ভূয়া কাগজপত্র সৃজন ও জাল জালিয়াতির মাধ্যমে কক্সবাজার ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির প্রায় তিন কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় একটি মামলা রুজু হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক আবদুল হামিদ মামলাটি দায়ের করেন।
মামলার আসামি করা হয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের সেক্রেটারি মুজিবুর রহমান ও তার তিন ভাই সহ ৪ জনকে।
মামলার বিবরণে জানা গেছে, কক্সবাজার শিক্ষা-দীক্ষায় পশ্চাদপদ এলাকা হওয়ায় ২০১৩ সালে জেলার উখিয়ায় অনুষ্টিত এক জনসভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বেসরকারি এই বিশ্ববিদ্যালয়টির অনুমোদন দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজের চেয়ারম্যান ও প্রতিষ্টাতা এবং স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতা সালাউদ্দিন আহমদ সিআইপি অভিযোগ করে বলেন, ট্রাস্টিজের সেক্রেটারি মুজিবুর রহমান বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোডের্র পক্ষে যোগাযোগকারি হিসাবে দায়িত্ব পালনের সুযোগে প্রতারণার মাধ্যমে ‘উদ্যোক্তা’ হিসাবে নিজের নামে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি চিঠি হাসিল করে নেন।
পরবর্তীতে ট্রাস্টি সেক্রেটারি মুজিবুর রহমান কৌশলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্টাতা সালাউদ্দিন আহমদের অজান্তে তার দুই ভাই আবদুস সবুর ও আবদুল মাবুদ এবং আত্মীয় মনির উদ্দিন আরিফ নামের ব্যক্তিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন পদে নিয়োগ দেন। এমনকি নানা ছলচাতুরির মাধ্যমে পুরো বিশ্ববিদ্যালয়টিকে ‘জামায়াত-শিবিরের’ একটি ঘাঁটি হিসাবে তৈরি করতে থাকেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, আসামিগণ দীর্ঘদিন ধরে নানা ভাবে দুর্নীতি ও জালিয়াতির আশ্রয় নিয়ে টাকা আত্মসাত করতে থাকেন। ট্রাস্টি বোর্ডের সেক্রেটারি মুজিবুর রহমান অপর তিন আসামির যোগসাজসে ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ও বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্টাতা সালাউদ্দিন আহমদ সিআইপি এর স্বাক্ষর জালিয়াতি, বিশ্বাস ভঙ্গ ও বিভিন্ন সভার সিদ্ধান্ত ঘষামাজা সহ জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে এ পর্যন্ত প্রাথমিক হিসাবে দফায় দফায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২ কোটি ৯৮ লাখ ৩৭ হাজার টাকা আত্মসাত করেন।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রাস্টি বোর্ডের সেক্রেটারি এবং মামলার অন্যতম আসামি মুজিবুর রহমান জানান, তিনি মামলার অভিযোগের সাথে কোন ভাবেই জড়িত নন। তার বিরুদ্ধে এসব মিথ্যা অভিযোগ আনা হয়েছে।
কক্সবাজার সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সৈয়দ আবু মো. শাহজাহান কবির জানান, কক্সবাজারের এক মাত্র উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্টাণের অভ্যন্তরে জাল-জালিয়াতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের মামলাটি রেকর্ড করে গুরুত্বের সাথে তদন্ত করা হচ্ছে।