Dhaka ০৩:৫১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৮ মার্চ ২০২৫, ৪ চৈত্র ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

গাজায় মসজিদ খুলে দেওয়ায় মুসল্লিদের আনন্দ,‘আল্লাহর রহমত’বলছেন ইমাম

হামাসশাসিত গাজায়ও থাবা বসিয়েছে মারণ ভাইরাস করোনা। ইসরায়েল ও মিশর সীমান্তের এই অঞ্চলটিতে ৬১ জনের শরীরে করোনা পাওয়া গেছে। তাদের সবাইকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। গাজায় করোনা আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যুও হয়েছে।

গাজায় প্রায় ২০ লাখ মানুষ বাস করেন। অঞ্চলটিতে এক ধরনের অবরুদ্ধ পরিস্থিতিতে বাস করেন স্থানীয়রা। কারণ ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর চোখ সব সময়ই পড়ে থাকে অঞ্চলটিতে। করোনা হানা দিলে বন্ধ করে দেওয়া হয় সকল মসজিদ। এরপর গত সপ্তাহ থেকে সব ধরনের মসজিদ খুলে দেওয়া হয়েছে। দুই মাস পর গত শুক্রবার সবাই মসজিদে নামাজ পড়ার অনুমতি পান।
প্রতিদিনই খোলা থাকবে গাজার সকল মসজিদ। হামাস নিয়ন্ত্রিত ওকাফ বোর্ডর পরিচালক এবং ধর্মবিষয়ক মন্ত্রী আবদেল হাদি আল-আগহা জানান, সকল মসজিদের নেতাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে ধর্মীয় কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। মসজিদ খুলে দেওয়ার জন্যও বলেছেন।

গাজা শহরের ইমাম আহমেদ আল-সাফাদি বলেন, মাগরিবের সময় কয়েক ডজন মুসল্লি নামাজে আংশগ্রহণ করেছেন। আল্লাহর ঘরে ফিরতে পেরে মুসল্লিরা আনন্দিত। আর এটিই হলো আল্লাহর বড় রহমত। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হচ্ছে। মুসল্লিরা মাস্ক পরে আসছেন। তারা নিজেদের মাদুর নিয়ে নামাজে আসেন। সামাজিক দূরত্বও মেনে চলছেন।

গাজায় দুই থেকে পাঁচ বছর বয়সীদের স্কুলও খুলে দেওয়া হচ্ছে। গাজার বিউটিফুল স্মাইল কিন্ডারগার্টেনের অধ্যক্ষ হিন্ড অ্যাসোসি বলেন, গাজা শহরের পরিবারগুলোর একটা বড় অংশ কর্মচারী। যেহেতু তারা অফিসে পুনরায় যেতে শুরু করেছেন, তাই তাদের শিশুদের আমাদের নার্সারি স্কুলে দিয়ে যাচ্ছেন।
করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে গাজা এবং পশ্চিম তীরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো মার্চ মাসে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গত সপ্তাহে কিন্ডারগার্টেনের খুলে দেওয়া হয়েছে। ধীরে ধীরে খুলে দিতে পারে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও।

সূত্র: রয়টার্স।

About Author Information

মোরারিয়া বিজনেস ফোরামের ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত

গাজায় মসজিদ খুলে দেওয়ায় মুসল্লিদের আনন্দ,‘আল্লাহর রহমত’বলছেন ইমাম

Update Time : ০২:৩৯:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩ জুন ২০২০

হামাসশাসিত গাজায়ও থাবা বসিয়েছে মারণ ভাইরাস করোনা। ইসরায়েল ও মিশর সীমান্তের এই অঞ্চলটিতে ৬১ জনের শরীরে করোনা পাওয়া গেছে। তাদের সবাইকে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে। গাজায় করোনা আক্রান্ত হয়ে একজনের মৃত্যুও হয়েছে।

গাজায় প্রায় ২০ লাখ মানুষ বাস করেন। অঞ্চলটিতে এক ধরনের অবরুদ্ধ পরিস্থিতিতে বাস করেন স্থানীয়রা। কারণ ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর চোখ সব সময়ই পড়ে থাকে অঞ্চলটিতে। করোনা হানা দিলে বন্ধ করে দেওয়া হয় সকল মসজিদ। এরপর গত সপ্তাহ থেকে সব ধরনের মসজিদ খুলে দেওয়া হয়েছে। দুই মাস পর গত শুক্রবার সবাই মসজিদে নামাজ পড়ার অনুমতি পান।
প্রতিদিনই খোলা থাকবে গাজার সকল মসজিদ। হামাস নিয়ন্ত্রিত ওকাফ বোর্ডর পরিচালক এবং ধর্মবিষয়ক মন্ত্রী আবদেল হাদি আল-আগহা জানান, সকল মসজিদের নেতাদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে ধর্মীয় কাজ চালিয়ে যাওয়ার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন। মসজিদ খুলে দেওয়ার জন্যও বলেছেন।

গাজা শহরের ইমাম আহমেদ আল-সাফাদি বলেন, মাগরিবের সময় কয়েক ডজন মুসল্লি নামাজে আংশগ্রহণ করেছেন। আল্লাহর ঘরে ফিরতে পেরে মুসল্লিরা আনন্দিত। আর এটিই হলো আল্লাহর বড় রহমত। তিনি বলেন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা হচ্ছে। মুসল্লিরা মাস্ক পরে আসছেন। তারা নিজেদের মাদুর নিয়ে নামাজে আসেন। সামাজিক দূরত্বও মেনে চলছেন।

গাজায় দুই থেকে পাঁচ বছর বয়সীদের স্কুলও খুলে দেওয়া হচ্ছে। গাজার বিউটিফুল স্মাইল কিন্ডারগার্টেনের অধ্যক্ষ হিন্ড অ্যাসোসি বলেন, গাজা শহরের পরিবারগুলোর একটা বড় অংশ কর্মচারী। যেহেতু তারা অফিসে পুনরায় যেতে শুরু করেছেন, তাই তাদের শিশুদের আমাদের নার্সারি স্কুলে দিয়ে যাচ্ছেন।
করোনাভাইরাস ছড়িয়ে পড়া রোধ করতে গাজা এবং পশ্চিম তীরের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো মার্চ মাসে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু গত সপ্তাহে কিন্ডারগার্টেনের খুলে দেওয়া হয়েছে। ধীরে ধীরে খুলে দিতে পারে সকল শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও।

সূত্র: রয়টার্স।