সিলেটে করোনার চিকিৎসায় শরহতলির আরও দুটি সরকারি হাসপাতালকে যুক্ত করা হয়েছে। এ দুটো হাসপাতাল হচ্ছে, সিলেট শহরতলির শাহপরান হাসপাতাল ও দক্ষিণ সুরমা উপজেলা হাসপাতাল। আজ সোমবার সকাল থেকে এই দুই হাসপাতালে করোনাভাইরাস সংক্রমণের উপসর্গ থাকা রোগী ভর্তি কার্যক্রম শুরু করা হয়েছে।
করোনাভাইরাস সংক্রমণের শুরু থেকে সিলেটে নগরীর চৌহাট্টা এলাকায় শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতাল করোনা চিকিৎসায় ব্যবহৃত হচ্ছে। সরকারিভাবে সিলেটে কোভিডে আক্রান্ত ব্যক্তিদের চিকিৎসায় ১০০ শয্যার এই হাসপাতালে অস্থায়ীভাবে ১১টি আইসিইউ শয্যাও স্থাপন করা হয়েছে। পাশাপাশি সিলেট বিভাগের তিনটি জেলার হাসপাতাল ও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোগুলোতে আইসোলেশন সেন্টার খোলা হয়েছে।সিলেটের এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ ও শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি ল্যাবে পরীক্ষা শেষে করোনায় আক্রান্ত শনাক্ত করা হচ্ছে।
সিলেট জেলাসহ বিভাগের চার জেলায় দিন দিন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ায় করোনা চিকিৎসায় সরকারি ও বেসরকারি হাসপাতাল যুক্ত করার দাবি ওঠে। ১ জুন থেকে বেসরকারি হাসপাতাল নর্থ ইস্ট মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের একটি ভবনকে করোনা হাসপাতালে রূপান্তর করে চিকিৎসাসহ করোনা উপসর্গ ও আক্রান্ত রোগী ভর্তি শুরু হয়।এবার সরকারি দুটি হাসপাতাল যুক্ত করা হলো। শাহপরান হাসপাতালের শয্যাসংখ্যা ৩১টি, দক্ষিণ সুরমা উপজেলা কমপ্লেক্সের শয্যাসংখ্যা হচ্ছে ৫০টি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিলেট বিভাগীয় কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো.আনিসুর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, দুটি সরকারি হাসপাতালে করোনা উপসর্গ থাকা রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হবে।সোমবার থেকে এ কার্যক্রম শুরু হয়েছে।ওই দুটি হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্র (আইসিইউ) এবং ভেন্টিলেশন ব্যবস্থা নেই। তবে হাসপাতালে অক্সিজেনের ব্যবস্থা রয়েছে। ওই দুই হাসপাতালে যাঁদের করোনা উপসর্গ আছে, কেবল তাঁদের ভর্তি করা হবে। সেখানে নমুনা সংগ্রহের পর পজিটিভ ফলাফল এলে আক্রান্ত ব্যক্তিকে আবার শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতালে ভর্তির নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সহকারী পরিচালক আনিসুর রহমান আরও বলেন, হাসপাতালগুলোতে করোনা উপসর্গ নিয়ে সরাসরি ভর্তি হওয়ার পাশাপাশি শহীদ শামসুদ্দিন আহমদ হাসপাতাল থেকেও‘রেফার্ড’ করা হবে। আপাতত সেখানকার হাসপাতালে নিয়োজিত জনবলের ভর্তি হওয়া রোগীদের চিকিৎসা দেবেন। নতুন করে কাউকে সেখানে পদায়ন করা হয়নি। পরে রোগীদের চাপ বাড়লে নতুন করে জনবল বৃদ্ধির ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
সিলেট বিভাগের চার জেলায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ১ হাজার ৫০০ ছাড়িয়েছে। সিলেট বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের দৈনিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, সোমবার পর্যন্ত সিলেট জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৮৮২ জন। সিলেট বিভাগের মধ্যে এখন আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যায় সিলেট শীর্ষে রয়েছে।