Dhaka ০৩:৫০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ৪ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জীবন বাঁচাতে সিলেট জেলা লকডাউন চাই, ইকরামুল কবির


দাবি উঠেছে সিলেট জেলাকে লকডাউন ঘোষণার। করোনা সিলেট জেলার ওপর প্রচন্ডভাবে আক্রমণ চালিয়েছে। আজ (২৩ জুন) রাত পর্যন্ত সিলেট জেলায় ১ ৯৬৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ছে। আর করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন প্রায় অর্ধশত। এমন পরিস্থিতিতে লকডাউন ঘোষণার অপেক্ষায় যখন সিলেটবাসী তখন ঘোষণা এলো হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলাকে লকডাউনের ঘোষণা।

করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যুর হারের দিক দিয়ে সিলেট বিভাগের চার জেলাম মধ্যে সিলেটের পরিস্থিতি ভয়াবহ। এমন পরিস্থিতিতে সিলেট জেলাকে লকডাউন ঘোষণা না করে হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারকে লকডাউন করায় হতবাক হয়েছেন সিলেটবাসী।

এক নজরে তিন জেলার করোনা পরিস্থিতি তুলনা:

সিলেট জেলা: লোকসংখ্যা ৩৫,৬৭,১৩৭ জন। করোনা আক্রান্ত (২৩ জুন, সকাল ৮টা) ১,৮৭৭ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন ৪৬ জন। জনসংখ্যার ঘনত্বের তুলনায় আক্রান্তের হার ০.০৫২। আক্রান্তের তুলনায় মৃত্যুর হার ২.৪৫।

হবিগঞ্জ: লোকসংখ্যা ২০,৮৯,০০১ জন। করোনা আক্রান্ত (২৩ জুন) ৪১২ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন ৫ জন। জনসংখ্যার ঘনত্বের তুলনায় আক্রান্তের হার ০.০২০। আক্রান্তের তুলনায় মৃত্যুর হার ১.২১।

মৌলভীবাজার: লোকসংখ্যা ১৯,৯৯,০৬২ জন। করোনা আক্রান্ত (২৩ জুন) ৩৩২ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন ৪ জন। জনসংখ্যার ঘনত্বের তুলনায় আক্রান্তের হার ০.০১৭। আক্রান্তের তুলনায় মৃত্যুর হার ১.২০।

হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারের চেয়েও বেশি রয়েছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকার করোনা আক্রান্তের হার।

তিন জেলার করোনা পরিস্থিতি বিশ্লেষণে সিলেট জেলা সবদিক দিয়ে ‘হটস্পট’ হয়ে আছে। প্রতিদিন গড়ে ৫০ জনেরও বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে সিলেটের সর্বস্তরের নাগরিক দাবি জানাতে পারেন জেলাকে লকডাউন ঘোষণার। পাশাপাশি, নমুনা পরীক্ষার ফলাফল পেতে ১২-১৪ দিন লেগে যাওয়ায় সংক্রমণের ভয়াবহতা বেড়েই চলেছে। এমন পরিস্থিতি মোকাবেলায় ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ল্যাব স্থাপনসহ নমুনা পরীক্ষার সক্ষমতা বাড়ানোর দাবি সিলেটবাসীর।

পরিশেষে বলতে চাই, জীবনের আগে জীবিকা নয়। কোনো মতে খেয়ে না খেয়ে বেঁচে থাকার পর জীবনটাতো থেকে যাচ্ছে। কিন্তু করোনার থাবায় একটি জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটলে সাথে সাথে একটি পরিবারে নেমে আসবে বিপর্যয়। তাই সরকারের কাছে জীবন বাঁচাতে লকডাউন দিয়ে সবাইকে ঘরে থাকার প্রতি কড়াকড়ি বিধিনিষেধ আরোপ করার দাবি জানাচ্ছি।

লেখক- ইকরামুল কবির
সাবেক সভাপতি, সিলেট প্রেসক্লাব।

About Author Information

মোরারিয়া বিজনেস ফোরামের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

জীবন বাঁচাতে সিলেট জেলা লকডাউন চাই, ইকরামুল কবির

Update Time : ০১:২২:২৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ জুন ২০২০


