গত তিনদিনের টানা বৃষ্টিতে জৈন্তাপুরের বিভিন্ন এলাকায় পাহাড়ি ঢল নামছে জ্যামিতিক হারে।এবং ডুবে গেছে রাস্তাঘাট,বাজার,ঘরবাড়ি, স্কুল- কলেজ,মাসজিদ-মাদ্রাসা ও খেলার মাঠ।
জনজীবনে নেমে আসছে চরম ভোগান্তি। করোনা দূর্যোগের ভরা যৌবনে পাহাড়ি ঢল মরার উপর খাড়ার ঘাঁ হয়ে হাজির হয়েছে।
এলাকা ঘুরে দেখা যায় উপজেলার সিংহভাগ অঞ্চল পানির নিচে। ঘন্টা দুয়েক অন্তর অন্তর পানির ওঠানামা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। নিম্নাঞ্চলে ক্রমেই পানির দাপট বাড়ছে। অনেকের বসতবাড়ি বানের জলে ডুবে গেছে।চুলোয় জ্বলছে না আগুন। শিশু এবং বয়স্ক ব্যক্তিদের দুর্ভোগ চরম পর্যায়ে ঠেকছে।শুকনো চিড়ামুড়ি খেয়ে টানা তিনদিন পার করছেন এরকম পরিবারের সংখ্যা কম নয়।
অনেকে গবাদি পশু চরানোর জন্য কোন জায়গা খুঁজে পাচ্ছেন না। হাট বাজার রাস্তাঘাট ডুবে থাকায় টাকা থাকা সত্ত্বেও বাজার সদাই করতে পারছেন না অনেকেই। এমতাবস্তায় সরকারি ও বেসরকারি ভাবে শুকনো খাবার বিতরণ খুবই প্রয়োজন।
বন্যা পরিস্থিতির অবনতি হলে খাদ্য ও চিকিৎসার অভাবে প্রাণহানি হতে পারে শতশত মানুষের।