গত ১ জুলাই গভীর রাতে সিলেটের কানাইঘাট উপজেলার দক্ষিণ বাণীগ্রাম ইউনিয়নের ব্রাহ্মণ গ্রামের গৃহবধূ গণধর্ষণের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন সিলেটের পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ফরিদ উদ্দিন পিপিএম।
আজ সোমবার (৬ জুলাই) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সরেজমিনে তিনি পাশবিকতার ওই গৃহবধূর বাড়িতে যান। ভিকটিম ও তার স্বামী হারুন রশিদের সঙ্গে কথা বলেন।
এ ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ দ্রুত আইনানুগ ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে বলে সবাইকে আশ্বস্ত করেন পুলিশ সুপার।এ সময় ভিকটিমের হাতে জেলা পুলিশ সুপারের ব্যক্তিগত পক্ষ থেকে ১০ হাজার টাকার আর্থিক অনুদান প্রদান করা হয়। এছাড়া থানা পুলিশের পক্ষ থেকে ভিকটিমের পরিবারকে ১ মাসের খাদ্যসামগ্রী ও বিভিন্ন ধরণের ফল প্রদান করা হয়।
পুলিশ সুপার ফরিদ উদ্দিন ভিকটিমের পরিবারকে সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দেওয়া হবে উল্লেখ করে বলেন, ‘এ ঘটনার মূল হোতা ধর্ষণকারী আজাদুর রহমানকে কানাইঘাট থানার পুলিশ ও তার সহযোগী মোক্তারকে র্যাব-৯ ইতোমধ্যে গ্রেপ্তার করেছে। তারা তাদের অপরাধ স্বীকার করেছে। ভবিষ্যতে এলাকায় এ ধরণের জঘন্য কর্মকাণ্ডের পুণরাবৃত্তি যাতে না ঘটে, সেটা নিশ্চিত করা হবে। জেলার পুলিশ সুপার আরো বলেন চুরি,ধর্ষণ, বলাৎকার, অসামাজিক কার্যকলাপ এবং যারা মাদক ব্যবসার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকবে, তারা যতই প্রভাবশালী হোক না কেন কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। এদের বিরুদ্ধে পুলিশ জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনকালে পুলিশ সুপারের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন, কানাইঘাট সার্কেলের সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার আব্দুল করিম, থানার ওসি শামসুদ্দোহা পিপিএম, ওসি (তদন্ত) আনোয়ার জাহিদ, বাণীগ্রাম ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মাসুদ আহমদ ও জেলা ডিবি পুলিশের কর্মকর্তারা।