করোনাভাইরাসে (সার্স-কোভি-২)সংক্রামিত বানরের উপর (সংক্রমণের শুরুতে) রেমডেসিভির দিয়ে (রিসাস ম্যাকাকসে মডেল)ক্লিনিকাল ট্রায়ালে সুফল পাওয়া গেছে। ন্যাচার জার্নালে প্রকাশিত একটি নিবন্ধ এ কথা বলা হয়েছে।
সার্স-কোভি-২ এ সংক্রামিত রিসাস ম্যাকাকের রেমডেসিভির ক্লিনিকাল বেনিফিট’ নামের নিবন্ধে বলা হয়েছে যে, যদিও রিসাস ম্যাকাকসে মডেল কভিড -১৯ রোগীর ক্ষেত্রে মারাত্মক পরিস্থতিতে প্রতিনিধিত্ব করে না, কভিড-রোগে প্রাথমিক পর্যায়ে রেমডেসিভিরে চিকিত্সায় সুফল মেলে। প্রারম্ভিক উপাত্ত সমর্থন করে যে, এটা ১৯ জন রোগীর ক্ষেত্রে নিউমোনিয়ায় অগ্রগতি রোধ করেছে।
গবেষকরা বলেছেন, আমরা করোনাভাইরাসের (সার্স-কোভি-২)সংক্রমণের রিসাস ম্যাকাক মডেলটিতে রেমডেসিভির ব্যবহারের কার্যকারিতা খতিয়ে দেখছি।
তারা বলেন, রেমডেসিভির দিয়ে চিকিত্সা করা প্রাণীগুলির শ্বাসযন্ত্রের রোগের লক্ষণ দেখা যায়নি। প্রথম চিকিত্সার ১২ ঘন্টার পর ফুসফুসের সংক্রমণ কমেছে।
তারা জানান, এটার ব্যবহার ‘ব্রংকোয়েলভোলার ল্যাভেজে’ ভাইরাসের বৃদ্ধি কমিয়েছে।
গবেষকরা বলেন, এক্ষেত্রে ফুসফুসের ভাইরাল সংক্রমণের হার কমিয়েছে রেমডেসিভির। চিকিত্সা করা প্রাণীদের ফুসফুসের ক্ষয়ক্ষতি হ্রাস পেয়েছে।
তারা জানান, কভিড -১৯ এর চিকিত্সার জন্য কার্যকর চিকিত্সা জরুরি প্রয়োজন।
গত সপ্তাহে গিলিয়াড সায়েন্সেস ঘোষণা করেছিল যে গুরুতর আক্রান্ত হাসপাতালে ভর্তি বয়স্ক এবং শিশুদের করোনা রোগের চিকিত্সায় রেমডেসিভির নিয়ন্ত্রিত ব্যবহার অনুমোদন দিয়েছে ডিসিজিআই ।
রেমডেসিভির কী?
রেমডেসিভির হলো ব্রড অ্যান্টিভাইরাল নিউক্লিওটাইড অ্যানালগ প্রো-ড্রাগ। এটি বর্তমানে কভিড -১৯ এর ক্লিনিকাল ট্রায়ালে ব্যবহার হচ্ছে।
সূত্র : ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস