Dhaka ০৮:২০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ৭ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

২৪ ঘণ্টায় আরো ৩৭ প্রাণহানি, শনাক্ত ৩,১৮৭

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণে আরো ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন শনাক্ত হয়েছেন তিন হাজার ১৮৭ জন। এ নিয়ে দেশে করোনায় এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে এক হাজার ৪৯ জনের। আর সব মিলিয়ে শনাক্ত হয়েছেন ৭৮ হাজার ৫২ জন।

আজ বৃহস্পতিবার (১১ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে সরকারি বুলেটিনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বুলেটিন প্রকাশে অংশ নেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

ডা. নাসিমা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণে দেশে আরো ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এঁরা ৩০ জন পুরুষ এবং সাতজন নারী। এঁদের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে দুইজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে চারজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে আটজন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ২২ জন এবং ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে একজন। এ নিয়ে দেশে করোনায় এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে এক হাজার ৪৯ জনের।

জানানো হয়, নতুন যে ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে তাঁরা ঢাকা বিভাগের ২০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের সাতজন, রাজশাহী বিভাগের চারজন, সিলেট বিভাগের তিনজন, বরিশাল বিভাগের দুইজন এবং রংপুর বিভাগের একজন। হাসপাতালে মারা গেছেন ২৮ জন এবং বাসায় ৯ জন।

এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৮৪৮ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৬ হাজার ৭৪৭ জন।

ডা. নাসিমা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৬ হাজার ১১৪টি। একই সময় পরীক্ষা হয়েছে ১৫ হাজার ৭৭২টি। এর মধ্যে করোনা রোগী হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে তিন হাজার ১৮৭ জনকে। এ নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৭৮ হাজার ৫২ জন। আর এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে চার লাখ ৫৭ হাজার ৩৩২টি।

আইসোলেশন প্রসঙ্গে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে আরো ৬৭১ জনকে। একইসময় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ১৫৫ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে গেছেন ১৩ হাজার ৬৩৭ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন চার হাজার ৮৭৩ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন আট হাজার ৭৬৪ জন।

বুলেটিনে জানানো হয়, ঢাকাসহ সারা দেশে মোট আইসোলেশন সংখ্যা ১৩ হাজার ২৮৪টি। বর্তমানে ঢাকা মহানগরীতে সাত হাজার ২৫০টি এবং ঢাকা সিটির বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে আইসোলেশন শয্যার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ৩৪টিতে।

কোয়ারেন্টিন প্রসঙ্গেও তথ্য দেওয়া হয় বুলেটিনে। বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় হোম এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে এসেছেন তিন হাজার ১৬১ জন। একইসময় কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন এক হাজার ৮৭৩ জন। আর এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে গেছেন মোট তিন লাখ ১২ হাজার ৩৪৪ জন। আর এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন দুই লাখ ৫৩ হাজার ৩৪৫ জন। ছাড়ের পর বর্তমানে হোম এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন ৫৮ হাজার ৯৯৯ জন।

সারা দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য প্রস্তুত ৬২৯টি প্রতিষ্ঠান। এর মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে ৩১ হাজার ৯৯১ জনকে সেবা প্রদান যায় বলে জানানো হয় বুলেটিনে।

বুলেটিনে আরো জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য বাতায়ন এবং আইইডিসিআর’র হটলাইনে কল এসেছে এক লাখ ৭১ হাজার ৪৮টি। এ নিয়ে এ পর্যন্ত হটলাইনে এক কোটি ছয় লাখ ৩৪ হাজার ৮৩০ জনকে স্বাস্থ্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এসব কলে সবাইকে স্বাস্থ্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসকের সংখ্যা বেড়েছে আরো ১২ জন। এ নিয়ে এখন মোট প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসকের সংখ্যা দাঁড়াল ১৬ হাজার ৩২০ জনে। এ ছাড়া বর্তমানে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে হটলাইনে চার হাজার ২১৭ জন চিকিৎসক স্বাস্থ্য পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন বলে জানানো হয় বুলেটিনে।

About Author Information

গোলাপগঞ্জে রাস্তা নিয়ে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের প্রতিবাদে এলাকাবাসীর মানববন্ধন

২৪ ঘণ্টায় আরো ৩৭ প্রাণহানি, শনাক্ত ৩,১৮৭

Update Time : ০৯:৩৪:২৭ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১১ জুন ২০২০

গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণে আরো ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। নতুন শনাক্ত হয়েছেন তিন হাজার ১৮৭ জন। এ নিয়ে দেশে করোনায় এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে এক হাজার ৪৯ জনের। আর সব মিলিয়ে শনাক্ত হয়েছেন ৭৮ হাজার ৫২ জন।

