চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে সংযুক্ত আরব-আমিরাতের আবুধাবি ও দুবাই রুটে নিয়মিত যাত্রীবাহি ফ্লাইট শুরু করছে বাংলাদেশ বিমান। চট্টগ্রাম-দুবাই রুটে সপ্তাহে দুটি এবং চট্টগ্রাম-আবুধাবি রুটে সপ্তাহে দুটি ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করবে। আগামী ৬ জুলাই প্রথম ফ্লাইটটি চট্টগ্রাম শাহ আমানত আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর ছেড়ে যাবে। চট্টগ্রাম থেকে সর্বশেষ ২২ মার্চ ফ্লাইট ছেড়ে গিয়েছিল। আর্ন্তজাতিক ফ্লাইট বন্ধের ১০৫ দিন পর এটি প্রথম যাত্রীবাহি এবং নিয়মিত ফ্লাইট।
দুবাই-আবুধাবি চলাচল করতে ১১ পাতার বিশেষ সতকর্তামূলক নির্দেশনা দিয়েছে বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষ। এই সতকর্তা মেনে যাত্রী পরিবহন করতে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর এবং বিমান বাংলাদেশের প্রস্তুতি নিয়ে সংশয় রয়েছে।
তবে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক উইং কমান্ডার এবিএম সারোয়ার ই জামান বলেন, বিমানে যাত্রী পরিবহনে যে নিয়ম-বিধিনিষেধ দিয়েছে সেগুলো তো আমরা একমাস ধরেই আভ্যন্তরীন রুটের যাত্রীদের ক্ষেত্রে প্রতিপালন করেছি। এখন আর্ন্তজাতিক ফ্লাইটের ক্ষেত্রে ইমিগ্রেশন কাজটা বাড়তি যোগ হচ্ছে।
কাস্টমস, ইমিগ্রেশন ও বিমান সংস্থাগুলোর সাথে সমন্বয় বৈঠক করেছেন কিনা জানতে চাইলে বিমানবন্দর ব্যবস্থাপক বলেন, প্রত্যেক বিভাগকে পৃথক নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, সেগুলো তারা বাস্তবায়ন করবেন। এ ছাড়া কোভিডমুক্ত সনদ আছে কিনা এবং সত্যতা যাচাই করবেন ইমিগ্রেশন বিভাগ।
জানতে চাইলে বাংলাদেশ বিমানের চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক ইমরুল হাসান বলেন, ৬ জুলাই থেকে আমাদের প্রথম ফ্লাইটটি ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে সরাসরি দুবাই যাবে। এরপর ৮ জুলাই থেকে যাবে আবুধাবিতে। সবগুলো ফ্লাইটই বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার দিয়ে চলবে। ৩০ জুলাই পর্যন্ত সপ্তাহে দুদিন ফ্লাইট চলবে।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে ৬ জুলাই দুবাই যাওয়ার ফ্লাইটের টিকেট বিক্রি শেষ। কিন্তু যাত্রীর কোভিডমুক্ত সনদসহ যাবতীয় নির্দেশনা মেনে কতজন যেতে পারবেন সেটা ফ্লাইট শুরু হলেই বোঝা যাবে।
আবুধাবি ভ্রমণের ক্ষেত্রে যাত্রীদের অবশ্যই টিকিট বুকিংয়ের আগে সংযুক্ত আরব আমিরাত কর্তৃপক্ষের ওয়েবসাইট থেকে অনলাইনে রি-এন্ট্রি অনুমোদন নিতে হবে।
জানা গেছে, সাধারণ সময়ে চট্টগ্রাম থেকে বাংলাদেশ বিমান চট্টগ্রাম-আবুধাবি রুটে সপ্তাহে চারদিন এবং সপ্তাহে তিনদিন চট্টগ্রাম-দুবাই রুটে ফ্লাইট পরিচালনা শুরু করছে। করোনাকালীন সময়ে নিয়মিত ফ্লাইট কমিয়ে সপ্তাহে দুটি করে ফ্লাইট শুরু হচ্ছে। চট্টগ্রাম আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দর থেকে বিভিন্ন বিমান সংস্থার চাটার্ড বা ভাড়া করা বিমান যাত্রী পরিবহন হলেও ৬ জুলাই থেকে নিয়মিত ফ্লাইট চালু করছে কেবল বাংলাদেশ বিমান।