Dhaka ০৪:৫২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ৪ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ডেসটিনির এমডির জামিন আবেদন হাইকোর্টের ভার্চুয়াল বেঞ্চে

ডেসটিনি গ্রুপের কারাবন্দি ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীন জামিনের আবেদন করেছেন হাইকোর্টের ভার্চুয়াল বেঞ্চে। মানি লন্ডারিং মামলায় করা জামিন আবেদনটি বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চে আগামীকাল রবিবারের কার্যতালিকায় শুনানির জন্য রয়েছে।

মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই কলাবাগান থানায় দুটি মামলা করে দুদক। ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ (এমএলএম) ও ট্রি-প্ল্যানটেশন প্রকল্পের নামে গ্রাহকদের কাছ থেকে সংগৃহীত অর্থের মধ্যে ৩ হাজার ২৮৫ কোটি ২৫ লাখ ৮৮ হাজার ৫২৪ টাকা এবং এগারোশ ৭৮ কোটি ৬১ লাখ ২৩ হাজার দু’শ ৪ টাকা আত্মসাৎ করে পাচারের অভিযোগে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে এই মামলা দু’টি করা হয়। ২০১৪ সালের ৫ মে এসব মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এর মধ্যে একটিতে জামিনের আবেদন করা হয়েছে। তারপক্ষে আইনজীবী হলেন উজ্জল ভৌমিক।

এ মামলায় ২০১৬ সালের ২০ জুলাই রফিকুল আমিনকে জামিন দেন হাইকোর্ট। পরে দুদকের আবেদনে তা স্থগিত করে দেন আপিল বিভাগ। পরবর্তীতে এ বিষয়ে আপিল বিভাগে শুনানির একপর্যায়ে তাদের লাগানো ৩৫ লাখ গাছের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংখ্যক গাছ বিক্রি করে দুই হাজার আটশ কোটি টাকা দিবেন এমন শর্তে আপিল বিভাগ তাদের দুইজনকে জামিন দেন। গাছ বিক্রি করতে না পারলে নগদ দুই হাজার পাঁচশ কোটি টাকা দিতে বলা হয়। এ শর্ত সংশোধন চেয়ে তারা ২০১৭ সালে আপিল বিভাগে আবেদন করে। সে সময় শুনানিতে ডেসটিনির আইনজীবী আদালতে বলেন, ছাগলে গাছ খেয়ে ফেলেছে। এরপর ওই জামিন আবেদন ওই বছরের ৩০ নভেম্বর খারিজ হয়ে যায়। ফলে তাদের আর মুক্তি হয়নি। পরবর্তীতে গতবছর আবারো জামিন চেয়ে আবেদন করা হয় আপিল বিভাগে। গতবছর ১৭ ডিসেম্বর আপিল বিভাগ তার জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন। একইসঙ্গে নিম্ন আদালতে বিচারাধীন মামলা দ্রুত নিস্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হয়। এ অবস্থায় হাইকোর্টে ওই মামলায় জামিন চাওয়া হলো।

About Author Information

মোরারিয়া বিজনেস ফোরামের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

ডেসটিনির এমডির জামিন আবেদন হাইকোর্টের ভার্চুয়াল বেঞ্চে

Update Time : ০৫:২৩:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ জুন ২০২০

ডেসটিনি গ্রুপের কারাবন্দি ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) রফিকুল আমীন জামিনের আবেদন করেছেন হাইকোর্টের ভার্চুয়াল বেঞ্চে। মানি লন্ডারিং মামলায় করা জামিন আবেদনটি বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদারের ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চে আগামীকাল রবিবারের কার্যতালিকায় শুনানির জন্য রয়েছে।

মানি লন্ডারিংয়ের অভিযোগে ২০১২ সালের ৩১ জুলাই কলাবাগান থানায় দুটি মামলা করে দুদক। ডেসটিনি মাল্টিপারপাস কো-অপারেটিভ (এমএলএম) ও ট্রি-প্ল্যানটেশন প্রকল্পের নামে গ্রাহকদের কাছ থেকে সংগৃহীত অর্থের মধ্যে ৩ হাজার ২৮৫ কোটি ২৫ লাখ ৮৮ হাজার ৫২৪ টাকা এবং এগারোশ ৭৮ কোটি ৬১ লাখ ২৩ হাজার দু’শ ৪ টাকা আত্মসাৎ করে পাচারের অভিযোগে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে এই মামলা দু’টি করা হয়। ২০১৪ সালের ৫ মে এসব মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। এর মধ্যে একটিতে জামিনের আবেদন করা হয়েছে। তারপক্ষে আইনজীবী হলেন উজ্জল ভৌমিক।

এ মামলায় ২০১৬ সালের ২০ জুলাই রফিকুল আমিনকে জামিন দেন হাইকোর্ট। পরে দুদকের আবেদনে তা স্থগিত করে দেন আপিল বিভাগ। পরবর্তীতে এ বিষয়ে আপিল বিভাগে শুনানির একপর্যায়ে তাদের লাগানো ৩৫ লাখ গাছের মধ্যে প্রয়োজনীয় সংখ্যক গাছ বিক্রি করে দুই হাজার আটশ কোটি টাকা দিবেন এমন শর্তে আপিল বিভাগ তাদের দুইজনকে জামিন দেন। গাছ বিক্রি করতে না পারলে নগদ দুই হাজার পাঁচশ কোটি টাকা দিতে বলা হয়। এ শর্ত সংশোধন চেয়ে তারা ২০১৭ সালে আপিল বিভাগে আবেদন করে। সে সময় শুনানিতে ডেসটিনির আইনজীবী আদালতে বলেন, ছাগলে গাছ খেয়ে ফেলেছে। এরপর ওই জামিন আবেদন ওই বছরের ৩০ নভেম্বর খারিজ হয়ে যায়। ফলে তাদের আর মুক্তি হয়নি। পরবর্তীতে গতবছর আবারো জামিন চেয়ে আবেদন করা হয় আপিল বিভাগে। গতবছর ১৭ ডিসেম্বর আপিল বিভাগ তার জামিনের আবেদন খারিজ করে দেন। একইসঙ্গে নিম্ন আদালতে বিচারাধীন মামলা দ্রুত নিস্পত্তির নির্দেশ দেওয়া হয়। এ অবস্থায় হাইকোর্টে ওই মামলায় জামিন চাওয়া হলো।