আজ বৃহস্পতিবার (১১ জুন) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের করোনাভাইরাস পরিস্থিতি নিয়ে সরকারি বুলেটিনে এসব তথ্য জানানো হয়েছে। বুলেটিন প্রকাশে অংশ নেন স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা।

ডা. নাসিমা বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা সংক্রমণে দেশে আরো ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এঁরা ৩০ জন পুরুষ এবং সাতজন নারী। এঁদের বয়স ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে দুইজন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে চারজন, ৫১ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে আটজন, ৬১ থেকে ৭০ বছরের মধ্যে ২২ জন এবং ৭১ থেকে ৮০ বছরের মধ্যে একজন। এ নিয়ে দেশে করোনায় এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে এক হাজার ৪৯ জনের।

জানানো হয়, নতুন যে ৩৭ জনের মৃত্যু হয়েছে তাঁরা ঢাকা বিভাগের ২০ জন, চট্টগ্রাম বিভাগের সাতজন, রাজশাহী বিভাগের চারজন, সিলেট বিভাগের তিনজন, বরিশাল বিভাগের দুইজন এবং রংপুর বিভাগের একজন। হাসপাতালে মারা গেছেন ২৮ জন এবং বাসায় ৯ জন।

এ ছাড়া গত ২৪ ঘণ্টায় সুস্থ হয়েছেন ৮৪৮ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ১৬ হাজার ৭৪৭ জন।

ডা. নাসিমা জানান, গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা সংগ্রহ হয়েছে ১৬ হাজার ১১৪টি। একই সময় পরীক্ষা হয়েছে ১৫ হাজার ৭৭২টি। এর মধ্যে করোনা রোগী হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে তিন হাজার ১৮৭ জনকে। এ নিয়ে দেশে এ পর্যন্ত করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন ৭৮ হাজার ৫২ জন। আর এ পর্যন্ত নমুনা পরীক্ষা হয়েছে চার লাখ ৫৭ হাজার ৩৩২টি।

আইসোলেশন প্রসঙ্গে জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে আইসোলেশনে নেওয়া হয়েছে আরো ৬৭১ জনকে। একইসময় আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন ১৫৫ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশনে গেছেন ১৩ হাজার ৬৩৭ জন। এ পর্যন্ত আইসোলেশন থেকে ছাড় পেয়েছেন চার হাজার ৮৭৩ জন। বর্তমানে আইসোলেশনে আছেন আট হাজার ৭৬৪ জন।

বুলেটিনে জানানো হয়, ঢাকাসহ সারা দেশে মোট আইসোলেশন সংখ্যা ১৩ হাজার ২৮৪টি। বর্তমানে ঢাকা মহানগরীতে সাত হাজার ২৫০টি এবং ঢাকা সিটির বাইরে বিভিন্ন হাসপাতালে আইসোলেশন শয্যার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ছয় হাজার ৩৪টিতে।

কোয়ারেন্টিন প্রসঙ্গেও তথ্য দেওয়া হয় বুলেটিনে। বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় হোম এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে এসেছেন তিন হাজার ১৬১ জন। একইসময় কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন এক হাজার ৮৭৩ জন। আর এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিনে গেছেন মোট তিন লাখ ১২ হাজার ৩৪৪ জন। আর এ পর্যন্ত কোয়ারেন্টিন থেকে ছাড় পেয়েছেন দুই লাখ ৫৩ হাজার ৩৪৫ জন। ছাড়ের পর বর্তমানে হোম এবং প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনে আছেন ৫৮ হাজার ৯৯৯ জন।

সারা দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টিনের জন্য প্রস্তুত ৬২৯টি প্রতিষ্ঠান। এর মাধ্যমে তাৎক্ষণিকভাবে ৩১ হাজার ৯৯১ জনকে সেবা প্রদান যায় বলে জানানো হয় বুলেটিনে।

বুলেটিনে আরো জানানো হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের স্বাস্থ্য বাতায়ন এবং আইইডিসিআর’র হটলাইনে কল এসেছে এক লাখ ৭১ হাজার ৪৮টি। এ নিয়ে এ পর্যন্ত হটলাইনে এক কোটি ছয় লাখ ৩৪ হাজার ৮৩০ জনকে স্বাস্থ্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। এসব কলে সবাইকে স্বাস্থ্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় নতুন করে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসকের সংখ্যা বেড়েছে আরো ১২ জন। এ নিয়ে এখন মোট প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসকের সংখ্যা দাঁড়াল ১৬ হাজার ৩২০ জনে। এ ছাড়া বর্তমানে স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে হটলাইনে চার হাজার ২১৭ জন চিকিৎসক স্বাস্থ্য পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছেন বলে জানানো হয় বুলেটিনে।