দাবি উঠেছে সিলেট জেলাকে লকডাউন ঘোষণার। করোনা সিলেট জেলার ওপর প্রচন্ডভাবে আক্রমণ চালিয়েছে। আজ (২৩ জুন) রাত পর্যন্ত সিলেট জেলায় ১ ৯৬৫ জন করোনায় আক্রান্ত হয়ছে। আর করোনায় মৃত্যুবরণ করেছেন প্রায় অর্ধশত। এমন পরিস্থিতিতে লকডাউন ঘোষণার অপেক্ষায় যখন সিলেটবাসী তখন ঘোষণা এলো হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজার জেলাকে লকডাউনের ঘোষণা।

করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যুর হারের দিক দিয়ে সিলেট বিভাগের চার জেলাম মধ্যে সিলেটের পরিস্থিতি ভয়াবহ। এমন পরিস্থিতিতে সিলেট জেলাকে লকডাউন ঘোষণা না করে হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারকে লকডাউন করায় হতবাক হয়েছেন সিলেটবাসী।

এক নজরে তিন জেলার করোনা পরিস্থিতি তুলনা:

সিলেট জেলা: লোকসংখ্যা ৩৫,৬৭,১৩৭ জন। করোনা আক্রান্ত (২৩ জুন, সকাল ৮টা) ১,৮৭৭ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন ৪৬ জন। জনসংখ্যার ঘনত্বের তুলনায় আক্রান্তের হার ০.০৫২। আক্রান্তের তুলনায় মৃত্যুর হার ২.৪৫।

হবিগঞ্জ: লোকসংখ্যা ২০,৮৯,০০১ জন। করোনা আক্রান্ত (২৩ জুন) ৪১২ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন ৫ জন। জনসংখ্যার ঘনত্বের তুলনায় আক্রান্তের হার ০.০২০। আক্রান্তের তুলনায় মৃত্যুর হার ১.২১।

মৌলভীবাজার: লোকসংখ্যা ১৯,৯৯,০৬২ জন। করোনা আক্রান্ত (২৩ জুন) ৩৩২ জন। করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন ৪ জন। জনসংখ্যার ঘনত্বের তুলনায় আক্রান্তের হার ০.০১৭। আক্রান্তের তুলনায় মৃত্যুর হার ১.২০।

হবিগঞ্জ ও মৌলভীবাজারের চেয়েও বেশি রয়েছে সিলেট সিটি কর্পোরেশন এলাকার করোনা আক্রান্তের হার।

তিন জেলার করোনা পরিস্থিতি বিশ্লেষণে সিলেট জেলা সবদিক দিয়ে ‘হটস্পট’ হয়ে আছে। প্রতিদিন গড়ে ৫০ জনেরও বেশি আক্রান্ত হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে সিলেটের সর্বস্তরের নাগরিক দাবি জানাতে পারেন জেলাকে লকডাউন ঘোষণার। পাশাপাশি, নমুনা পরীক্ষার ফলাফল পেতে ১২-১৪ দিন লেগে যাওয়ায় সংক্রমণের ভয়াবহতা বেড়েই চলেছে। এমন পরিস্থিতি মোকাবেলায় ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ল্যাব স্থাপনসহ নমুনা পরীক্ষার সক্ষমতা বাড়ানোর দাবি সিলেটবাসীর।

পরিশেষে বলতে চাই, জীবনের আগে জীবিকা নয়। কোনো মতে খেয়ে না খেয়ে বেঁচে থাকার পর জীবনটাতো থেকে যাচ্ছে। কিন্তু করোনার থাবায় একটি জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটলে সাথে সাথে একটি পরিবারে নেমে আসবে বিপর্যয়। তাই সরকারের কাছে জীবন বাঁচাতে লকডাউন দিয়ে সবাইকে ঘরে থাকার প্রতি কড়াকড়ি বিধিনিষেধ আরোপ করার দাবি জানাচ্ছি।

লেখক- ইকরামুল কবির
সাবেক সভাপতি, সিলেট প্রেসক্লাব।