প্রত্যাশিত ফ্লাইট, টিকিট ও করোনা পরীক্ষার জটিল সমীকরণ মেলাতে গিয়ে শহীদ আহমদের পর্তুগাল যাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়ে। শুক্রবার জুম্মার পর ফ্লাইটের টিকেট নিশ্চিত করেন। আগামী মঙ্গলবার ভোরে ঢাকা থেকে তিনি পর্তুগালের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হবেন। এজন্য রোববারের মধ্যে তার করোনা সনদ পাওয়া বাধ্যতামূলক ছিল। যে কারণে শনিবার করোনা পরীক্ষা করাতে যান শহীদ। কিন্তু সময় পেরিয়ে যাওয়ায় রেজিস্ট্রেশন করতে ব্যর্থ হন তিনি। এদিকে আগামী ৩ আগস্টের মধ্যে পর্তুগাল যেতে না পারলে রেসিডেন্স কার্ডের মেয়াদ শেষ হয়ে যাবে তার। এমন পরিস্থিতিতে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদকে পরিস্থিতি জানিয়ে মেসেজ করেন সিলেটের জকিগঞ্জের বাসিন্দা শহীদ আহমদ।
গত ২৫ জুলাই শহীদ আহমেদ প্রবাসী কর্মী প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইমরান আহমদকে ফোন করে জানান,তার পর্তুগাল গমনের ফ্লাইট ২৮ জুলাই। বিদেশে গমনের ক্ষেত্রে তার কোভিড ১৯ টেস্ট করা জরুরি হয়ে পড়ে। কিন্তু স্বল্প সময়ের মধ্যে কীভাবে কোভিড ১৯ টেস্ট করাবেন এই নিয়ে সে দুশ্চিন্তায় পড়েছে। মন্ত্রী ইমরান আহমদ শহীদের কথা মনোযোগ সহকারে শুনে তার মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব নাসরীন জাহানকে শহীদ আহমদের কোভিড ১৯ টেস্টের ব্যাপারে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা করার জন্য নির্দেশনা প্রদান করেন।
শহীদ মুঠোফোনে মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানানোর পর সবকিছু সহজ হয়ে যায়। মন্ত্রণালয়ের নির্দেশে দ্রুততম সময়ের মধ্যে রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শেষে সেদিনই শহীদের নমুনা সংগ্রহ করা হয়। এরপর রোববার রাতে পাওয়া রিপোর্টে তার করোনা নেগেটিভ আসে।
এ প্রসংঙ্গে পর্তুগাল প্রবাসী শহীদ আহমদ দৈনিক ডাক বাংলা ডটকমকে বলেন,বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়তে প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রীর মতো সৎ এবং যোগ্য নেতাই প্রয়োজন আমাদের। যারা সূখে-দুঃখে সর্বদা মানুষের পাশে দাঁড়ান।
আমি কল্পনাও করতে পারি নাই বাংলাদেশের একজন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী হয়ে। অচেনা অজানা একজন প্রবাসীর কথা এতো মনোযোগ সহকারে শুনে সাথে সাথে প্রদেক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। আমি চিরকৃতজ্ঞ থাকবো তিনি এবং তার যুগ্মসচিব নাসরীন জাহান মেডামের কাছে যিনি বারবার আমার বিষয়ে খবরাখবর নিয়েছেন।