশ ছাড়ার সময় নভেল করোনাভাইরাস (কভিড-১৯) ‘নেগেটিভ’ সনদ বাধ্যতামূলক করার সরকারি সিদ্ধান্ত সংশোধন হচ্ছে। যেসব দেশে প্রবেশে ‘করোনা নেগেটিভ’ সনদ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে, শুধু সেসব দেশের উদ্দেশে যাত্রীরা বাংলাদেশ ছাড়ার সময় ওই সনদ চাওয়া হবে।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদ গতকাল বৃহস্পতিবার ‘করোনাভাইরাসে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের জন্য করণীয়’ শীর্ষক জরুরি আন্ত মন্ত্রণালয় সভায় এ কথা জানিয়েছেন।
বিদেশগামী যাত্রীরা করোনা পরীক্ষা করতে দুর্ভোগ ও হয়রানির শিকার হওয়ার পটভূমিতে সরকার আগের সিদ্ধান্ত সংশোধন করছে বলে জানা গেছে। এটি সংশোধন করার পর করোনা নেগেটিভ সনদ সবার জন্য বাধ্যতামূলক হবে না। তবে বিমানবন্দরগুলোতে সবার স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হবে।
তবে সনদ ছাড়া বিদেশযাত্রা কতটা সম্ভব, তা নিয়ে নানা প্রশ্ন উঠেছে। অনেক সময় এয়ারলাইনসগুলো বোর্ডিং পাস দেওয়ার ক্ষেত্রে করোনা সনদ চায়। এ ছাড়া স্বল্প সময়ে যাদের একাধিক গন্তব্যে পৌঁছতে হবে, সনদ ছাড়া তারাও সমস্যায় পড়তে পারে।
প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী গতকাল আন্ত মন্ত্রণালয় সভায় বলেছেন, বিমানবন্দরে বিদেশগামী সব যাত্রীর সাধারণ স্বাস্থ্য পরীক্ষা জোরদার করতে হবে। এ বিষয়ে বেসামরিক বিমান পরিবহন মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
তিনি বলেন, বিদেশগামী কর্মীদের করোনা পরীক্ষার জন্য সরকার অনুমোদিত ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কাছ থেকে পাওয়া এক্সপ্রেশন অব ইন্টারেস্টগুলো (ইওআই) থেকে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় স্বাস্থ্যসেবা বিভাগসহ সংশ্লিষ্ট অন্যান্য মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সঙ্গে পরামর্শ করে উপযুক্ততা যাচাই করে প্রয়োজনীয়সংখ্যক প্রতিষ্ঠান নির্বাচন করা হবে। নির্বাচিত ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পাদনের জন্য স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ প্রয়োজনীয় কারিগরি ও বিশেষজ্ঞ সহায়তা দেওয়ার ব্যাপারে সভায় সিদ্ধান্ত হয়েছে।
মন্ত্রী ইমরান আহমদ বলেন, আন্ত মন্ত্রণালয় সভার সিদ্ধান্ত মোতাবেক স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ, সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সমন্বিত উদ্যোগে সিলেট ও চট্টগ্রামে বিদেশগামী যাত্রীদের কভিড-১৯ পরীক্ষার জন্য ল্যাব প্রতিষ্ঠা এবং বিদেশফেরত যাত্রীদের কোয়ারেন্টিনের সুযোগ সৃষ্টি করা হবে।