বরাবর,
মাননীয় প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী মহোদয়
বিষয় : বাহরাইন থেকে বাংলাদেশে ছুটিতে আসা আটকেপড়া প্রবাসীদের প্রসঙ্গে।
জনাব,
আসসালামুআলাইকুম,জনাব আশা করি ভালো আছেন। আমরাও আল্লাহর রহমতে মোটামুটি ভালো আছি! শ্রদ্ধে আমরা নিয়মিত আপনার মন্ত্রনালয়ের খবর শুনি এবং সব সময় মিডিয়ার খবর রাখি কারণ আমরাও বাহরাইন থেকে ছুটিতে আসা করোনার প্রাদুর্ভাবে আটকাপড়া প্রবাসী। একটা কঠিন পরিস্তিতির মধ্যে আছি সেটা আর্থিক এবং মানুষিক!
হোক,আমরা জানি বর্তমান পৃথিবী একটা কঠিন সময় পার করছে আর আমরাও তার বাহিরে নয় আমরা এখানে উল্লেখ করতে চাই যে,আমরা বিশ্বে মহামারি করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব প্রারম্ভেই বাংলাদেশে এসেছি বা তখনো বিশ্বে করোনা ওতটা দাপট দেখাতে পারেনি!
মা মাঠি ও দেশের টানে যখন দেশে এসেছি তখন ক্রমান্বয়ে করোনা দাপট দেখাতে শুরু করে। এবং তারই ধারাবাহিকতায় বিভিন্ন দেশের ন্যায় বাহরাইন সরকারও প্রবাসীদের ও পর্যটকদের বাহরাইন প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
আমরা আপনার অবগতির জন্যে জানাতে চাই আমরা যারা বাহরাইন থেকে ছুটিতে এসে আটকা পড়েছি আমরা সবাই বৈধ এবং প্রত্যেকটা বৈধ প্রবাসী একেকটা রেমিটেন্স মেশিন আমরা বাংলাদেশ সরকারের ইকোনোমিক গ্রোথে সবচেয়ে বেশি অবদান রাখি সেটা অবশ্যই আমি আপনি সবাই অবগত আছি। এবং আশা করি আমরা ভবিষ্যৎও সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারবো।
সেই অবদান দেশের জন্যে এবং পরিবারের জন্যে রাখতে আমরা সর্বদা ত্যাগ করতে প্রস্তুুত , আমরা প্রবাসীরা বিশেষ করে বৈধ প্রবাসীরা দেশের জন্যে একেকটা নিবেদিত প্রান! আমরা বাহরাইন থেকে বহু প্রবাসী ছুটিতে এসেছি করোনা পরিস্তির পূর্বে।
এখন আমাদের অনেকের বাহরাইনের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে আবার অনেকেরই খুব শীগ্রই শেষ হবে এমতাবস্থায় আমরা খুব হতাশার মাঝে দিন কাটাচ্ছি কারণ আদৌ আমরা বাহরাইন প্রবেশের সুযোগ পাবো কি পাবো না সেই বিষয়ে নিশ্চিত হতে পারেনি ! যতোই দিন যাচ্ছে চিন্তা ক্রমান্বয়ে বেড়েই যাচ্ছে!বাহরাইনের ভিসা করতে একেকটা শ্রমিকের খরচ হয়েছে বাংলাদেশি প্রায় ৩ থেকে ৪ লাখ টাকা পর্যন্ত! এমতাবস্থায় যারা বৈধ এর মধ্যে অনেকেই বাংলাদেশে ছুটিতে এসে অনাকাঙ্ক্ষিত ভাবে করোনার কারণে লকডাউনে আটকা পড়ে বৈধ হয়ে এসেও বিপদে আছে বাহরাইন সরকারের নিষেধাজ্ঞার কারনে!
আপনি জানেন বাহরাইন একটা কোম্পানিতে হাজার হাজার শ্রমিক থাকে তাদের মধ্যে ছুটিতে আসা ২/৪ জন শ্রমিকদের জন্যে মালিকদের তেমন মাথাব্যথা নেই! কিন্তু আপনি যেহেতু বর্তমানে প্রবাসীদের অভিভাবক! তাই আমরা বাহরাইন থেকে ছুটিতে আসা প্রবাসীদের একটিই অনুরোধ। আপনি বাহরাইন থেকে ছুটিতে আসা প্রবাসীদের বিষয়ে বাহরাইন দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রণালয়ের সাথে আলোচনা করে এই বিষয়ে একটা সুরাহা করবেন!
ছুটিতে আসা প্রবাসীদের একটাই দাবি তারা যেন আবার বাহরাইন প্রবেশের সুযোগ পায় আর যদি সম্ভব হয় তাহলে স্পেশালভাবে ফ্লাইট দিলেও তারা সামান্য বাড়তি টাকা দিয়ে বাহরাইনে দ্রুত ফেরত যেতে প্রস্তুুত এমনকি ১৪ দিন হোটেলের কোয়ারান্টাইন খরচ বহন করতেও আপত্তি নেই !
আশাকরি স্পেশালি বাহরাইন থেকে ছুটিতে আসা প্রবাসীদের বিষয়ে আপনার থেকে একটা ভালো প্রদেক্ষেপ অনেক প্রবাসী বিপদ থেকে উদ্ধার হতে সহায়ক হবে! বাহরাইন থেকে ছুটিতে আসা রেমিটেন্স যোদ্ধা,প্রবাসী বাংলাদেশির স্বার্থে আমরা চাই আপনি বাহরাইনের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রনালয়ের সাথে আলোচনা করে একটা ব্যবস্থা করুন আর তা করলে আমরা আপনার প্রতি চিরকৃতজ্ঞ থাকবো পাশাপাশি দেশের উন্নয়নে আমরা অতীতের মত সামনেও অবদান রাখতে স্বচেষ্ট থাকিবো!
বাহরাইনের করোনা পরিস্তিতি আমাদের থেকে অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে তাই বাহরাইন সরকারের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রনালয় একটা একটা করে তাদের দেশের পথ উন্নুক্ত করছে বিদেশীদের জন্যে তাই আশাকরি আপনি যদি যথা সময়ে আমরা যারা এলএমআর ভিসা হোল্ডার বা সাধারণ শ্রমিক ভিসায় ছুটিতে এসে আটকা পড়েছি তাদের বিষয়ে আলোচনা করেন তাহলে আমরা আশাকরি খুব শিগ্রই এই হতাশা থেকে মুক্ত হতে পারবো!
আমরা অতিদ্রুত যেতে না পারলেও আমরা শুনতে চাই আমাদের ভিসার মেয়াদ শেষ হলেও করোনা পরিস্তিতি স্বাভাবিক হলে আমরা যেন বাহরাইন যেতে পারি সেই বিষয়ে নিশ্চয়তা চাচ্ছি যেহেতু আমরা বাহরাইন থেকে বৈধভাবে এসেছি বৈধ শ্রমিক হিসাবে আবারও বৈধ এবং ঝামেলাহীনভাবে বাহরাইন প্রবেশর নিশ্চয়তা চাই!আশাকরি আপনি আমাদের নিরাশ করবেন না! আমরা সরকারের প্রণোদনা বা আর্থিক সাহায্য কিছুই চাই না আপনার উদ্যোগের অপেক্ষায় আছি!আপনার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনা করছি!
ধন্যবাদ ভালো থাকবেন!
ইতি
বাহরাইন থেকে ছুটিতে আসা প্রবাসী বাংলাদেশী।